দিন দিন তিনি এ ছোট গ্রামের প্রত্যেক মানুষের অবস্থা খুব স্পষ্টভাবে জেনে ফেলেন। যেমন, তাদের পেশা কি, তাদের পরিবারে কয়জন সদস্য আছে, কোন স্কুলে লেখাপড়া করে প্রভৃতি। প্রত্যেক গ্রামবাসীর ওপর যতবেশি জানতে শুরু করেন তিনি ততবেশি তাদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ হন। কেননা বোকার মতো আচরণ করায় এ ছোট গ্রামবাসীরা তাঁর সাথে খারাপ আচরণ করতেন না। বরং এ গ্রামের একজন স্বাভাবিক সদস্য হিসেবে তাঁর সাথে সবাই ভালো ব্যবহার করতেন।
বোকা সেজে জীবন যাপন করার প্রক্রিয়ায় ইউয়েন লিউ হুয়ান সাধারণ মানুষের উষ্ণতাপূর্ণ জীবন অনুধাবন করতে পারেন।
উত্তর কোরিয়ায় প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় তিনি এমন উষ্ণতাপূর্ণ জীবন উপলব্ধি করতে পারেননি। তাই এসব মানুষের উষ্ণতাপূর্ণ জীবন দেখে তাঁর পাথরের মতো মন ধীরে ধীরে গলতে শুরু করে।
কিম জং ইল মারা যাওয়ার পর উত্তর কোরিয়ায় বড় পরিবর্তন ঘটে। ইউয়েন লিউ হুয়ানের আরেকজন সহকর্মী এই ছোট গ্রামে আসেন। এর পর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আরেকজন গুপ্তচর এই ছোট গ্রামে আসেন।