Web bengali.cri.cn   
চীনা সংস্কৃতি: চীনের ধ্রুপদী সঙ্গীত-জুং কুও কু তিয়েন ইন ইউয়ে
  2014-01-06 18:26:57  cri

সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের 'স্বর্ণার সাথে শিখুন' আসরে চীনের ধ্রুপদী সঙ্গীত - কু তিয়েন ইন ইউয়ে - এর কথা আপনাদেরকে জানাবো আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা।

চীনের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে সঙ্গীতের ইতিহাসও সুদীর্ঘ ও সুউজ্জ্বল। খ্রিষ্টপূর্ব ৭০০ অব্দের দিকে চীনের 'চৌ' রাজবংশের সময় রাজপ্রাসাদে সঙ্গীত বিভাগ চালু হয়। তখন থেকে সঙ্গীত শিল্পকলার একটি অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

চীনের ধ্রুপদী সঙ্গীত প্রথমে রাজপ্রাসাদে ধর্মীয় উত্সর্গ অনুষ্ঠানে বাজানো হতো। এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে রাজপ্রাসাদ-সঙ্গীত ও লোকসঙ্গীতের সংমিশ্রণে সুং রাজবংশের সময় সঙ্গীতের খুব দ্রুত উন্নয়ন হয়।

খ্রিস্টীয় ১ হাজার সালের দিকে অর্থাত্ চীনের সুং রাজবংশের সময় চীনের সঙ্গীত অভিজাত সম্প্রদায়ের বিশেষাধিকার থেকে জনগণের উপভোগের শিল্পে পরিণত হয়। সুং রাজবংশের সময় আবার চীনের সাহিত্য ও সঙ্গীত সম্মিলনের গুরুত্বপূর্ণ সময়পর্ব। ওই সময় বহু সুন্দর সুন্দর কবিতা লেখা হয় এবং তখনকার সব কবিতা আবার সুরের সঙ্গে গাওয়া হতো। ওই সময় গানের সুর ৮০০রও বেশি রকমের ছিল।

প্রাচীনকালে চীনের সঙ্গীতে মাত্র পাঁচটি স্কেল ছিল, সেগুলো হলো 'কুং', 'শাং', 'চিয়াও', 'জি', 'ইয়ু', প্রায় বাংলা সঙ্গীতের সা, রে, গা, পা, ধা-এর মতো। আস্তে আস্তে চীনা সঙ্গীতে সাতটি স্কেল আসে।

এখন চীনের ধ্রুপদী সঙ্গীত বললে বিশেষ করে চীনের নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র দিয়ে বাজানো লোকসঙ্গীত বোঝায়। চীনের নিজস্ব বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে 'কু ছিন', 'জেং', 'ফি পা', 'হু লু সি', 'তি জি', 'শিয়াও', 'আর হু' এবং 'শুন' রয়েছে। এর মধ্যে 'কু ছিন', 'জেং', 'ফি পা' আর 'আর হু' হলো তারযুক্ত যন্ত্র। 'তি জি' হলো বাঁশি, 'শিয়াও' শুনতে বাঁশির মতো, 'শুন' হলো মাটি দিয়ে তৈরি বায়ু দিয়ে বাজানো যন্ত্র। প্রত্যেক যন্ত্রের নিজস্ব বৈশিষ্ট আছে।

সুপ্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ শুনলেন চীনের ধ্রুপদী সঙ্গীত সম্পর্কিত কিছু কথা। আজকের অনুষ্ঠান এ পর্যন্ত। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। (ইয়াং ওয়েই মিং/এসআর)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক