দেবতা হেসে বললেন: 'আমার মনে হয়, শুধু এ-কথাটুকু বলতে তুমি আমার কাছে আসনি। তুমি কোনো ঝামেলায় পড়েছো।' দেবতার কথা শুনে সিংহ উত্তর দিল: 'দেবতা, সত্যিই আপনি আমাকে ভালোভাবে জানেন। আজ আমি আপনার কাছে একটি অনুরোধ নিয়ে এসেছি। আমার অনেক ক্ষমতা, অথচ প্রতিদিন ভোরে মোরগের ডাক শুনে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আপনি আমাকে এমন ক্ষমতা দান করুন, যাতে মোরগের ডাক শুনে আমার ঘুম না-ভাঙে।'
দেবতা আবার হেসে বললেন: 'তুমি হাতির কাছে যাও। সে তোমাকে এ-ব্যাপারে ভালো পরামর্শ দিতে পারবে।'
দেবতার কথা শুনে সিংহ নদীর তীরে হাতিকে খুঁজতে গেল। নদীর তীরে পৌঁছে সে-দেখলো হাতি ভীষণ রাগে মাটিতে পা ছুড়ছে। সিংহ হাতিটিকে জিঙ্গেস করলো: ' ভাই হাতি, তুমি অমন রেগে আছ কেন?' হাতি উত্তর দিল: 'একটি মশা আমার কানের ভিতরে প্রবেশ করে অনেক জ্বালাচ্ছে। অথচ আমার কিছু করার উপায় নেই।' হাতির কথা শুনে সিংহ ধীরে ধীরে বনের পথে হাঁটা দিল। যাওয়ার পথে সে মনে মনে ভাবল: 'এতো বড় হাতিও একটি ছোট মশার কাছে অসহায়! মোরগতো কেবল ভোরবেলায় ডেকে আমাকে বিরক্ত করে; অথচ মশা সারাক্ষণ হাতিকে যন্ত্রণা দিচ্ছে! আসলেতো, হাতির তুলনায় আমি অধিক ভাগ্যবান।' সিংহ তখন বুঝতে পারলো যে, সবার জীবনেই কোনো-না-কোনো কষ্ট আছে; আছে সীমাবদ্ধতা। দেবতাও সবসময় এ-ব্যাপারে সাহায্য করতে পারেন না।
(চিয়াং/আলিম)