Web bengali.cri.cn   
দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অর্থনৈতিক খবর
  2014-05-12 20:11:10  cri

১. শিল্প স্থাপনে সহজে জমি পাবেন উদ্যোক্তারা: বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর আশ্বাস

শিল্প স্থাপনের জন্য উদ্যোক্তারা যাতে সহজে প্রয়োজনীয় জমি পেতে পারেন, সে লক্ষ্যে আগামী বাজেটে একটি ব্যবস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শনিবার ঢাকায় ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, দেশীয় বিনিয়োগ বাড়াতেই এ খাতে বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে।

মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচে বড় বাধা হচ্ছে জমি পাওয়া।' এই বাধা দূর করতে জমি অধিগ্রহণ করা হবে এবং ইতোমধ্যে অধিগ্রহণের জন্য ৭টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিদেশি বিনিয়োগ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ফিরে গেলেও, এখন তারা বড় আকারের বিনিয়োগ নিয়ে ফিরে আসছেন।

২. মূসক আদায় ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করতে বাংলাদেশকে ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায় ব্যবস্থাকে আরো আধুনিক ও কার্যকর করতে বাংলাদেশকে ৬ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। গত শুক্রবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটির ঢাকা কার্যঅলয়। ঋণের অর্থ 'মূসক উন্নয়ন কর্মসূচি' নামের একটি প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে অনলাইনে মূসক বা ভ্যাট পরিশোধ সেবাসহ স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার প্রবর্তন ও মূসক প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অধীনে ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের জিডিপিতে মূসকের অবদান বাড়ানোর লক্ষ্যও ঠিক করা হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপিতে মূসকের অবদান ছিল ৩.৭ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে যে, বিশ্বব্যাংকের শাখা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) ৪০ বছর মেয়াদী এই ঋণ দেবে এবং এর জন্য বাংলাদেশকে ০.৭৫ শতাংশ অর্থ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।

৩. জাহাজ-ভাঙ্গা শিল্পে বাংলাদেশি বিনিয়োগ চায় সুদান

সুদানের জাহাজ-ভাঙ্গা শিল্পে বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হাসান ই এল তালিব। রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে এক শুভেচ্ছা বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এ আহ্বান জানান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে সুদানে পাট, পাটজাত পণ্য ও ওষুধ রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্রদূতের কাছে অনুরোধ করেন।

৪. ২০৫০ সালের মধ্যে পাকিস্তান বিশ্বের ১৮তম বৃহত্তম অর্থনীতি হতে পারে: জিম ও'নেইল

প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জিম ও'নেইল বলেছেন, পাকিস্তান ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১৮তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবার মতো সম্ভাবনা ধারণ করে। তার হিসেব অনুসারে, ওই সাল নাগাদ পাকিস্তানের জিডিপি দাঁড়াবে ৩.৩৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা বর্তমানে জার্মানির জিডিপির প্রায় সমান। এদিকে, বর্তমানে পাকিস্তানের জিডিপি হচ্ছে ২২৫.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ হিসেবে দেশটি বর্তমানে বিশ্বের ৪৪তম অর্থনীতি। যদি জিম ও'নেইলের অনুমান সত্যি হয়, তবে পাকিস্তানের অর্থনীতি আগামী ৩৫ বছরে ১৫ গুণ বৃদ্ধি পাবে।

উল্লেখ্য, জিম ও'নেইল ২০০১ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করে 'ব্রিক' (BRIC) টার্মটির সাথে বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এখন তিনি 'মিন্ট' (MINT) টার্মটির কথা বলছেন। তার হিসেবে, মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া ও তুরস্ক আগামী কয়েক দশকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী হবে।

৫. ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাবে দু'দেশ

ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাবে দু'দেশ। রোববার তেহরানে পাকিস্তানের সফররত প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির বৈঠকে এ ব্যাপারে দু'পক্ষ একমত হয়। বৈঠকে দু'নেতা প্রকল্পটিকে দু'দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পাক প্রধানমন্ত্রী এসময় জানান, তার সরকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে বাধাসমূহ দূর করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সাদাবাদ প্রাসাদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে দু'দেশের প্রতিশ্রুতির কথাও পুনর্ব্যক্ত করা হয়। এসময় পাক প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্টকে বলেন, তার দেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে চায়। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে পাক সরকার ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাকিস্তান-ইরান গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণকাজ স্থগিত রাখার ঘোষণা দিলে, দু'দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। প্রকল্পের ইরানি অংশের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন ইরান চায় পাকিস্তান তার অংশের কাজ শেষ করুক।

৬. ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে সালিশি নোটিশ পাঠাল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ

প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণায় দেরি করায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে সালিশি নোটিশ পাঠিয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (আরআইএল), বিপি ও নিকো। শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির কে জি বেসিনে গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্ব পালনরত এই তিন কোম্পানি।

বিবৃতিতে জানানো হয়, কে জি বেসিন থেকে তোলা গ্যাসের নতুন মূল্য কার্যকর হওয়ার কথা ছিল পয়লা এপ্রিল থেকে। কিন্তু সেটি না-হওয়ায় এই গ্যাসক্ষেত্রে চলতি বছর ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া, কে জি-ডি৬ ব্লকে গ্যাসের উত্পাদন বাড়াতে আগামী কয়েক বছরে যে ৮শ থেকে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে, তা-ও থমকে আছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে কে জি-ডি৬ ব্লকে কম গ্যাস উত্পাদনের কারণে ১৮০ কোটি ডলার জরিমানা করা হয়েছিল এই তিনি সংস্থাকে। তা নিয়েও সরকারের সাথে সালিশি প্রক্রিয়া চলছে। কে জি-ডি৬ ব্লকে আরআইএল, বিপি ও নিকোর অংশীদারি যথাক্রমে ৬০, ৩০ ও ১০ শতাংশ। (আলিম)

মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040