জি-টোয়েন্টির মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ সারা বিশ্বের বাণিজ্যের ৮০ শতাংশ – একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ গোষ্ঠীর উচিত আরো বেশি দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক বাণিজ্যের উন্নয়ন সাধন করা।
সি চিন পিং বলেন, জি-টোয়েন্টির উচিত বাণিজ্যিক সংরক্ষণবাদ প্রতিহত করা; উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতিকে রক্ষা এবং তার আরও উন্নয়ন সাধন করা; সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে বাণিজ্যিক মতভেদ নিষ্পত্তি করা; বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা ও দোহা রাউন্ড আলোচনা এগিয়ে নেওয়া; সারা বিশ্বে অভিন্ন বাজার প্রতিষ্ঠা করা; এবং বাণিজ্য নীতিগুলোর সমঝোতার ভূমিকা বাড়ানো।
তিনি জানান, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনকারী স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে ৯৫ শতাংশের পণ্যকে চীনে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০১৫ সালে এ হার ৯৭ শতাংশ হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীনের বাণিজ্য-কৌশলের লক্ষ্য হলো পারস্পরিক উপকারিতা নিশ্চিত করা এবং বহুমূখী ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি ঘোষণা করেন, চীন জি-টোয়েন্টির সঙ্গে বিশ্বজুড়ে অবাধ বাণিজ্য জোরদারে এবং উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি রক্ষা ও তার আরও উন্নতি সাধনে ইচ্ছুক।
সম্মেলন শেষে 'জি-টোয়েন্টি সেন্ট-পিটার্সবার্গ শীর্ষসম্মেলন ঘোষণা' প্রকাশিত হয়। (ছাই ইউয়ে/এসআর)