প্রায় একই সময়ে হংকংয়ের এক নামকরা রক ব্যান্ড হংকংয়ের বাইরেও সংগীতের এক বিশাল পৃথিবী খুঁজতে চাওয়া শুরু করে। এ ব্যান্ডের নাম বিয়োন্ড। ১৯৮৩ সালে এ ব্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ব্যান্ডেরআত্মার সাথে যুক্ত হুয়াং চিয়া জু ছিলেন চীনের পপ সংগীত ও রক সংগীত ইতিহাসের এক অসাধারণ প্রতিভাবান ব্যক্তি। তিনি এ ব্যান্ডটির অনেক জনপ্রিয় গান রচনা করেছেন। এবার শুনুন এ ব্যান্ডের গান 'অসীম সাগর ও আকাশ'।
গত শতাব্দীর ৮০'র দশকের শেষ দিকে বিয়োন্ড ব্যান্ড হংকংয়ে অতি সাফল্য অর্জন করে। কিন্তু তত্কালীন হংকংয়ের সংগীত মহলের গোটা পরিবেশের প্রতি অসন্তোষ বোধ করে এ ব্যান্ড সংগীত সৃষ্টির স্বাধীন অবকাশ খুঁজতে জাপানে প্রবেশ করে।
বিয়োন্ড ব্যান্ড
টোকিওতে তারা সেখানকার শ্রেষ্ঠ সুরকার ও ডিস্ক কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতা করা শুরু করেন। দুঃখের বিষয়, ১৯৯৩ সালের ২৪ জুন হুয়াং চিয়া জু জাপানে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সময় আকস্মিক দুর্ঘটনায় আহত হন। হাসপাতাল ভর্তি করার ছয় দিন পর তিনি মারা যান। এসময় তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর।
বন্ধুরা, এবার শুনুন বিয়োন্ড ব্যান্ডের গান 'মহাপ্রাচীর'।
ছুই চিয়াকে চীনের রক সংগীতের ধর্মপিতা হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি ১৯৬১ সালের ২ আগস্ট পেইচিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার ১ কোটি ডিস্ক বিক্রি হয়েছে। চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে একহাজার বার রোড শো করা প্রথম পপ সংগীত শিল্পী হলেন ছুই চিয়া। ১৯৮৮ সালের জানুয়ারিতে পেইচিংয়ের চোংশান সংগীত হলে তিনি তার প্রথম একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ১৯৯১ সালের অক্টোবর তার টেলিভিশন সংগীত 'আমাকে তুষার মাটিতে ইচ্ছা মতো খেলতে দাও' যুক্তরাষ্ট্রে 'দর্শকদের সবচেয়ে প্রিয় এশীয় শিল্পী পুরস্কার' আর 'বিশ্বের শেরা দশ জন যুব শিল্পী'র খেতাব অর্জন করে।
ছুই চিয়ান
বন্ধুরা, এবার শুনুন ছুই চিয়ানের গান 'আমাকে তুষার মাটিতে ইচ্ছা মতো খেলতে দাও'।
বন্ধুরা, এতক্ষণ আপনারা চীনের কয়েকটি রক সংগীত শুনলেন। গানগুলো আপনাদের কেমন লাগলো? অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোন মতামত থাকলে আমাকে ইমেইল পাঠাবেন। ইমেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn
বন্ধুরা, সুরের ধারা আসর এ পর্যন্তই। ভালো থাকুন সবাই। আবার কথা হবে। (ইয়ু / টুটুল)