Web bengali.cri.cn   
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম 'মিনেইরো'
  2013-06-11 16:57:07  cri

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছেন। এখন রয়েছে প্রতি রোববারের অনুষ্ঠান---ক্রীড়াজগত। পরিবেশন করছি আমি ওয়াং হাইমান ঊর্মী।

বন্ধুরা, ২০১৪ সালে ব্রাজিলে বসবে বিশ্বকাপ ফুটবলের পরবর্তী আসর। বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষ্যে ফুটবল-পাগল ব্রাজিলের ১২টি শহরে স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কারকাজ প্রায় শেষ। এসব স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের খেলাগুলো। আজকের ক্রীড়াজগত অনুষ্ঠানে আমরা ব্রাজিলের 'মিনেইরো' স্টেডিয়ামের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব।

ব্রাজিলকে বিশ্ব ফুটবলের 'রাজা দেশ' হিসেবে অভিহিত করা হয়। ফুটবলের রাজা পেলের জন্মওতো এই ব্রাজিলে। অনেকে বলেন, ফুটবল হচ্ছে ব্রাজিলের ধর্ম। দেশটির মানুষ ফুটবল বলতে পাগল। ব্রাজিলের নান্দনিক ফুটবলের ভক্ত ছড়িয়ে আছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। তো, পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ৬৪ বছর পর আবারো বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ। বিশ্বকাপের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে দেশটির ১২টি শহরে। এ-ব্যাপারে ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রী আলদো রিবেইয়ো বলেন:

'ব্রাজিল একটি বড় দেশ। এখানে রয়েছে অনেক শহর যেগুলো অনেক দূরে দূরে অবস্থিত। আমরা আশা করি, দেশের প্রতিটি শহর ও অঞ্চল বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের এই ব্যাপক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে। বিশ্বকাপ ফুটবল শুধু একটি প্রদেশ, শহর বা অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়।"

'মিনেইরো' স্টেডিয়ামটি ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের অন্যতম প্রধান স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটিতে ৬০ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবে। ব্রাজিলের অস্কার নিয়েমেইয়ার-এর নকশায় নির্মিত স্টেডিয়ামটি দেশটির একটি আকর্ষণীয় স্থাপত্যশিল্প। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিলে এর সংস্কারসাধন সহজ কাজ ছিল না। স্টেডিয়ামের সংস্কার-প্রকল্পের প্রধান সেভেরিনো ব্রাগা এ-সম্পর্কে বলেন:

'আমরা জানতাম যে, স্টেডিয়ামটির সংস্কারকাজ একটি বড় প্রকল্প। কিন্তু বাস্তবে এটি আমাদের কল্পনার চেয়ে বড় ও জটিল কাজ ছিল। এ-কাজ সম্পন্ন করতে যেয়ে আমরা অনেক বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি। কারণ, স্টেডিয়ামটির আয়তন ২ লাখ বর্গমিটার। এটি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। তাই, স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ করার সময় আমাদের অনেক সাবধান হতে হয়েছে। সীমিত স্বাধীনতা নিয়ে আমরা কাজটি করেছি। একটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরির চেয়ে কাজটি কঠিনতর ছিল।'

'মিনেইরো' স্টেডিয়ামটি ১৯৬৫ সালে নির্মিত হয়েছিল। ব্রাজিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম হিসেবে অনেক বড় প্রতিযোগিতা এখানে অতীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্টেডিয়ামটি অনেক পুরাতন বলে, এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে এটিকে বিশ্বকাপের উপযোগী করে সংস্কার করা সত্যি কঠিন কাজ ছিল। বিশেষ করে স্টেডিয়ামের আসন-বিন্যাস নতুন করে গড়ে তোলা ছিল বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এ-সম্পর্কে সেভেরিনো ব্রাগা বলেন:

'দর্শক-আসন সুবিন্যস্ত করতে হয়েছে। আগে দর্শকরা সরাসরি মাটিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ পেতেন। ফলে, স্টেডিয়ামের ধারণ-ক্ষমতা ছিল এক লাখ। এখন নিয়ম হচ্ছে, বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামে সকল দর্শকের জন্য আসনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে। তাই, স্টেডিয়ামটির আসন-ব্যবস্থা নতুন করে বিন্যাস করতে হয়েছে। এর ফলে, বর্তমানে স্টেডিয়ামটিতে ৬০ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন।"

বন্ধুরা, 'মিনেইরো' স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ সম্পর্কে পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা আরো তথ্য জানাবো। তবে আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করতে হচ্ছে। এ-অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত আমাদের জানাতে কিন্তু ভুল করবেন না। আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের আগামী দিনের অনুষ্ঠানকে আরো সমৃদ্ধ ও হৃদয়গ্রাহী করে তুলবে। আপনাদের সুচিন্তিত ও পর্যালোচনামূলক মতামতের প্রত্যাশায় রইলাম।

আশা করি, আপনারা ওয়েবসাইটের মেইল বক্স, ইমেইল বা টেলিফোনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে তা-ও জিজ্ঞেস করতে পারেন । আপনারা সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। আবার কথা হবে আসছে রোববার, একই সময়ে। চাই চিয়ান। (ঊর্মি/আলিম)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক