ঐতিহ্যিক 'মাহুয়া' মিষ্টি কারখানা ও জাদুঘর পরিদর্শন করার পর যুব প্রতিনিধি দলটি থিয়ানচিন পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
থিয়ানচিন পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় বা টিজেপিইউ থিয়ানচিন শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিভাগ ও গবেষণাগার রয়েছে।
ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার পঞ্চাশটিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে থিয়ানচিন পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চালু করেছে। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশের প্রায় তিনশোরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্ট অ্যান্ড ক্লথিং বিভাগের রয়েছে বিশ্বখ্যাতি।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ,ক্লাসরুম ও গবেষণাগার পরিদর্শন করেন।সবশেষে সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক উন্মুক্ত মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তারা।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সফর সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়টির 'স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন' এর ডিন মি. চিয়াং ইয়ামিং বলেন,
'আজ বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি দলকে অভ্যর্থনা করে আমি খুবই আনন্দিত।এবার বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি দল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ টেক্সটাইল বিভাগ, স্টেডিয়াম ও গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন। আমার ধারণায় বাংলাদেশের যুবকরা ভালোভাবে ইংরেজি বলতে পারেন এবং তাদের চরিত্রও আন্তরিক। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ছাত্রছাত্রীরা তাদের সাথে আদান-প্রদান করেছেন। যেমন পরস্পরের গান গাওয়া। সবাই একটি আরামদায়ক ও হাসিখুশি পরিবেশে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আমি মনে করি, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগ ও আর্ট অ্যান্ড ক্লথিং বিভাগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। কারণ বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক স্তম্ভ হলো গার্মেন্টস শিল্প। ভবিষ্যতে আরো বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সফর করা এবং চীনা ভাষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখাপড়া করার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাই'।
বাংলাদেশের এবারের যুব প্রতিনিধি দলের সদস্য, জাতীয় যুব পুরস্কারপ্রাপ্ত মি. মহিউদ্দিন এবারের চীন সফর সম্পর্কে বলেন,
বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি দলের সদস্য বিধান চন্দ্র পাল এবারের চীন সফর এবং দু'দেশের যুবকদের আদান-প্রদান সম্পর্কে বলেন,
থিয়ানচিন পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি দলটির উন্মুক্ত সেমিনারে দু'দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর পাশাপাশি তারা পরস্পরের জন্য সুন্দর ও মিষ্টি গান পরিবেশ করেন। সেমিনার শেষ করার আগে বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি দলটি একসাথে 'আমার সোনার বাংলা' জাতীয় সঙ্গীতটি গেয়ে শোনান। বাংলাদেশের এই জাতীয় সঙ্গীত চীনা শিক্ষার্থীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে।
বন্ধুরা, আর এ সঙ্গীতের মধ্য দিয়েই শেষ করছি আমাদের আজকের 'বিদ্যাবার্তা' অনুষ্ঠান।আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোনো মতামত বা পরামর্শ থাকলে আমাদের কাছে চিঠি লিখুন। চিঠিতে তুলে ধরুন এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনার ভালোলাগা, তুলে ধরুন আপনার মতামত ও পরামর্শ। আমাদের যোগাযোগ ঠিকানা ben@cri.com.cn, caoyanhua@cri.com.cn।
রেডিওয়ের মাধ্যমে আমাদের অনুষ্ঠান শুনতে না পারলে বা শুনতে মিস করলে বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটে শুনতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো www.bengali.cri.cn।
এবার তাহলে বিদায়। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। থাকুন সুস্থ ও আনন্দে। আগামী সপ্তাহে একই দিনে একই সময়ে আবারও কথা হবে। চাই চিয়ান। (সুবর্ণা/টুটুল)