Web bengali.cri.cn   
মুক্তার কথা-২১ সেপ্টেম্বর
  2013-09-26 18:40:57  cri


মু: সুপ্রিয় বন্ধুরা, আপনারা শুনছেন সুদূর পেইচিং থেকে সম্প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান 'মুক্তার কথা'। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু মুক্তা।

আ: আর সঙ্গে আছি আমি আলিমুল হক। শুরুতেই "আমার চীনা গল্প" রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শ্রোতাদের পাঠানো লেখা প্রসঙ্গ।

পাবনা জেলার সি আর আই ড্রাগন ক্লাবের শেখ আব্দুল মান্নান বারী লিখেছেন: চীন দৃঢ়তার প্রতিক। আধিপত্যবাদীদের প্রভাবের বাইরে থেকে, অন্যান্য জাতির সামনে উন্নত চীন জাতি সফল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে এবং বিশ্বের বলদর্পীদেরকে আতংকিত করে তুলেছে। উন্নতির সর্বোচ্চ চুড়ায় উপনীত হওয়া চীন জাতির পথ চলা অব্যাহত থাকবে। সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই যে চীন জাতির জন্য আগামী দিনগুলো অতীতের চেয়ে উত্তম হবে। চীনের কর্মপন্থার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল জাতির মধ্যে আত্বমর্যাদাবোধের চেতনা সৃষ্টি এবং এ জাতিকে প্রাণময় করে তোলা। চীনা জাতির জন্য সম্মানের যুগের সুচনা হয়েছে।

মু: শেখ আব্দুল মান্নান বারী, আপনাকে লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

আ: নওগাঁ জেলার ভোরের কিরণ অনলাইন ফ্যান ক্লাবের প্রেসিডেন্ট শাহনাজ পারভিন লিখেছেন: সি আর আই বাংলা বিভাগের সাথে অনেক দিন থেকে যুক্ত আছি। আমার চীন বিষয়ক গল্প মূলত চীনা বেতারকে নিয়ে। আমাকে বেশ কিছুটা পিছনে ফিরতেই হচ্ছে। সেই ১৯৮৪-৮৫ সাল থেকে আমি আপনাদের বেতার অনুষ্ঠান শুনে যাচিছ। আমার মতে, আমি সি আর আই বেতার কেন্দ্র থেকে কি উপহার পেলাম সেটাকে মুখ্য বিষয় মনে না করে, আমি সি আর আই বাংলা বিভাগকে কতদূর সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারলাম বা পারছি, সেটাই শ্রোতা হিসাবে আমার কাছে মূল বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত। সেই সময়ে সি আর আই-এর কলেবর ছিল ছোট। প্রচার হত ত্রিশ মিনিটের বাংলা অনুষ্ঠান। ছিল না এখনকার মত এত শ্রোতা। চীনে চিঠি পাঠাতে হত বেশি টাকা খরচ করে। ঢাকায় ছিল না সি আর আই বাংলা বিভাগের কোন প্রতিনিধি বা শাখা অফিস। তখন বাংলা বিভাগ থেকে কোনো ম্যাগাজিন প্রকাশিত হত না। হাঁটি হাঁটি করে পথ চলে সি আর আই আজ অনেক চড়াই-উত্‍রাই পার হয়ে অনেকটা সুউচেচ পৌঁছে গেছে বলতে পারি। মাঝে প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন হয়েছে অনেক। আজ সি আর আই বাংলা বিভাগের নিজস্ব ওয়েব পেজ রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে রেডিও না শুনে ওয়েব পেজ থেকে অনায়াসে তা শুনতে বা দেখতে পারে। এখন আর হাতে চিঠি না লিখে আমরা অতি দ্রুততার সাথে তা ই-মেইল মারফত চীনে পাঠিয়ে দিতে পারি। সি আর আই বাংলা বিভাগ আজ ‌পুবের জানালা নামক ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশ করে থাকে। এখন সি আর আই বাংলা বিভাগ পূর্ণ এক ঘন্টার অনুষ্ঠান প্রচার করছে। বর্তমানে বেশ কিছু প্রাত্যহিক অনুষ্ঠানে কুইজ পর্ব সংযোজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তাও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। পুরো সি আর আই থেকে এখন ৬৫টি ভাষায় প্রতিদিন অনুষ্ঠান প্রচার হচেছ। এখন বিশ্বের অনেক স্থান থেকেই সি আর আই-এর অনুষ্ঠান এফ এম ব্যান্ডে প্রচার হচেছ। সি আর আই-এর কাছে প্রত্যাশা, সে যেন তার দ্বার চিরদিন শ্রোতাদের জন্য অবারিত রাখে। বাংলা বিভাগের অধিকাংশ অনুষ্ঠানের মান এখন খুবই ভাল। আরো জনপ্রিয় ও শ্রোতানন্দিত হোক পুরো সি আর আই এবং তার প্রতিটি অনুষ্ঠান।

মু: আমাদের বন্ধু পারভিন আসলে সিআরআই অর্থাত্ আমাদের কথা লিখেছেন। যেসব শ্রোতা কোনোদিন চীনে বেড়াতে আসেননি, তাদের কাছে চীনের গল্প মানেই আমাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের গল্প। আপনাকে লেখার জন্য ধন্যবাদ

আ: একই জেলার সোর্স অফ নলেজ ক্লাবের সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম তার ইমেলে লিখেছেন: ১৯৯২ সালের শীতকালের এক সন্ধ্যা। criবাংলা বিভাগের আমন্ত্রণপত্র হাতে পেয়ে ছুটে গেলাম বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের গুলশানে অবস্থিত চীনা দূতাবাসে। সঙ্গে ছিল আমার দুই বন্ধু। দেখি ইতিমধ্যে সেখানে ১৫০ জনের মত অতিথি উপস্থিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সে সময়ের সরকারের তথ্যমন্ত্রী ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চীন বেতার শ্রোতা সংঘের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল এবং সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিলু। criবাংলা বিভাগ থেকে উপস্থিত ছিলেন চৌ চিংছাও, শি চিন উ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে আলোচনা পর্ব। এতে বিভিন্ন বক্তা তাঁদের বক্তব্যে criবাংলা বিভাগের গৌরবময় ঐতিহ্য ও সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। আলোচনা পর্বের পরে শুরু হয় পুরস্কার বিতরনী পর্ব। ঢাকা শহর থেকে পুরস্কার পান মোট দশ জন। আমিও তাদের ছিলাম। পুরস্কার বিতরনী পর্বের পর শুরু হয় খাওয়া-দাওয়ার পর্ব। খাওয়ার পরে হলরুমে শুরু হল চীনা চলচিচত্র প্রদর্শনী। সেখানে মোট দুটো চীনা চলচিচত্র দেখানো হল। এরপরে দূতাবাসের সামনের বাগানে আমরা পুরস্কার বিজয়ী দশ জন, criবাংলা বিভাগের সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বেশকটি ছবি তুললাম। অবশেষে যখন চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে করমর্দন করে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছিলাম, তখন কখন যে আমার দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল, আমি নিজেও তা টের পাইনি। শুধু সে মুহূর্তে মনে হয়েছিল, আমার কত পরিচিত criবাংলা বিভাগের প্রতিনিধিরা। যেন তারা আমার অনেক কাছের আত্নীয়। আর আমিও কত ভালবাসি বা বাসতে পেরেছি criবাংলা বিভাগকে।

মু: বন্ধু খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, আপনি অনেক ভাল লিখেছেন এবং সুন্দর করে আপনার অনুভূতির কথা বলেছেন। আশা করি, আরো বেশি বন্ধু আমাদেরকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।

আ: ফরিদপুর জেলার মুহম্মদ গোলাম রব্বানী ইমেলে লিখেছেন, ....

মু: আচ্ছা বন্ধু গোলাম রব্বানী, আমরা আগেও বলেছি, আপনারা যারা চীনে আসার সুযোগ পাননি, তারা চীন সম্পর্কে নিজেদের অনুভূতির কথা লিখে পাঠাতে পারেন বা কারোর কাছ থেকে চীনের গল্প শুনে আপনাদের মনে যে অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে তা-ও লিখে পাঠাতে পারেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইট আরো উন্নত করার চেষ্টা করছি। আপনি বহু বছর পর আমাদের লিখেছেন। আশা করি নিয়মিত লিখবেন এবং আমাদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও ক্যুইজে অংশ নেবেন। আপনাকে সুন্দর চিঠির জন্য ধন্যবাদ।

আ: নাটোর জেলার আতিয়া সুলতানা রীমা তার চিঠিতে লিখেছেন: জীবন তো একটা রেখার মতো নয়। তাঁর রয়েছে অনেক বাঁক। ভ্রমণ পাল্টে দিতে পারে মানুষের জীবনবোধ। আমারও তেমন কিছু স্মৃতি পাল্টেছে জীবন আর বোধ। শৈশব থেকে চীনকে জানার আগ্রহ ছিল। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের মাধ্যমে কিছুটা জেনেছি। চীন সত্য গল্পের রুপকথা ও নির্ঝর অজানা কথা। আমার চীন সম্পর্কে জানার ইচ্ছে অনেক দিনের তাই আমার চীনা গল্প রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া। মুক্তার কথা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রচনা শুনে চীন সম্পর্কে আরো জানতে পারছি। গত মুক্তার কথা অনুষ্ঠানে পাবনার বন্ধু ডা এস এম এ হান্নানের রচনাটি আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। আমি মনে করি এ ধরনের রচনা ‌পুবের জানালায় প্রকাশ করা যেতে পারে।

মু: বন্ধু রীমা, আপনাকে চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার মতামত আমরা পুবের জানালার সম্পাদককে জানিয়েছি। আশা করি, আপনার প্রস্তাব তাঁরা বিবেচনা করবেন। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

আ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ইন্টারন্যাশন্যাল রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সম্পাদক দেবাশীষ গোপ লিখেছেন,....

মু: আচ্ছা, যদিও বন্ধু দেবাশীষ গোপ ছোট করে লিখেছেন, তবুও আমার মনে হয় অনেক ভাল লিখেছেন। তিনি তার নিজের মনোভাব ও চিন্তার কথা লিখেছেন। বন্ধু দেবাশীষ, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

আ: আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন গানের সময়। আমরা আপনাদেরকে একটি সুন্দর বাংলা গান শোনাবো। আশা করি, সবাই গানটি পছন্দ করবেন।

গান

আ: টাঙ্গাইল জেলার আব্দুল ওহাব তার চিঠিতে লিখেছেন: শুভেচ্ছা নিবেন। আমি বেশ কিছুদিন ধরে আপনাদের অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনছি। ইদানিং মুক্তার কথা অনুষ্ঠানটি খুবই আকর্ষণীয় হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ মুক্তার কথায় ‌প্রচারিত পাবনার ডা এস এম এ হান্নানের লেখাটি ছিল চমত্‍কার। ছোট হলেও লেখাটি খুব ভাল হয়েছে। আমিও আমার চীনা গল্প প্রতিযোগিতায় লেখা পাঠাতে চাই। লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ কবে, জানাবেন।

মু: বন্ধু আব্দুল ওহাব, আপনাকে চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমার চীনা গল্প রচনা প্রতিযোগিতায় লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। তবে, ডাকযোগে আসা লেখার জন্য আমরা আরও প্রায় এক মাস অপেক্ষা করব। আপনি দ্রুত আমাদের লেখা পাঠিয়ে দিন।

আ: মুর্শিদাবাদ জেলার ইয়ামিন হোসেন লিখেছেন: আশা করি সকলে কুশলে আছেন। সি আর আই বাংলা পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য হতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আশা করি, আমাদের এই ভালোবাসার সম্পর্ক আজীবন বজায় থাকবে। 'মুক্তার কথা' নিয়মিত আমার পত্র তুলে ধরছে এবং আমার মতামতের মূল্যায়নও করছে। তাই খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ জানাই গত ৩ আগস্ট মুক্তার কথায় আমার চিঠির জবাব দেবার জন্য। সেইদিন আমার প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই চিঠির লিখিত অংশ ওয়েবসাইটের 'মুক্তার কথা' পাতায় দেওয়া হলেও, মুক্তা ম্যাডামের দেওয়া উত্তর সেখানে স্থান পায়নি। স্থান পেলে ওয়েব ভিজিটররা তা পড়তে পারতেন। আমি সি আর আই বাংলার বেশ পুরাতন শ্রোতাবন্ধু। অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনলেও পড়াশুনার অত্যধিক চাপে নিয়মিত চিঠি লিখতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে পড়াশুনার মাঝে সময় পেলেই চিঠি লিখি এবং ভবিষ্যতেও লিখবো। জানি না আমার নাম-ঠিকানা আপনাদের নিয়মিত শ্রোতাতালিকায় যোগ করা হয়েছে কি না। যদি না হয়, তবে তাড়াতাড়ি আমার নাম ঠিকানা শ্রোতাতালিকায় অন্তর্ভুক্তির অনুরোধ জানাচ্ছি। জানতে পারলাম শ্রোতাদের জন্য 'আমার চীনা গল্প' শিরোনামের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। জেনে আনন্দ পেলাম যে, এই প্রতিযোগিতায় চীনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে শ্রোতাদের যুক্তিপূর্ণ এবং সমালোচনামূলক নিবন্ধ লিখতে হবে। আমি প্রাণপণ চেষ্টা করব, একটি সুন্দর অনুভূতি প্রকাশকারী প্রবন্ধ লিখে আপনাদের দপ্তরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাঠিয়ে দিতে। সবশেষে আসি 'বাংলায় গল্প, বাংলার গল্প' অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে। 'বাংলায় গল্প,বাংলার গল্প' খুব মনোগ্রাহী এবং শিক্ষণীয় হচ্ছে। কিন্তু সচেতন শ্রোতামাত্রই উপলব্ধি করতে পারবেন যে, এই অনুষ্ঠানের নামকরণ কিছুটা হলেও বেখাপ্পা, অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে। একটু বিশ্লেষণ করলেই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। অনুষ্ঠানটির শিরোনামটিকে দুভাগে ভেঙে ভাগ করলে দাঁড়ায় -'বাংলায় গল্প' এবং 'বাংলার গল্প'। প্রথমাংশ 'বাংলায় গল্প' অর্থাত্‍ বাংলাতে কোনো গল্প বা বাংলা ভাষায় লেখা কোনো গল্পকে বোঝায়। নামকরণের এই অংশটি খানিকটা হলেও ঠিক আছে। সেখানে চীনদেশীয় বিভিন্ন রুপকথার অনুবাদকৃত গল্প বাংলায় পাঠ করা হয় এবং তার নাট্যরূপ দেওয়া হয়। খুব সুন্দর লাগে। তবে আরো ভালো হবে, যদি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় লেখা বিশিষ্ট লেখকদের বিখ্যাত রচনা এই অনুষ্ঠানে বাংলায় অনুবাদ করে উপস্থাপিত করা হয়। তবেই 'বাংলায় গল্প, বাংলার গল্প' অনুষ্ঠানের নামকরণের সার্থকতা শোভনীয় হবে, হবে বাস্তবের সাথে আরো সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং চিত্তাকর্ষক। আশা করি, আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের এই সামান্য পরামর্শটুকু সি আর আই বাংলার বিভাগীয় প্রধান তথা 'বাংলায় গল্প, বাংলার গল্প' অনুষ্ঠানের শীর্ষ উপস্থাপিকা মাননীয়া ম্যাডাম ইউ কোয়াং ইয়ুয়ে মহাশয়া অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে তা বাস্তবায়িত করবেন। আশা করি, অন্য শ্রোতাবন্ধুরাও আমার এই ভাবনাকে সাদরে স্বাগত জানাবেন। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতিক্রিয়া এবং উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম। সবাই ভালো থাকবেন।

মু: বাংলায় গল্প, বাংলার গল্প সম্পর্কিত আপনার প্রস্তাব আমি মাদাম ইউকে জানিয়েছি। তবে এখানে নামকরণের বিষয়টি আবারও একটু ব্যাখ্যা করছি। বাংলায় গল্প বলতে বোঝানো হয়েছে সেসব চীনা ভাষায় লেখা গল্পকে যেগুলো এই অনুষ্ঠানে বাংলায় রূপান্তর করে প্রচার করা হচ্ছে এবং বাংলার গল্প বলতে বোঝানো হচ্ছে বাংলা ভাষায় লেখা গল্পকে যা এই অনুষ্ঠানে সরাসরি প্রচার করা হয়। আর, প্রতি সপ্তাহে মুক্তার কথা অনুষ্ঠান ওয়েবসাইটে দেয়া হয়, কিন্তু আপনার চিঠির উত্তর কেন সেখানে স্থান পেল না তা বুঝতে পারছি না। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব বলে কথা দিচ্ছি। আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

আ: বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান শেষ করার আগে আপনাদেরকে আরেকটি সুন্দর বাংলা গান শোনাবো। আশা করি, সব শ্রোতা গানটি পছন্দ করবেন।

গান

আ: প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও আনন্দ পেয়ে থাকেন, তাহলে মনে করবো আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। আর হ্যা, আমাদের চিঠি লিখতে ভুলবেন না।

মু: হ্যাঁ, আপনারা আমাদের ইমেলেও প্রশ্ন বা মতামত পাঠাতে পারেন। আমাদের ইমেল ঠিকানা হলো ben@cri.com.cn। আবারো বলছি ben@cri.com.cn। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক