তাঁরা তিন জন দক্ষিণ কোরিয়ার এ ছোট গ্রামের জীবনের সঙ্গে দিন দিন অভ্যস্ত হতে থাকেন এবং গ্রামবাসীদের গভীর আগ্রহ অনুভব করতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে হঠাত্ একদিন স্বদেশের সর্বশেষ একটি দায়িত্ব পান, তা হলো আত্মহত্যা।
কারণ তখন উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক নীতি পরিবর্তিত হয়। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক প্রশমনের আশা পোষণ করে এবং সেদেশে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচরদেরকে চিরদিনের একটি গোপন বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করতে চায়। আর এ ক্ষেত্রে মৃতদেহের চেয়ে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ উপায় তাদের কাছে নেই।
এই খবর পাওয়ার পর এ তিন তরুণ গুপ্তচর বুঝতে পারেন না, কেন তাদের দেশ তাদেরকে বিশ্বাস করে না? তাদের ধারণায়, আসলে তারা স্বদেশে ফিরতে পারে এবং একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বাকী জীবন কাটাতে পারে।
চলচ্চিত্রের পরিণতি একটু বেদনাদায়ক। তাদের শিক্ষক তাদের তিন জনকে হত্যা করার জন্য এই ছোট গ্রামে আসেন। এই তিন জনকে হত্যা করার পর শিক্ষককে আত্মহত্যা করতে হবে। আসলে তারা যদি দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করে, তাহলে তারা বেঁচে থাকতে পারেন। তবে তারা তা করতে চান না।