Web bengali.cri.cn   
যুক্তরাষ্ট্রে চীনা বিনিয়োগের সব বাধা দূর করা দরকার
  2013-11-25 15:16:06  cri


যুক্তরাষ্ট্র ও চীন হচ্ছে যথাক্রমে বিশ্বের প্রথম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা। পারস্পরিক বিনিয়োগ ক্ষেত্রে দু'দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের উপ-বাণিজ্য মন্ত্রী ওয়াং ছাও চীন-যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলেন, "২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চীনে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৭২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রকল্পের সংখ্যা ৬৩ হাজারেরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্র এখনো চীনের বৃহত্তম বিনিয়োগ উত্স-দেশ। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিনিয়োগের পরিমাণও দ্রুত বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর অ-আর্থিক বিনিয়োগ বিদেশে চীনের মোট অ-আর্থিক বিনিয়োগের ২.৯ শতাংশ।"

যুক্তরাষ্ট্রে চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকে স্বাগত জানান মহাচীনে মার্কিন বণিক সমিতির নির্বাহী পরিচালক এবং এশিয়া বিভাগের ঊর্ধ্বতন নীতি-উপদেষ্টা জেরেমি ও ওয়াটারম্যান। তিনি বলেন, "আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামো নির্মাণ খাতে চীনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ করার আগ্রহ আছে। আমাদের বণিক সমিতি আমাদের সদস্যদের সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামো নির্মাণ খাতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবকাঠামো সংস্কারের চাহিদা মেটাতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সম্ভবত ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ লাগবে।"

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চীনা বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়, এমন কথা বলে আসলেও চীনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমেরিকায় বার বার বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছে। যেমন চায়না ন্যাশনাল অফশোর ওয়েল কপোরেশন, স্যানি হ্যাভি মেশিনারি কোম্পানি, হুয়াওয়েই কোম্পানি আর জেডটিই কপোরেশন লিমিডেটসহ চীনের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করার সময় নানা কঠিন অবস্থার শিকার হয়েছে। এ জন্য চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা ও ওশিয়েনিয়া বিভাগের উপপ্রধান ওয়াং শু সমতার নীতিতে চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধান করা এবং যোগাযোগ ও সমঝোতা বাড়ানোর জন্য মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রে চীনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সে দেশের নজর কেড়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রে একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণ ধরনের বিনিয়োগের ওপর পরীক্ষা করার উদাহরণ বেড়েছে। এখানে এখন যে বিষয়টি উঠেছে, তা হলো সমতার ভিত্তিতে এ কাজ করা উচিত। জাতীয় পর্যায়ের নিরাপত্তা পরীক্ষা আমরা গ্রহণ করতে পারি। তবে এ প্রক্রিয়ায় সব কাজ সমতার ভিত্তিতে করা উচিত। অন্য দেশকে তুমি যে ব্যবসা করতে দিতে পারো, সেই ব্যবসায়ে চীনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেরও সুযোগ থাকতে হবে। তুমি ব্যক্তিখাতের শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে যে ব্যবসা দিতে পারো, সেই ব্যবসা করার সুযোগ চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেরও থাকতে হবে। রঙিন চশমা পরে কাজ করা যায় না। আমরা লক্ষ্য করেছি, চীনের কোনো কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান তার ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে বিনিয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। কিন্তু দেখানকার বিদেশি বিনিয়োগ বিভাগ অনেক শর্ত আরোপ করেছে। ফলে শুধু চীনের প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে ব্যবসায়ের সুযোগ পায়নি তারা। এরপর তাদের অংশীদাররা একা একা সে দেশে গেছে এবং আবার আবেদন করেছে। সেক্ষেত্রে বিনাশর্তে তাদের আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। এমন উদাহরণ দেখে আমরা বলতে চাই, দু'দেশের সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য যোগাযোগ, সমঝোতা আর আস্থা প্রতিষ্ঠা করা উচিত।" (ইয়ু/এসআর)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক