Web bengali.cri.cn   
চীন ও ভারতের চা সংস্কৃতি
  2013-12-18 12:40:49  cri

যখন বৌদ্ধ ধর্মের কথা আসে, তখন প্রাচীন দেশ ভারতের কথাও মনে আসে। ভারত বৌদ্ধধর্মের উত্পত্তিস্থল এবং একটি বড় চা উত্পাদনকারী দেশ। তাহলে ভারতে চার সংস্কৃতি কী রকম?

কালো চা ভারতের আঞ্চলিক আবহাওয়ার উপযোগী এবং ভারতে মানুষ কালো চা খুব পছন্দ করে। কালো চাকে তারা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য হিসেবে মনে করে। ভারতের মানুষ দুধ, আদা ও এলাচ যোগ করে চা খায়।

জাগা গেছে, অষ্টাদশ শতাব্দিতে ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতে প্রথমে চীন থেকে আমদানিকৃত বীজ দিয়ে কলকাতার রাজকীয় উদ্ভিদোদ্যানে চা চাষ করা হয়। উনবিংশ শতাব্দিতে ভারতে ব্রিটেনের গভর্নর জেনারেল চা চাষ ও তৈরির উপায় জানার জন্য চীনে প্রতিনিধি পাঠান এবং তারা চীন থেকে বীজ ও চা গাছের চারা কেনেন এবং চীনের বিশেষজ্ঞ নিযুক্ত করেন। তারা প্রথমে উ ই পাহাড়ের চা বীজ কিনে নেন এবং উ ই পাহাড়ের চা দিয়ে কালো চা তৈরি করতে সক্ষম হন।

ভারতের চায়ের মধ্যে আসামের দুধ চা খুব বিখ্যাত। আসাম রাজ্য ভারতের উত্তরাঞ্চলের তৃণভূমিতে অবস্থিত। সেখানকার প্রকৃতি ও আবহাওয়া কালো চা চাষের উপযোগী। আসামের দুধ চার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটা সুগন্ধযুক্ত এবং দুধ দিয়ে তৈরি রাজকীয় দুধ চা খুবই সুস্বাদু।

ভারতে মানুষ চা দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করে। আপ্যায়নকারী চা, ফল ও মিষ্টি খেতে দেন অতিথিকে। যখন আপ্যায়নকারী প্রথম বার অতিথিকে চা দেন, তখন অতিথি সরাসরি গ্রহণ করতে পারেন না। অতিথি ধন্যবাদ জানানোর পর আপ্যায়নকারী দ্বিতীয় বার চা দিলে গ্রহণ করতে পারেন।

ভারতের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ও অঞ্চলে নিজস্ব চা খাওয়ার রীতি আছে এবং চা খাওয়ার শিষ্টাচার ও অতিথি আপ্যায়ন করার রীতিও ভিন্ন। এসব রীতি স্থানীয় সংস্কৃতি ও আচার-আচরণ ও রীতি-নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে বিশ্বব্যাপী চা মানবজাতির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেটা সবখানে একই রকম। বস্তুগত ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে চা মানুষের জীবনে অন্তঃসার যোগ করে। চা মানুষের মনে প্রশান্তি আনে এবং একটি সেতু হিসেবে বিভিন্ন সংস্কৃতির মধে যোগাযোগ বাড়ায়।

আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ আরো আরামদায়ক জীবনযাপন করে। তারা সহজে মূলকে ভুলে গেছে। প্রাচ্যের অদ্ভূত গাছের পাতা, চা প্রকৃতির উপহার হিসেবে আমাদের কাছে এসেছে এবং ওষুধের মতো আমাদের চিকিত্সা দেয়। যদি আপনারা জীবনের মূল অনুসন্ধান করতে চান, তাহলে চা খাওয়া উচিত্।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক