অভ্যন্তরীণ পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে যুদ্ধবন্দি দলের সকল সদস্যদেরকে লকার রুমের নর্দমাযুক্ত ড্রেনের মাধ্যমে পালিয়ে যেতে হবে। এখন তাঁদের সবার সামনে দু'টি পথ খোলা। একটা হলো পালিয়ে যাওয়া এবং সেই সাথে এবারের প্রতিযোগিতার পরাজয় স্বীকার করে নেয়া।
অন্যটি হলো, প্রতিযোগিতায় অব্যাহত থাকা মানে খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফিরে আসা। তবে এর ফলে তাঁদেরকে আবার যুদ্ধবন্দি শিবিরে ফিরে আসতে হবে।
এমন সময় একজন সদস্য বলেন, তিনি প্রতিযোগিতা পরিত্যাগ করতে চান না। তিনি বিশ্বাস করেন, তারা জার্মানদেরকে পরাজিত করতে পারবেন। তাঁর একথা শুনে দলের সকল সদস্য বুঝতে পারেন যে, আসলে এবারের প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র সাধারণ একটি প্রতিযোগিতাই নয়, তাদের এ প্রতিযোগিতা হলো অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম এবং গৌরব ছিনিয়ে আনার সংগ্রাম।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধে যুদ্ধবন্দি দলের সকলের প্রচেষ্টায় স্কোর ৪-৪ হয়ে যায়। খেলা শেষ হওয়ার আগে আহত সদস্যের দেয়া একটি সুন্দর গোলের ফলে যুদ্ধবন্দি দল ৫-৪গোলে এগিয়ে যায়।
তবে রেফারি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে জার্মান দলকে একটি পেনাল্টি দেন। ফলে এই প্রতিযোগিতার ফলাফল কি হবে, কোন দল জয়ী হবে তা এই পেনাল্টি কিকের উপরই নির্ভর করে। যুদ্ধবন্দি দলের গোলরক্ষক সুন্দরভাবে জার্মান দলের এই পেনাল্টি প্রতিহত করেন। অবশেষে মিত্রশক্তির যুদ্ধবন্দি দল খেলায় জয়লাভ করেন।