Web bengali.cri.cn   
চীনের হানবান ও কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের পরিচয় ও কার্যক্রম
  2015-01-28 17:30:19  cri

ক.এখন শুনবেন চীনা ভাষার দক্ষতা বা মানদণ্ড পরীক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কিত কিছু তথ্য।

এইচএসকে  চীনা ভাষার দক্ষতা বা মানদণ্ড সম্পর্কিত একটি পরীক্ষা।

এইচএসকে পরীক্ষার মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়। এইচএসকে পরীক্ষার ফলাফল চীনা ভাষার দক্ষতা প্রমাণের গুরুত্বপূর্ণ সনদ।

ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা শেষ হবার এক মাস পর www.chinesetest.cn ওয়েবসাইট থেকে নিজের পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন।

ওয়াইসিটি পরীক্ষা: বিদেশের প্রাথমিক স্কুল বা মাঝারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষার দক্ষতা প্রমাণের এক ধরনের পরীক্ষা।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে এ পরীক্ষা নেয়া হয়।

এ পরীক্ষায় শুধুমাত্র বিদেশের প্রাথমিক ও মাঝারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারেন।

চীনা ভাষা শেখার শিক্ষার্থীদের ব্যবসা সংক্রান্ত চাহিদা মেটানোর জন্য ২০০৬ সাল থেকে বিজনেস চায়না টেস্ট বা বিসিটি পরীক্ষা চাল করা হয়। এ পরীক্ষার উদ্দেশ্য হলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাণিজ্যিক পরিবেশে চীনা ভাষায় যোগাযোগের দক্ষতা পরীক্ষা করা। যাতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মী বাছাই ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ তত্পরতার মানদণ্ড প্রদান করা যায়। যে কোনো বয়সের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।

খ. সুপ্রিয় বন্ধুরা, বিগত অনুষ্ঠানে আমরা চীনের সরকারি বৃত্তি সংক্রান্ত আবেদনের পদ্ধতি নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আসলে সে সম্পর্কিত বৃত্তি ছাড়াও চীনে আরো কয়েক ধরনের বৃত্তি রয়েছে। কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের বৃত্তি এর মধ্যে অন্যতম।

কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করা, চীনের সংস্কৃতির সম্প্রসারণ জোরদার করা, চীনা ভাষা শিক্ষা প্রশিক্ষণ এবং চীনা ভাষা সংক্রান্ত নানা ধরনের ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য এ বৃত্তি চালু হয়।

বিদেশি শিক্ষার্থী, বিশেষজ্ঞ ও চীনা ভাষা নিয়ে অধ্যয়নকরা শিক্ষকদেরকে চীনের সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এ বৃত্তি প্রদান করে থাকে। চীনা ভাষা প্রশিক্ষণ প্রকল্প বা চীনের ইতিহাস ও দর্শনকে সমর্থনের উদ্দেশ্যে এ বৃত্তি চালু করা হয়।

এ বৃত্তির আবেদনকারীদেরকে প্রথমে HSK ও HSKK পরীক্ষার যুক্তিযুক্ত ফলাফল লাভ করতে হবে। এ বৃত্তি ২০০৯ সালে চালু হয়। ২০১২ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৫০টি দেশের ১৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এ বৃত্তি নিয়ে চীনে লেখাপড়া করেছেন। এ বৃত্তির আবেদনকারীদের বয়স হতে হবে ১৬ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তবে চাকরিজীবী চীনা ভাষা প্রশিক্ষণের শিক্ষকের বয়স ৪৫ বছর হতে পারে। এক সেমিস্টার ও এক বছরের প্রশিক্ষণের স্নাতক প্রার্থীরা প্রতি মাসে ১৪০০ ইউয়ান বৃত্তি পাবেন,চীনা ভাষা প্রশিক্ষণের স্নাতকোত্তর প্রার্থীরা প্রতি মাসে পাবেন ১৭০০ ইউয়ান।

আপনারা http://cis.chinese.cn ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদনপত্র স্বাক্ষর করতে পারেন। বিদেশে অবস্থিত কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট ও চীনা দূতাবাসের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিভাগ বৃত্তি প্রার্থীদের মনোনয়ন করে থাকে।

ক. বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর জানাতে চাই আপনাদেরকে। তা হলো, ২০১৫-২০১৬ সালের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের পিএইচডি প্রোগ্রামের বৃত্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।এ ঘোষণা ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর থেকে হানবানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনের শেষ তারিখ পেইচিং সময় ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি। যারা এ প্রোগ্রামে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহী, তারা অতি দ্রুত হানবানের ওয়েবসাইট দেখুন।

ওয়েবসাইটটির ঠিকানা: http://ccsp.chinese.cn/article/2014-07/02/content_54329.htm

খ. এতক্ষণ কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের বৃত্তির কথার শুনলেন। এখন 'চীনা ব্রিজ' প্রতিযোগিতার কিছু তথ্য তুলে ধরতে চাই। এই প্রতিযোগিতা হানবানের উদ্যোগে আয়োজিত বড় ধরনের চীনা ভাষার প্রতিযোগিতা।

এর মধ্যে রয়েছে 'চীনা ব্রিজ' অস্নাতক চীনা ভাষা প্রতিযোগিতা, মাধ্যমিক স্কুলের চীনা ভাষা প্রতিযোগিতা এবং চীনে অধ্যয়ন করা বিদেশি শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষা প্রতিযোগিতা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে 'চীনা ব্রিজ' প্রতিযোগিতা হানবান ও স্থানীয় সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্যন্ত অস্নাতকদের প্রতিযোগিতা মোট ৯ বার আয়োজিত হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশের ৮১২ জন অস্নাতক অংশ নিয়েছেন।

মাধ্যমিক স্কুলের প্রতিযোগিতা দু'বার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০টিরও বেশি দেশের প্রায় ৩১২ জন শিক্ষার্থী চীনে এসে চীনা ভাষা শেখার গল্প বিনিময় করেছেন।

চীনে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা এ পর্যন্ত তিনবার আয়োজিত হয়েছে। এ তিন ধরনের প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীর মোট সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্বের অস্নাতক চীনা ভাষা প্রতিযোগিতা: এর মধ্যে রয়েছে চীনা ভাষার দক্ষতা, চীন সম্পর্কে জ্ঞান ও চীনের সংস্কৃতির তথ্য ইত্যাদি। অংশগ্রহণকারীরা প্রথমে নিজের দেশে প্রাথমিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে বিজয়ীরা চীনে এসে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ফাইনাল প্রতিযোগিতার বিজয়ী কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের বৃত্তি পেয়ে থাকেন। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী বিদেশি শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন।

সাধারণত বিদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিভাগ বা বিদেশে অবস্থিত কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট প্রাথমিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।

প্রতি বছরের জুলাই মাসে চীনে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেমিফাইনালে চীনা ভাষার দক্ষতা, চীন সম্পর্কিত জ্ঞান ও চীনের সংস্কৃতি সম্পর্কিত ধারণা পরীক্ষা করা হয়। আর এরই মধ্য দিয়ে প্রার্থীকে ফাইনাল প্রতিযোগিতার জন্য বাছাই করা হয়। 'চীনা ব্রিজ' প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে আপনারা http://bridge.chinese.cn/ লিংকটি দেখতে পারেন।

ক. বিশ্বের মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষা প্রতিযোগিতা ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়। এ পর্যন্ত পাঁচ বার এ প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের ৯০০ জনেরও বেশি বিদেশি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা চীনে এসে ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। প্রাথমিক প্রতিযোগিতার এই অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি।

১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী বিদেশি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। তাদের প্রতিযোগিতার বিষয় ও ধরণ অস্নাতক চীনা ভাষা প্রতিযোগিতার মতোই। তবে এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল প্রতিযোগিতা প্রতি বছরের অক্টোবর মাসে চীনে আয়োজিত হয়।

বিভিন্ন ধরনের চীনা ভাষা প্রতিযোগিতা ছাড়া, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক স্কুল ও প্রাথমিক স্কুলের প্রধান বা শিক্ষা খাতের কর্মকর্তারাও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে চীন সফর করতে পারেন। তাদের সফরের সময়সীমা সাধারণত এক সপ্তাহ।

সফরকালে তারা চীনের কয়েকটি প্রদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল পরিদর্শন করবেন। এর মাধ্যমে তারা চীনের সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং চীনা শিক্ষকদের সঙ্গে আদান-প্রদান করবেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা স্থানীয় অঞ্চলের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট বা চীনা দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন। চীনের হানবান অফিস বিদেশি প্রতিনিধিদের চীনে থাকা-খাওয়াসহ সংশ্লিষ্ট ব্যয় বহন করবে। সফর শেষে অংশগ্রহণকারীদেরকে তাদের চীন সফরের অভিজ্ঞতা হানবান অফিসে পাঠাতে হবে এবং নিজের স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা ও চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রকল্পও চালু করতে হবে।

খ.আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হলো চীনা ব্রিজের মাধ্যমিক স্কুলের 'গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প' বা 'সামার ক্যাম্প' । প্রতি বছরের গ্রীষ্মকালে বিদেশের চীনা ভাষা শেখার মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা চীনে এসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অংশ নেন। চীন ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের আদান-প্রদান এবং তাদের চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সমঝোতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। চীনে আসার পর তারা চীনের সংস্কৃতি যেমন, কাগজ কাটা, হস্তলিপি-শিল্প, ফ্রি স্টাইল চিত্রকলা ও চা-শিল্প প্রদর্শনের মাধ্যমে চীনের সংস্কৃতি বুঝতে পারেন এবং চীনা শিক্ষার্থীদের বাসায় থাকার মাধ্যমে চীনা জনগণের জীবনযাপন পদ্ধতি জানতে পারেন।

১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী বিদেশি শিক্ষার্থীরা নিজ স্কুলের একজন দায়িত্বশীল শিক্ষকের সঙ্গে চীনে সফর করতে পারেন। এ শিক্ষককে বিদেশে চীনা ভাষার প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকতে হবে।

আবেদনকারীরাও স্থানীয় অঞ্চলের চীনা দূতাবাস বা কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট ও কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। চীনে আসার বিমান টিকিট,ভিসা ও বিমা তাদেরকেই বহন করতে হবে। তবে চীনে আসার পর থাকা-খাওয়া ও পরিবহনের খরচ হানবান বহন করবে। হানবানের যোগাযোগ বিভাগের ফোন নম্বর ০০৮৬-১০-৫৮৫৯৫৯৭২। এ সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

ক. আচ্ছা,বন্ধুরা, সময় দ্রুত ফুরিয়ে এলো।এখন আজকের অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোনো মতামত থাকলে আমাদেরকে চিঠি লিখতে ভুলবেন না। আমাদের ঠিকানা ben@cri.com.cn এবং caoyanhua@cri.com.cn (সুবর্ণা/টুটুল)


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040