চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং
মার্চ ১৫: চীন সরকার প্রশাসনিক ব্যবস্থা সহজীকরণ ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করবে এবং পাশাপাশি জোরালোভাবে রাষ্ট্রীয় সংস্কারকে এগিয়ে নেবে। রাজধানী পেইচিংয়ের মহা গণভবনে দেশি বিদেশি নয় শতাধিক সাংবাদিকের সামনে এমনই জোরালো প্রত্যয় ব্যক্ত করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং। আজ (রোববার) চীনের দ্বাদশ জাতীয় গণকংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশন শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এক সংবাদদাতা প্রশ্ন করেন, "আপনি ব্যথা স্বীকার করে দ্বিধাহীনভাবে সাহস নিয়ে সংস্কার এগিয়ে নেবেন কিনা?"
জবাবে লি খ্য ছিয়াং বলেন, "আপনি ব্যথার কথা বলছেন, সত্যিই সংস্কারের ব্যথা খুব তীব্র। তা আরো গভীরভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ, প্রশাসনিক সহজীকরণ ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হলো সরকারের নিজের বিপ্লব। ক্ষমতা ভাগ করলে স্বার্থে আঘাত লাগে। এ আঘাত নখ কাটার মতো নয়, বরং কবজি কেটে ফেলার মতো তীব্র। যতই ব্যথা হোক তা সহ্য করতেই হবে।"
প্রধানমন্ত্রী লি বলেন, প্রশাসনিক সহজীকরণ ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সরকার ও বাজারের সম্পর্ক পরিষ্কার হবে এবং তা বাজারের প্রাণশক্তি যোগানোর জন্য অনুকূল। গত বছর চীনের অর্থনৈতিক গতি মন্থর থাকলেও কর্মসংস্থানের হার বেড়েছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা সহজীকরণ ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
লি খ্য ছিয়াং আরো বলেন, বর্তমান সরকার গত দু'বছরে পূর্বে উত্থাপিত পাঁচসালা পরিকল্পনার এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক অনুমোদন বাতিলের লক্ষ্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে কিছু বাতিল হয়েছে, কিছু বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ বছর চীন সরকার প্রধানত তিনটি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেবে। প্রথমত, সার্বিকভাবে অ-প্রশাসনিক অনুমোদন বাতিল করা। দ্বিতীয়ত, ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণের কাজ এগিয়ে নেয়া। চলতি বছর প্রাদেশিক পর্যায় এবং আগামী বছর শহর ও জেলা পর্যায়ের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ করবে। যাতে সমাজকে তত্ত্বাবধান করা যায়। এতে ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে জনসাধারণ সচেতন হবে। তৃতীয়ত, ঘটনা চলাকালে এবং পরবর্তী তত্ত্বাবধানের নতুন পদ্ধতি অন্বেষণ করা। (ইয়ু/তৌহিদ)
| ||||