প্যারিস চীনা চলচ্চিত্র উত্সবের চেয়ারম্যান কাও ছুন ফাং বলেন, ইউরোপে চীনা চলচ্চিত্রের বৃহত্তম উত্সব এবং সবচেয়ে আগে প্রতিষ্ঠিত উত্সব হিসেবে ১০ বছরের মধ্যে প্যারিস চীন চলচ্চিত্র উত্সবে মোট ৩শ'রও বেশি চীনা চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে, যা চীন ও ফ্রান্সের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাধারণ দর্শকদের ব্যাপক সমাদর পেয়েছে। ফ্রান্স হলো চলচ্চিত্রের জন্মস্থান এবং বিশ্বের শিল্পের রাজধানী। তাই প্রতি বছর ফ্রান্সে চীনা চলচ্চিত্রের উত্সব আয়োজন খুবই তাত্পর্যপূর্ণ।

ইউনিফ্রান্স ফিল্মের চেয়ারম্যান জেন পল স্যালোম মনে করেন, বর্তমানে চীনের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রাঙ্গনে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চীন ও ফ্রান্সের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিনিময় ও সহযোগিতাও ধাপে ধাপে আরো গভীর ও ব্যাপক হয়ে উঠছে। প্যারিস চীনা চলচ্চিত্র উত্সব সত্যিই চীন ও ফ্রান্সের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিনিময় ও সহযোগিতার একটি প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে আরো বেশি ফরাসি দর্শক চীন এবং চীনের চলচ্চিত্র ও শিল্পের আকর্ষণীয় শক্তি অনুধাবন করতে সক্ষম। জেন পল স্যালোম আরো বলেন, 'এবারের উত্সব হলো চীন ও ফ্রান্সের সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্র শিল্পের বিনিময়ের এক মহাসম্মিলনী। উত্সব চলাকালে প্যারিসসহ ফ্রান্সের অন্যান্য শহরের দর্শকরা চীনের যেসমস্ত চলচ্চিত্র দেখতে পান সেগুলো তাঁরা আগে খুব কমই দেখেছেন। তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি, অনেক চীনা দর্শক ফ্রান্সের চলচ্চিত্র দেখতে পছন্দ করেন।

চীন ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত 'দ্য নাইটেঙ্গেল' চলচ্চিত্রটি চলতি বছর চীনের পক্ষ থেকে অস্কারের শ্রেষ্ঠ বিদেশি চলচ্চিত্রের পুরস্কারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ চলচ্চিত্রটি ফ্রান্সে প্রদর্শনের ফলে চীন সম্পর্কে ফরাসি নাগরিকদের জানাশোনা আগের চেয়ে আরো ব্যাপক ও গভীর হবে। চীনের চলচ্চিত্র শিল্পের মান বছর বছর উন্নত হচ্ছে। চীনের অধিক থেকে অধিকতর চলচ্চিত্র কান, বার্লিন ও ভেনিসসহ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে অংশ নেয়। শিল্প ও বাণিজ্য উভয় ক্ষেত্রেই চীনের চলচ্চিত্রে লক্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।