(শিশির লি ওয়ান লু):২০১২ সালে চীনে প্রকাশিত 'জ্বালানি সাশ্রয়ী ও নতুন ধরণের জ্বালানি চালিত গাড়ি শিল্প উন্নয়ন পরিকল্পনা ২০১২-২০২০ 'তে বলা হয় যে, ভবিষ্যতে বিদ্যুত্ চালিত গাড়ি হবে মোটরগাড়ি শিল্প উন্নয়নের প্রধান দিক।

আসলে গত শতাব্দীর ৮০'র দশক থেকে চীন বিদ্যুত্ চালিত গাড়ি সম্পর্কে গবেষণা শুরু করে। ২০০৮ সালে পেইচিংয়ে অলিম্পিক গেমস চলাকালে নিজেদের উদ্যোগে উত্পাদিত ৫০০টি বিদ্যুত্ চালিত গাড়ি প্রথম বারের মতো দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ২০১০ সালে সাংহাই বিশ্ব মেলা চলাকালে ১ হাজারেরও বেশি নতুন ধরণের জ্বালানি চালিত গাড়ি এ মেলায় আসা-যাওয়া করে। ২০১১ সালে সেং চেন বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের গেমস চলাকালে ২ হাজারেরও বেশি নতুন ধরণের জ্বালানি চালিত গাড়ি লক্ষ্য করা যায়।

এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করা ছাড়াও, চীনা বাজারে বিদ্যুত্ চালিত গাড়ির অবস্থা কেমন তা নিয়ে একটু আলোচনা করতে চাই।

তিন বছর আগে হাং চৌ শহরের অধিবাসী মিঃ ফেং আকস্মিক একটি সুযোগে বিদ্যুত্ চালিত গাড়ির প্রচারমূলক তথ্য পড়েন এবং বিদ্যুত্ চালিত গাড়ির পরিবেশ সংরক্ষণশীল ও জ্বালানি সাশ্রয়ী বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহারে নিম্ন খরচ তাকে আকর্ষণ করে। মিঃ ফেংয়ের একটি সাধারণ গাড়ি আছে, তিনি বলেন "সাধারণ গাড়ি একশো কিলোমিটার চললে ৮-১০ লিটার তেল লাগে এবং তাতে খরচ পড়ে প্রায় ৭০-৮০ ইউয়ান। তবে একশো কিলোমিটারে বিদ্যুত্ চালিত গাড়ি চালালে শুধুমাত্র ১০ ইউয়ান লাগবে। যত বেশি আমি এ গাড়ি দিয়ে যাব তত বেশি খরচ সাশ্রয় করতে পারব।"

কিন্তু তিন বছর আগে একটি বিদ্যুত্ চালিত গাড়ির দাম ছিল ২ লাখ ইউয়ান এবং সরকারি ভাতা ছাড়াও এ গাড়ির খরচে আরো দশ বারো ডলার লাগতো যা সাধারণ গাড়ির চেয়ে সস্তা নয়। দ্বিধাগ্রস্ত হলেও মিঃ ফেং অবশেষে এ বিদ্যুত্ চালিত গাড়ি কেনেন। তবে ক্ষণকাল পরে তিনি অনেক সমস্যার সম্মুখীণ হন। তিনি বলেন"৮০ কিটলোমিটার চললে কোনো সমস্যা নেই, তবে আরও দূরে যেতে হলে বিদ্যুত্ চালিত গাড়ি চালাব না আমি, কারণ ৮০ কিলোমিটার যাওয়ার পর ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়।"

প্রযুক্তির বিধিনিষেধে একবার ব্যাটারি চার্জ দেয়ার পর শুধু ১০০ কিলোমিটার যেতে পারে গাড়িটি। মিঃ ফেং বলেন,"ঐ সময়ে ব্যাটারি চার্জ বিষয়ে অনেক অসুবিধা ছিল। এক্সপ্রেস সড়কপথ বা সাধারণ সড়কপথের দু'পাশে কোনো ব্যাটারি চার্জ স্থাপনা ছিল না। কিন্তু সাধারণ গাড়ির জন্য সহজেই একটি তেল স্টেশন খুঁজে পাওয়া যায়।"