1010ruby
|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইস ইউনিভাসিটি সম্প্রতি নতুন ধরণের এক সিস্টম উদ্ভাবন করেছে। এ সিস্টেম বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী রোগীর শরীরে কম্পিউটার সিস্টেম বসাতে অনুমোদন করে। সিস্টেম অনুযায়ী রোগীর হৃদস্পন্দন পর্যালোচনা করে তার পরিসংখ্যানের সাথে মিল রেখে কিওয়ার্ড বা পাসওয়ার্ড নির্ধারণ করা যাবে। কেবল হৃদস্পনদনের মাত্রার সাথে নির্ধারিত পাসওয়ার্ডের মিল হলেই সিস্টেম চালু করা যাবে।
এ প্রযুক্তির একজন গবেষক এবং রাইস ইউনিভাসিটির গবেষক মাসুদ রোস্তামী বলেন, 'যদি তোমার শরীরে একটি সিস্টেম স্থাপিত থাকে। তাহলে তোমার আশে পাশের যে কেউ একটি বাটন প্রেস করে, তোমার শরীরের সিস্টেমে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য লিক করে দিতে পারে। আর এর মাধ্যমে হামলাকারী তোমার শরীরে ইনসুলিন ইনজেকশন অথবা তোমার পেসমেকার সফ্টওয়্যার আপগ্রেড করতে পারে। এতে ঝুঁকির মাত্রা প্রবল হয়ে ওঠে। কেননা কেউ তোমার ক্ষতির উদ্দেশেও এটা ব্যবহার করতে পারে। তাহলে কি হবে? সেজন্য আমরা যে সিস্টেম উদ্ভাবন করেছি, তাতে কিওয়ার্ডের মাধ্যমে তোমার ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করা হবে"।
এ সিস্টেমের মাধ্যমে রোগীর হৃদস্পন্দন ও চিকিত্সকদের প্রদান করা পরিসংখ্যান তুলনা করে দেখবে যে উভয়ের পরিসংখ্যানের মধ্যে মিল আছে কি নেই। যদি এর ফল মিলে যায় বা দুটো পরিসংখ্যান একই ফল প্রদান করে, কেবল তখনই একজন চিকিত্সক রোগীর মধ্যে স্থাপিত সিস্টেম স্পর্শ বা ব্যবহার করতে পারে। এতে হ্যাকারের আক্রমনের সুযোগ প্রায় থাকবে বললেই চলে। কেননা হ্যাকারকে কেবল বাইরে পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাসওয়ার্ড বা কিওয়ার্ড জানলেই হবে না, এর সাথে হৃদস্পন্দনের সংখ্যাও জানতে হবে। আর মানুষের হৃদস্পন্দনের গতি বা মাত্রা প্রায়ই পরিবর্তত থাকে, ফলে প্রতি এক মিনিট পর হ্যাকারের হৃদস্পন্দনের তথ্য আর কার্যকর থাকবে না।
গবেষকরা বলেন, এই সিস্টেম বর্তমানে ইমপ্লান্টেবেল ডিভাইসের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়। যার মাধ্যমে জরুরি পরিসেবার লোকেরা দ্রুত জরুরি অনুমতি পেতে পারেন।