নভেম্বর ২১: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নিউজিল্যান্ড সফর উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) অকল্যান্ডে জাঁকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশটির বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পেশাজীবী সংস্থাগুলো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে সি চিন পিং নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন সম্প্রদায় যারা চীন-নিউজিল্যান্ড সম্পর্ক উন্নয়নে সমর্থনকারী, তাদের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চীন ও নিউজিল্যান্ডের দূরত্ব অনেক হলেও দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪২ বছরে চীন ও নিউজিল্যান্ড হাতে হাত রেখে পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস অটুট রেখেছে, যৌথভাবে চীন ও শিল্পোন্নত দেশের সম্পর্কোন্নয়নে অনেক ক্ষেত্রে প্রথম নজির সৃষ্টি করেছে। নিউজিল্যান্ড হচ্ছে চীনের বাজার অর্থনীতি স্বীকৃতি দেয়া প্রথম শিল্পোন্নত দেশ। এ দেশ প্রথম চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় অবাধ বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা শুরু করেছে, প্রথমেই সে চুক্তি স্বাক্ষর ও কার্যকর করেছে। নিউজিল্যান্ড প্রথম দেশ যে চীনের সঙ্গে সরকারি টেলিভিশন সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সি চিন পিং উল্লেখ করেন, বর্তমানে চীনা জনগণ 'দু'টি শত বছর' লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে। চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ অনুসরণ করবে, অবিচলভাবে পারস্পরিক উপকারিতা, সকলের বিজয় ও উন্মুক্তকরণ কৌশল অনুসরণ করবে। চীনা জনগণ নিউজিল্যান্ডের জনগণের সঙ্গে যৌথভাবে দু'দেশের আরো সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করবে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কি বলেন, চীন নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং নিউজিল্যান্ডের জনগণের পুরোনো বন্ধু। তাঁর সফর দু'দেশের সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে এনে দেবে এবং দু'দেশের সহযোগিতার নতুন ভবিষ্যত সম্ভাবনার পথ সুগম করবে। (ইয়ু/তৌহিদ)
| ||||