Web bengali.cri.cn   
পাঠ-৫২ ফোনে আলাপ (১)
  2013-05-08 16:29:32  cri
ক: বাংলায় চীনা ভাষা শিখুন। সুপ্রিয় শ্রোতা, হাতে খাতা-কলম নিয়ে স্বর্ণা এবং শিহাবের সঙ্গে চীনা ভাষা শিখার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন? চলুন, কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের ক্লাস শুরু হচ্ছে।

খ: প্রতিদিন মাত্র পাঁচ মিনিট সময় ব্যয় করে আপনি অনেক চীনা ভাষা শিখতে পারেন।

ক: সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা এখন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের এক নতুন চীনা ভাষা শেখার অনুষ্ঠান 'কনফুসিয়াস ক্লাসরুম' শুনছেন। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা।

খ: আর আছি আমি শিহাবুর রহমান। নি হাও! প্রিয় শ্রোতা, 'কনফুসিয়াস ক্লাসরুম' অনুষ্ঠান থেকে আপনারা প্রাথমিক চীনা ভাষা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রয়োজনীয় চীনা ভাষা শিখতে পারবেন।

ক: গত কয়েক ক্লাস ধরে আমরা ব্যাংকে ব্যবহৃত কিছু চীনা ভাষা শিখিয়েছি। আমি আরএমপি বিনিময় করতে চাই, এর চীনা ভাষা কী মনে আছে, শিহাব?

খ: হ্যাঁ, অবশ্যই মনে আছে, তা হলো 'ওয়া শিয়াং হুয়ান রেনমিনপি'।

ক: হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন, 'ওয়া শিয়াং হুয়ান রেন মিন পি'। আজকের ক্লাসে আমরা ফোনে আলাপ সম্পর্কিত কিছু চীনা ভাষা শিখাবো। কেমন?

খ: আচ্ছা, খুব ভাল হয়।

ক: তাহলে প্রথমে শুনুন, আজকের প্রধান প্রধান বাক্য।

******প্রধান প্রধান বাক্য

ক: ওয়েই, নিন হাও, লি শিয়ান শেং জাই মা?

খ: তুই পু ছি, থা শিয়ান জাই পু জাই।

ক: থা শেন মা শি হৌ হুই লাই?

খ: তা কাই ই ক্য শিয়াও শি হৌ।

**********

ক: ইংরেজিতে ফোনে কথা বলার সময় সাধারণত প্রথমে বলা হয় 'হ্যালো'। আর চীনে ফোনআলাপের সময় প্রথমে বলা হয় 'ওয়েই, নিন হাও'।

খ: হ্যাঁ, আমি তা জানি। 'ওয়েই, নিন হাও', ইংরেজিতে 'হ্যালো'র মতো।

ক: আপনি যদি অফিসে ফোন করে লি সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে চান, তাহলে চীনা ভাষায় বলতে পারেন, 'ওয়েই, নিন হাও, লি শিয়ান শেং জাই মা?'। এখানে 'লি শিয়ান শেং' মানে লি সাহেব। 'শিয়ান শেং' মানে সাহেব। 'জাই', মানে আছে, থাকা। 'মা' হলো প্রশ্নবোধক শব্দ। হ্যালো, লি সাহেব কি আছেন? চীনা ভাষায় বলা হয় 'ওয়েই, নিন হাও, লি শিয়ান শেং জাই মা?'।

খ: 'ওয়েই, নিন হাও, লি শিয়ান শেং জাই মা?', হ্যালো, লি সাহেব আছেন? 'ওয়েই, নিন হাও, ইংরেজিতে 'হ্যালো'র মতো। 'লি শিয়ান শেং' মানে লি সাহেব, 'শিয়ান শেং' মানে সাহেব। 'জাই' মানে আছে, থাকা। 'মা' হলো প্রশ্নবোধক শব্দ। 'ওয়েই, নিন হাও, লি শিয়ান শেং জাই মা?'

ক: দুঃখিত, তিনি এখন নেই, 'তুই পু ছি, থা শিয়ান জাই পু জাই'। দুঃখিত, এর চীনা ভাষা আমরা আগে শিখেছিলাম, 'তুই পু ছি'। তিনি এখন নেই, 'থা শিয়ান জাই পু জাই'। তিনি, চীনা ভাষায় বলা হয় 'থা', এখন, চীনা ভাষায় বলা হয় 'শিয়ান জাই', নেই, চীনা ভাষায় বলা হয় 'পু জাই'। এখানে 'পু' হলো না-বোধক শব্দ, যেটি সাধারণত ক্রিয়াপদ বা বিশেষণের আগে ব্যবহৃত হয়। 'পু জাই' মানে থাকে না, অর্থাত্ নেই। 'পু হাও' মানে ভাল না, অর্থাত্ খারাপ।

খ: আচ্ছা, এখানে আমরা আরেকটি শব্দ শিখলাম, তা হলো 'পু'। 'পু', না-বোধক শব্দ, সাধারণত ক্রিয়াপদ বা বিশেষণের আগে ব্যবহৃত হয়। 'পু জাই' মানে নেই। 'পু হাও' মানে ভাল না। 'পু ছুই' মানে যাবো না। দুঃখিত, তিনি এখন নেই, 'তুই পু ছি, থা শিয়ান জাই পু জাই'। 'তুই পু ছি' অর্থ হলো দুঃখিত। 'থা' মানে তিনি অথবা সে। 'শিয়ান জাই' মানে এখন। 'পু জাই' মানে থাকে না বা নেই।

ক: তিনি কখন ফিরে আসবেন? চীনা ভাষায় বলা হয় 'থা শেন মা শি হৌ হুই লাই'? কখন, চীনা ভাষায় বলা হয় 'শেন মা শি হৌ'। 'শেন মা' মানে কী বা কোন, 'শি হৌ' মানে সময়। 'শেন মা শি হৌ' মানে কোন সময়, অর্থাত্ কখন। ফিরে আসা, চীনা ভাষা বলা হয় 'হুই লাই'। 'হুই' মানে ফেরা, আর 'লাই' মানে আসা। 'হুই লাই', ফিরে আসা। তিনি কখন ফিরে আসবেন, 'থা শেন মা শি হৌ হুই লাই'?

খ: 'থা শেন মা শি হৌ হুই লাই', তিনি কখন ফিরে আসবেন? 'থা' মানে তিনি অথবা সে। 'শেন মা শি হৌ' মানে কোন সময়, কখন। 'হুই লাই' মানে ফিরে আসা। 'থা শেন মা শি হৌ হুই লাই', তিনি কখন ফিরে আসবেন?

ক: সম্ভবত এক ঘন্টা পর, 'তা কাই ই ক্য শিয়াও শি হৌ। সম্ভবত, চীনা ভাষায় বলা হয় 'তা কাই'। এক ঘন্টা, চীনা ভাষায় বলা হয় 'ই ক্য শিয়াও শি'। ঘন্টা, চীনা ভাষায় বলা হয় 'শিয়াও শি'। এক ঘন্টা, 'ই ক্য শিয়াও শি'। পর, চীনা ভাষায় বলা হয় 'হৌ'। সম্ভবত এক ঘন্টা পর, চীনা ভাষায় বলা হয় 'তা কাই ই ক্য শিয়াও শি হৌ'।

খ: 'তা কাই ই ক্য শিয়াও শি হৌ, সম্ভবত এক ঘন্টা পর। এখানে 'তা কাই' মানে প্রায়, সম্ভবত। 'ই ক্য শিয়াও শি' মানে এক ঘন্টা। 'হৌ' মানে পর। সম্ভবত এক ঘন্টা পর, 'তা কাই ই ক্য শিয়াও শি হৌ'।

******প্রধান প্রধান বাক্য

ক: ওয়েই, নিন হাও, লি শিয়ান শেং জাই মা?

খ: তুই পু ছি, থা শিয়ান জাই পু জাই।

ক: থা শেন মা শি হৌ হুই লাই?

খ: তা কাই ই ক্য শিয়াও শি হৌ।

**********

ক: সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের প্রশ্ন হলো 'তিনি কখন ফিরে আসবেন' চীনা ভাষায় কীভাবে বলা হয়?

খ: 'তিনি কখন ফিরে আসবেন' - চীনা ভাষায় কীভাবে বলা হয়, তা জানা থাকলে আমাদের ইমেল পাঠাতে পারেন। আমাদের দুটো ইমেল ঠিকানায় হচ্ছে: yangweiming@cri.com.cn, আর ben@cri.com.cn

ক: যারা সঠিক উত্তর পাঠাবেন, তারা পেতে পারেন কিছু ছোট উপহার। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

খ: আগামী শনিবার আবার কথা হবে, চীনা ভাষা নিয়ে। জাই চিয়েন! (ইয়াং ওয়েই মিং/এসআর)

চীনা রান্না: থু তৌ সি পিং-আলু কুচি রুটি

সুপ্রিয় শ্রোতা, আলু রান্নার পদ্ধতি অনেক। এখনো মনে আছে ছোটবেলায় মায়ের আলু কুচি রুটি। ছোটবেলায় মা সকালে বা বিকেলে মাঝে মাঝে কয়েক ধরনের ডিম-রুটি রান্না করতেন। ডিম, ময়দা, পেঁয়াজ বা আলু, একসাথে মিশিয়ে রুটি বানাতেন। খেতে খুব মজা লাগতো। আমি প্রায় রান্নাঘরের দিকে তাকিয়ে থাকতাম, খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতাম এতো মজার রুটি মা কীভাবে রান্না করেন। আজকের 'স্বর্ণার সাথে শিখুন' আসরে আপনাদেরকে আলু কুচি রুটি বানানোর পদ্ধতি শিখাবো। এ রান্নাটির নাম 'থু তৌ সি পিং' আলু কুচি রুটি।

চীনা নাম: থু তৌ সি পিং

বাংলা নাম: আলু কুচি রুটি

প্রধান প্রধান উপকরণ: আলু দু'টো, ডিম ১টা, ময়দা ৫০ গ্রাম

মসলা: পিঁয়াজ দু'টো, কাঁচা মরিচ দু'টো, লবণ স্বাদমতো

রান্নার সময়: ৩০ মিনিট

রান্নার পদ্ধতি:

১. আলুর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে রাখুন।

২. আলুকে লম্বা চিকন করে কুচি কুচি করে কেটে রাখুন। এ কাজে ভেজিটেবল কাটার ও ব্যবহার করতে পারেন।

৩. পিঁয়াজ ও কাঁচা মরিচও কুচি কুচি করে কেটে রাখুন।

৪. কেটে রাখা আলুর মধ্যে ডিম ফেটে দিন।

৫. আলুর মধ্যে ৫০ গ্রাম ময়দা দিন।

৬. ময়দার সঙ্গে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও মরিচ দিন।

৭. অবশেষে অল্প পানি ও স্বাদমতো লবণ দিন।

৮. এ সব মশলা দেওয়ার পর মিশিয়ে পাশে রাখুন।

৯. একটি তাওয়াতে অল্প তেল দিয়ে গরম করুন।

১০. তেল গরম হলে মিশ্রণটিকে রুটির আকারে তাওয়ায় দিন।

১১. এক পাশ সোনালি রং হলে সেটিকে উল্টে অন্য পাশ ভাজুন।

১২. দুই পাশ সোনালি রং হওয়ার পর সেটিকে তাওয়া থেকে তুলে আনুন।

হয়ে গেল আলু কুচি রুটি।

এ খাবারটি আপনি টুকরা করে কেটে খেতে পারেন। যারা মিষ্টি স্বাদ পছন্দ করেন, তারা কাঁচা মরিচ না দিয়ে, আলু কুচি রুটি ভাজার পর টোমেটে সসের সাথেও খেতে পারেন।

সুপ্রিয় শ্রোতা, এ রান্নাটি কেমন লাগলো? আপনারা আর কী রান্না শিখতে চান ইমেলে আমাকে জানাবেন। আচ্ছা, আজকের রান্না শেখা এ পর্যন্ত। আগামী শনিবার আবার কথা হবে। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। (ইয়াং ওয়েই মিং/এসআর)

মন্তব্য
মন্তব্য
লিঙ্ক