![](/images/12index_07.jpg)
![](/images/12index_27.jpg)
1002china
|
হাবিবুর রহমান চট্টগ্রামে কর্মরত বাংলাদেশের একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি লেখাপড়ার জন্য ২০১২ সালে পেইচিংয়ে আসেন। তিনি এক বছরের শিক্ষা শেষ করে দেশে ফিরে যাবেন শিগগির। যাওয়ার আগে চীনের যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদেরকে সাক্ষাত্কার দেন।
হাবিবুর জানান, তিনি এখানে বিভিন্ন দেশের বন্ধুদের সঙ্গে লেখাপড়া এবং ভাব বিনিময় করতে পারার জন্য খুব আনন্দিত। তিনি বলেন:
হাবিবুর চীনের অনেক শহরে বেড়িয়েছেন, তবে তার সবচেয়ে প্রিয় শহর পেইচিং। তিনি গ্রামীণ জীবনও খুব পছন্দ করেন। তিনি বলেন:
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামে রয়েছে দেশটির বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। পেইচিংয়ে আসার পর হাবিবুর প্রথম দিকে 'কালচারাল শক' পান। মুসলমান-অধ্যুষিত দেশে সাধারণত নারীরা গৃহস্থালির কাজ করে। তাই চট্টগ্রামে থাকার সময় তিনি নিজে কোনো গৃহকর্ম করতেন না এবং রান্না করতেও জানতেন না। তবে পেইচিংয়ে একা বাস করার কারণে তাকে রান্না করতে হয়। চীনে যেসব পুরুষের সঙ্গে তার পরিচয় হয়, তাদের অধিকাংশই ভাল গৃহস্থালির কাজ করতে পারে। অনেক চীনা পুরুষ মনে করে, স্ত্রীর সঙ্গে গৃহস্থালির কাজ করা একটি মজার ব্যাপার।
একজন মুসলমান হিসেবে হাবিবুর প্রতিদিন নামাজ আদায় করেন। প্রতি শুক্রবার তিনি বন্ধুদের সঙ্গে পেইচিংয়ে নিউ চিয়ের ঐতিহ্যবাহী মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন। হাবিবুর মনে করেন, চট্টগ্রাম ও পেইচিংয়ের মধ্যে একটি ব্যাপার অভিন্ন - দুটি শহরই শুধু অর্থনৈতিক কেন্দ্র নয়; সাংকৃতিক কেন্দ্রও। তার এ দুটি শহরকেই ভাল লাগে। তিনি বলেন:
হাবিবুর অনেক বার পেইচিংয়ে ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রদর্শনীতে গেছেন এবং চীনা ভাষা শিখার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। পেইচিংয়ে অবস্থানের এক বছর ধরে তিনি চীনা সংস্কৃতির মোহিনীশক্তি উপলব্ধি করেছেন। তিনি বলেন:
চীনের যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষ করার পর হাবিবুর বাংলাদেশ ফিরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশে ফিরে তিনি চীন থেকে অর্জিত বিদ্যা কাজে লাগাবেন এবং চীনে আসার জন্য বাংলাদেশিদরকে সাহায্য করবেন। তিনি একজন দূত হিসেবে বাংলাদেশে চীনা সংস্কৃতি প্রচার করবেন এবং দু দেশের মৈত্রী বাড়াবেন। তিনি বলেন:
আচ্ছা, বন্ধুরা এতক্ষণ আপনারা শুনলেন চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রহমানের সাক্ষাত্কার। এখন শুনবেন সিআরআইয়ের তামিল বিভাগের প্রবীণ বিশেষজ্ঞ ঘাডিগা চালামের গল্প।
![](/images/12index_27.jpg)
![](/images/12index_27.jpg)
![Play](/images/12index_11.jpg)
![Stop](/images/12index_13.jpg)
![](/images/12index_27.jpg)