Web bengali.cri.cn   
কুয়াংতোংয়ের অপেরা ও সংগীত
  2013-06-17 19:37:58  cri


ইয়ু কুয়াং ইউয়ে

আজকের এ পর্বে আপনাদেরকে দক্ষিণ চীনের ২২০০ বছরের ইতিহাস-সমৃদ্ধ এক সুবিখ্যাত সাংস্কৃতিক নগর কুয়াংচৌয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। আপনারা জানেন, সাধারণত বিদেশিরা এ নগরকে ক্যান্টোন বলেন। কিন্তু এর সঠিক চীনা নাম হচ্ছে কুয়াংচৌ। এ শহর এক সময় চীনে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ প্রবেশের প্রথম দ্বার ছিল এবং চীনের বৃহত্তম ও সবচেয়ে সুদীর্ঘ ইতিহাস-সমৃদ্ধ বৈদেশিক বাণিজ্যবন্দর ছিল। এ শহর 'হাজার বছরের বাণিজ্যিক নগর' নামে সুপরিচিত। বিশেষ ভৌগোলিক পরিবেশ ও ঐতিহাসিক পরিস্থিতির কারণে কুয়াংচৌ শহর দক্ষিণ চীনের পাহাড়ি অঞ্চলের বাস্তব, উন্মুক্ত ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

বন্ধুরা, এইমাত্র আপনারা শুনলেন চীনের কুয়াংচৌ অঞ্চলের প্রচলিত ভাষা। আমরা এ ভাষাকে ইউয়ে ভাষা বলি। ইউয়ে ভাষায় ম্যাডারিন বা প্রমিত চীনা ভাষার চেয়ে পাঁচটি স্বর বেশি। ইউয়ে ভাষার মধ্যে প্রায় অর্ধেক অংশ হচ্ছে আঞ্চলিক ভাষা। এখন সারা বিশ্বে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ ইউয়ে ভাষায় কথা বলে। বিশেষ করে চুচিয়াং বদ্বীপ, হংকং ও ম্যাকাও অঞ্চল এবং বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী চীনাদের মধ্যে ইউয়ে ভাষা বেশি প্রচলিত।

কুয়াংতোং প্রদেশের স্থানীয় অপেরার নাম 'ইউয়ে অপেরা', যার উত্সস্থল হচ্ছে কুয়াংতোং প্রদেশের ফোশান। এ অপেরা কুয়াংতোং প্রদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী স্থানীয় অপেরা। এর ইতিহাস ৩০০ বছরেরও বেশি সময়ের। ইউয়ে অপেরা চীনের অপেরাগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম বিদেশে পরিবেশনার সুযোগ পায়। ১৮৫২ সালে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর খবরে বলা হয়েছিল, ওই বছর কুয়াংতোংয়ের একটি ইউয়ে অপেরা দল সেখানে অপেরা পরিবেশন করেছিল। ১৯৩০ সালে চীনের বিখ্যাত পিকিং অপেরার মাস্টার মেই লান ফাং প্রথম বারের মতো বিদেশে গিয়ে পিকিং অপেরা পরিবেশন করেন। ইউয়ে অপেরা তারও ৭০ বছর আগে বিদেশে পরিবেশিত হয়েছিল। ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো প্রণীত 'মানবজাতির অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্বশীল তালিকায়' অন্তর্ভুক্ত করে এ অপেরাকে। চীনের ৩০০টিরও বেশি ঐতিহ্যবাহী অপেরার মধ্যে খুন অপেরার পর ইউয়ে অপেরা হচ্ছে এ গৌরব অর্জনকারী দ্বিতীয় ঐতিহ্যবাহী অপেরা।

পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউয়ে অপেরার সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্পী, সম্পাদক ও পরিচালক মাদাম চেন শাও মেই বলেন, "চীনের ৩০০টিরও বেশি অপেরার মধ্যে আমাদের ইউয়ে অপেরার গায়কী সবচেয়ে সমৃদ্ধ। দর্শক যে গায়কী শৈলী পছন্দ করে, আমরা তা শেখার চেষ্টা করি। কারণ আমরা বন্দর নগরে থাকি। উন্মুক্ততা আর ধারণ হচ্ছে ইউয়ে অপেরার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য।"

ইউয়ে অপেরা পপ সংগীত ও বিদেশি সংগীতের শৈলী আমদানি করেছে এবং সর্বপ্রথম বেহালাসহ নানা পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে।

1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক