দাদি মারা যাওয়ার পর বাবার সেই হবু বউয়ের পরিবার তাঁদের দু'জনের বিবাহ প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ তারা মনে করেন, দাদির মৃত্যু তাদের বিয়েতে কুফল বয়ে আনবে। এই মৃত্যু তাদের জন্য দুর্ঘটনা বলে তারা তাদের মেয়েকে মোহাম্মদের বাবার সাথে বিয়ে দিতে চান না।
বিয়ে করতে না পারার দু:খে বাবা সুদূর কাঠের কারখানা থেকে ছোট মোহাম্মদকে বাসায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। বাবা যখন সেই কাঠের কারখানার কাছাকাছি পৌঁছান তখন বাবার মধ্যে একধরনের অপরাধ বোধ কাজ করে। বাবা দ্বিধার মধ্যে পড়ে যান । এক পর্যায়ে তিনি সেখান থেকে ফেরত আসারও চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মোহাম্মদকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। যেহেতু মোহাম্মদ অন্ধ তাই বাবা তাকে ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে নিয়ে আসেন । পথিমধ্যে একটি কাঠের সেতু পার হওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে যায়। ঘোড়াসহ নিচে পড়ে যায় মোহাম্মদ । সেতুর নিচে তখন তীব্র পানির স্রোত বইছে। পানিতে হাবুডুবু খেতে থাকে মোহাম্মদ এবং ঘোড়া । জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে সেখান থেকে বাঁচার চেষ্টা করে তারা।
এই দৃশ্য দেখে বাবা আর বসে থাকতে পারেন না। কি করবেন ভেবে উঠতে পারেন না তিনি। অবশেষে ছেলেকে উদ্ধারের জন্য সেই তীব্র স্রোতের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন ।