

স্থানীয় সময় ২ এপ্রিল রাত ৭টা। শেষ দলের ৪১ জন চীনা নাগরিক জিবুতিতে দেশে যাবার উদ্দেশে বিমানে চড়লেন। এ নিয়ে ইয়েমেন থেকে ৫৭১ জন চীনা নাগরিক সফলভাবে দেশে ফিরে যাবেন।
স্থানীয় সময় ২ এপ্রিল বিকেল। জিবুতি জাতীয় স্টেডিয়ামের সামনে চিয়াং সু নান থুং সান নিয়ান কোম্পানির ৪১ জন কর্মী বিমানবন্দরে যাওয়ার বাসে উঠেছেন। তারা ইয়েমেনে জাতীয় লাইব্রেরি নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে তারা জিবুতি ফিরে আসেন। তারাও ৫৭১ জন চীনা নাগরিকের সঙ্গে চীনের ফিরে আসেন। জিবুতিতে চীনা দূতাবাসের বাণিজ্যিক কাউন্সিলার কে হুয়া এবং জিবুতি বণিক সমিতির স্বেচ্ছাসেবক তাদের বিদায় দেওয়ার জন্য স্টেডিয়ামে আসেন।
কে হুয়া তাদের উদ্দেশ্যে বলেন "আশা করি ভবিষ্যতে আপনারা আবার জিবুতি আসবেন, পযর্টক বা ব্যবসায়ী হিসেবে।"
গত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে নান থুং সান নিয়ান কোম্পানির কর্মী নি হুই বলেন, "আমাদের দেশ দিন দিন শক্তিশালি হয়ে উঠছে। আমরা এ থেকে উপকৃত হচ্ছি। এবার আমাদের উদ্ধারের জন্য দেশ নৌবাহিনীর ফ্রিগেট পাঠিয়েছে। মন থেকে আমি দেশকে ধন্যবাদ জানাই। নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা হবে ভেবে আমি এ মুহূর্তে খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। "
বাণিজ্যিক কাউন্সিলার কে হুয়া বলেন, জিবুতির চীনা কোম্পানিগুলো ইয়েমেন-ফেরত চীনাদের দেখা-শোনার কাজে অনেক অবদান রেখেছে। তিনি বলেন,
"টাকা ও জনশক্তি দিয়ে আমাদের চীনা কোম্পানিগুলো অবদান রেখেছে। আসলে এখানে শুধু দশ-বারোটি চীনা কোম্পানি ছিল এবং কোম্পানিগুলোর জনসংখ্যাও বেশি নয়। তার পরও তারা যথাসম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছে। একটি বেসরকারি কোম্পনি বিশেষ করে ইয়েমেন-ফেরত চীনা মুসলমানদের জন্য আলাদাভাবে রান্নার দায়িত্ব পালন করেছে।"
স্টেডিয়ামের আশ্রয়কেন্দ্রে তিন দিন থাকার পর নি হুই ও তার সহকর্মীরা দেশে ফিরে গেছেন। তারাও জিবুতিতে চীনা কোম্পানির স্বেচ্ছেসেবকদের ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, "স্বেচ্ছাসেবকরা আমাদের সেবায় দিনরাত কাজ করেছেন। আমাদের কোনো চাহিদা অপূর্ণ রাখেননি। এবারের অভিজ্ঞতা বলছে, আমাদের দেশ অনেক শক্তিশালী হয়েছে। আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য করতালি দিতে চাই।"
পেইচিং সময় গতকাল (সোমবার) বিকেল ৬টা ১০ মিনিটে ইয়েমেন থেকে ২৪ জন চীনা নাগরিকের শেষ দলটি নিয়ে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ লিন ই জিবুতি পৌঁছায়। দলটিতে ইয়েমেনে চীনা দূতাবাসের কর্মচারী-কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এ ছাড়া, শ্রীলংকা সরকারের অনুরোধে দেশটির ৪৫ জন নাগরিককেও লিন ই জাহাজ জিবুতি নিয়ে আসে। এর আগে ৮ জন চীনা নাগরিক পাকিস্তানের একটি জাহাজযোগে ইয়েমেন ত্যাগ করে। প্রায় একই সময়ে ৯ জন চীনা ও একজন জাপানি নাগরিক চীনা নৌবাহিনীর ওয়ে সান হু জাহাজযোগে সোকোত্রা দ্বীপ ত্যাগ করে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ৬১৩ জন চীনা নাগরিককে ইয়েমেন থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি চীন সরকার ১৫টি দেশের ২৭৯ জন নাগরিককে ইয়েমেন থেকে সরে আসতে সাহায্য করেছে।




