Web bengali.cri.cn   
বিশ্বের পরিবর্তন ঘটাবে দশটি প্রযুক্তি
  2013-09-19 18:56:49  cri


মোবাইল বিশেষ করে স্মার্ট মোবাইল অনেকের কাছে পিসির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্মার্ট মোবাইল কেবল ব্যক্তিগত মিডিয়া, যোগাযোগ ও বিনোদনের সরঞ্জাম নয়। বরং মোবাইলের মাধ্যমে শপিং ও ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন কাজ করা যায়। যেমন, আফ্রিকায় মোবাইলের সংকেত কেন্দ্রের পরিসংখ্যান থেকে আপনার প্রত্যহিক জীবনের চলাচল, গতিবিধি, কর্মকাণ্ড প্রায় সবকিছুই বলে দিতে পারে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ও চিকিত্সা সেবায় মোবাইলের ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও গণ পরিবহণ উন্নয়নে মোবাইল অত্যন্ত কার্যকর।

নতুন হাইটেক ক্যামেরার মাধ্যমে ৩২০ গিগাপিক্সজেল ছবি তুলতে সক্ষম। নতুন ডিজিটাল ইমেজিং প্রযুক্তির সাথে সাথে আমরা আরও সু নিপুনভাবে এ বিশ্বকে দেখতে পারি। ডারপা কোম্পানি সম্প্রতি একটি চালকবিহীন পর্যবেক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করেছে। এ বিমানে স্থাপিত রয়েছে ১.৮ গিগাপিক্সজেল ক্যামেরা। যার মাধ্যমে ২.৫ লাখ কিলোমিটার লম্বা ছবি তুলতে ও প্রেরণ করতে পারে। চিকিত্সা ক্ষেত্রে ডিজিটাল ক্যামেরার ব্যবহার করে মানুষের শরীরের ভিতরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নিখুঁত ও স্পষ্ট ছবি তুলতে পারে, যা রোগীদের উন্নত সেবা দানে সহায়ক হবে।

উন্নত ফাইবার অপটিক ক্যাবলের প্রয়োগ বর্তমানে অধিক সহজলভ্য হয়ে উঠছে। যার মানে আপনি যে কোনো সময়ে নেট ব্যবহার করতে পারেন।

গত ১৯ শতাব্দিতে ফাইবার অপটিক ক্যাবল উদ্ভাবিত হয়েছে। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত কেবল দূরত্বের কারণে সংকেতের গতি ও দুর্বলতা ছিল প্রকট। কিন্তু এই ফাইবার অপটিক ক্যাবলের পর সে সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়। আর সে সময় থেকেই ফাইবার অপটিক ক্যাবল নেটের জগতে অপরিহার্য একটি অংশ হয়ে ওঠে। ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী ফাইবার অপটিক ক্যাবলের কারণে সবার নেট ব্যবহারের পদ্ধতিও পরিবর্তিত হবে।

সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সুত্রে জানা গেছে, স্যামসাং বর্তমানে মস্তিস্ক তরঙ্গের মাধ্যমে মোবাইল ও ট্যাবলেট পিসি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে। আসলে স্যামসাং ছাড়া অন্যান্য গবেষণা সংস্থা প্রতিবন্ধীদের জন্য মস্তিস্ক তরঙ্গের মাধ্যমে তাদের কৃত্রিম নিম্নবাহু নিয়ন্ত্রণ করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের তাত্ক্ষণিক চিন্তা বা ভাবনা দ্বারাই যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। অর্থাত্ আপনি ভাবছেন যে এই দৃশ্যটি ছবি হয়ে প্রিন্ট হোক, অমনি সেটি প্রিন্ট হয়ে যাবে।

আমরা থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানি কিন্তু থ্রিজি প্রিন্ট প্রযুক্তি সম্পর্কে জানি কী? হ্যাঁ এই প্রযুক্ত বাস্তবে আসছে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে গবেষণা ও উন্নয়ণের খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এমন হলে অবাক হবেন না যে, ভবিষ্যতে কখনো হয়তো আপনার বাসায় খাবার প্রিন্ট করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক