বন্ধুরা, এখন আপনারা শুনছেন পিপা বীণা নামে একটি সুর। এ সুরটি বাজিয়েছেন চীনের আধুনিক পিপা বাদক ছাও ছোং। তিনি কেন্দ্রীয় জাতিগত বাদকদলের পিপা বাদক ও জাতীয়ভাবে প্রথম পর্যায়ের শিল্পী।
ছাও ছোং
ছাও ছোং ১৯৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছোট বেলায় তিনি ভাইয়ের সঙ্গে পিপা শিখতেন। তারপর সুন শুলিন ও অধ্যাপক লি কুয়াং হুয়ার কাছ থেকে তিনি পিপা শেখেন। তিনি 'থিয়েন হুয়া কাপ' শীর্ষক জাতীয় যুব পিপা প্রতিযোগিতার প্রথম শ্রেণীর পুরস্কার, প্রথম কেন্দ্রীয় সংগীত ইনস্টিটিউটের 'লোং ইন কাপ' শীর্ষক জাতিগত বাদ্যযন্ত্র প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ পুরস্কার, চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত 'শ্রেষ্ঠ যুব খেতাব'সহ নানা গৌরব অর্জন করেছেন।
বন্ধুরা, এখন আপনারা শুনছেন ছাও ছোংয়ের বাজানো 'শিন্ডলার্স লিস্ট' নামের একটি সুর। এই একই নামের একটি চলচ্চিত্র ১৯৯৪ সালে ৬৬তম অস্কারে সেরা চলচ্চিত্রের খ্যাতি অর্জন করে।
২০০০ সালে ছাও ছোং কেন্দ্রীয় সংগীত ইনস্টিটিউট থেক স্নাতক হন এবং একই সালে তিনি কেন্দ্রীয় জাতিগত বাদকদলে যোগ দেন। তিনি বহু বার কেন্দ্রীয় জাতিগত বাদকদল, চীনা ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা ,চীনের সিমফনি অর্কেস্ট্রা, টোকিও নগর সিমফনি অর্কেস্ট্রা, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল সিমফনি অর্কেস্ট্রা, ডেনমার্কের বেতার সিমফনি অর্কেস্ট্রাসহ নানা বিখ্যাত অর্কেস্ট্রার সঙ্গে সুর বাজিয়েছেন। নিউইয়র্কের লিঙ্কন কেন্দ্র, কার্নেগাই হল, ওয়াশিংটন জাতীয় হল, প্যারিস চেজ এলিজ থিয়েটার, জাপানের সাপ্পোরো হল, নেদারল্যান্ডের অ্যামস্টারড্যাম হল ও সেন্ট পিটার্সবার্গ থিয়েটার সহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর শ্রুতিমধুর বাদ্যযন্ত্রের সুর রয়েছে।
চাও ছোং
বন্ধুরা, এখন আপনারা শুনছেন চাও ছোংয়ের বাজানো 'লিয়াংজু' নামে সুর।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড বলতেন, 'আমি উত্তেজিত মন নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আপনার সুর শুনতে চাই।'
দক্ষিণ কোরিয়ার দৈনিক সিউল পত্রিকা চাও ছোংকে 'সংগীত কূটনীতিবিদ' মনে করে।
গ্র্যামি পুরস্কারের জুরি জেফ রোনা বলেন, 'চাও ছোংয়ের বাজানো চীনের 'শুনো' নামের সংগীত হচ্ছে বিশ্বের গীতিকারদের চোখে সবচেয়ে সুন্দর চীনের লোকসংগীত।"