বন্যার পর পানি পান করার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন। ভাল করে পানি সিদ্ধ করুন বা ফুটিয়ে নিন, তারপর সে সিদ্ধ পানি ঠান্ডা করে তা পান করুন। কোনো অবস্থাতেই কাঁচা পানি বা সিদ্ধ না করে পানি পান করবেন না।
ফলমূল, শাকসবজি খাওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা, ব্যাপক বন্যায় শাকসবজী, ফলমূল সহজেই নানবিধ জীবানু অথবা সংক্রামক ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে এবং হওয়াটাই এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক। সেজন্য আপনার উচিত শাক-সবজি বা ফলমূল খাওয়ার আগে ফুটন্ত পরিস্কার পানি দিয়ে ভালকরে ধুয়ে সিদ্ধ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ফলের ক্ষেত্রে ভালকরে চামড়া ছেড়ে তা খেতে পারেন।
তবে শাক-সবজীর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সিদ্ধ করে তা খেতে পারেন কমসিদ্ধ বা আধাসিদ্ধ সবজী খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা বন্যা দুর্গত অঞ্চলে বন্যার কারণে শাকসবজিতে সহজে জীবানু অথবা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। সেজন্য শাকসবজি পুরোপুরি সিদ্ধ করে খাওয়া ভালো।
প্রতিবার খাবার পর যদি কিছু খাবার উদ্বৃত্ত থাকে তবে তা না খাওয়াই ভাল। কেননা, বন্যা পরবর্তী দুর্গত অঞ্চলের আবহাওয়া সাধারণত গরম ও তাতে আর্দ্রতার পরিমান অনেক বেশি থাকে, যা সহজেই খাবার নষ্ট করে ক্ষতিকারক ব্যকটেরিয়া তৈরী করতে পারে। এরফলে আপনি মারাত্মক পেটে পীড়ায় ভূগতে পারেন।
বন্যা পরবর্তী বেশ কিছুদিন মাছ মাংস খাওয়া ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। এসময়ে আপনার অগচরে মৃত মুরগি, হাসঁ, চিড়িং মাছসহ অন্য মাছ খাবেন না। কেননা আপনি নিশ্চিত নন যে এগুলো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে কিনা। যদি সত্যিই ঐ সকল মাছ মাংস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়ে থাকে, তবে এ থেকে আপনি সহজেই বিষক্রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
এ সময়ে অঙ্কুর ফুটে বের হয়েছে এমন আলু খাবেন না। কেননা এ ধরণের আলু সাধারণত বিষাক্ত হয়ে থাকে। এটা খেলে মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে।
পুরানো পাউডার বা গুড়া জাতীয় খাবার খাবেন না। গবেষণা অনুযায়ী খারাপ গুড়া বা খারাপ ভুট্টার গুড়ার মধ্যে রয়েছে আফ্লাটক্সিন থাকে যা কেন্সারের সঙ্গে সরাসরই জড়িত।