যখন তিনি অফিসে থাকেন তখন তিনি এই রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে সময়কে দ্রুত পার করে দেন। যখন তিনি কোনো ভুল করেন তখন তিনি এই রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে শাস্তি এড়াতে পারেন। এক কথায় এই অদ্ভুত রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে মাইকেলের জীবন আগের তুলনায় আরো আরামদায়ক ও সহজ হয়ে যায়।
তবে মাইকেল জানেন না যে, এই রিমোট কন্ট্রোল স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁর আচরণ রেকর্ড করতে পারে। এক বছর পর এই ছোট রিমোট কন্ট্রোল এলোমেলোভাবে মাইকেলের জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। ফলে মাইকেলের জীবনও গভীরভাবে এলোমেলো হয়ে যায়।
রিমোট কন্ট্রোলের ভূমিকার জন্য যখন মাইকেল ট্র্যাফিক জ্যামের সম্মুখীন হতেন তখন তিনি স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন, তথাকথিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডিনার খেতেন, তখন তাঁর পরিবেশ পরিবর্তিত হয়ে যেত এবং সময় নিজ উদ্যোগেই জাম্প করে সামনে চলে যেত।
সময় খুব দ্রুত সামনে জাম্প করে। একদিন তিনি আবিষ্কার করেন, সময় ২০১৭ সালে পৌঁছে গেছে। তিনি কোম্পানির মহাপরিচালক হন এবং তাঁর জীবনে বিশাল পরিবর্তন ঘটে। তাঁর স্ত্রী তাঁর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন, তাঁদের ছেলেমেয়ে বড় হয় এবং তাঁর বাবাও ইতোমধ্যে মারা যান। তবে খুব দুঃখজনক বিষয় হলো, এসব ঘটনা কখন এবং কিভাবে ঘটে, মাইকেল কিছুই জানেন না, কোনো স্মৃতিই তিনি মনে করতে পারেন না।