ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে মাইকেল মা ও স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তিনি শুনতে পান যে, তাঁর মেয়ে অন্য একজন পুরুষকে 'বাবা' বলে ডাকছেন। একথা শুনে তিনি মূর্ছা যান এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
হাসপাতালের বিছানায় তিনি শুনতে পান, তাঁর ছেলে চাকরির জন্য মধুচন্দ্রিমা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তখন তিনি তাঁর ছেলেকে বলেন, 'পৃথিবীতে পরিবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ'। এই কথাটা বলার পর পরই মাইকেল মারা যান।
অবশ্য তাঁর জীবন এখানেই শেষ হয়ে যায় না। আসলে মোটি নামের সেই দোকানের মালিক সাধারণ মানুষ নন, তিনি একজন দেবদূত। দেবদূত মাইকেলকে পুনর্বাসনের একটি সুযোগ দেন। সময় হঠাত আবার পিছনে চলে যায়, মানে সময়কে মাইকেলের সেই রিমোট কন্ট্রোল না পাওয়ার মুহূর্তে ফিরিয়ে আনা হয়। মাইকেল আবিষ্কার করেন, তিনি দোকানের একটি বিছানায় শুয়ে আছেন। যা কিছু ঘটে গেছে সবই তাঁর একটি স্বপ্ন মাত্র।
দ্বিতীয় জীবন পেয়ে মাইকেল আশেপাশের সব জিনিস ও পরিবেশ এবং নিজেকে আবার পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেন। এবার তিনি পরিবারকে গুরুত্ব দেয়া শুরু করেন এবং সবার আগে পরিবারকে অগ্রাধিকার দিতে থাকেন। জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত উপভোগ করতে শুরু করেন তিনি।