সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের 'টাইম' ম্যাগাজিন বছরের সবচে প্রভাবশালী ১০০ জনের যে-তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে স্থান পেয়েছেন চীনের নারী টেনিস তারকা লি না।
ম্যাগাজিনে লেখা এক নিবন্ধে ১৮টি গ্রান্ড স্ল্যাম জয়ী নারী টেনিস খেলোয়াড় ক্রিস এভার্ট বলেছেন, ২০১১ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জয় করে লি না চীনে টেনিস খেলাকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছেন। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় দেড় কোটি টেনিস খেলোয়াড় আছে। আর প্রায় সাড়ে এগারো কোটি চীনা দর্শক টেলিভিশনে ২০১১ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন ফাইনাল দেখেছেন।
উল্লেখ্য, লি না বর্তমান বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নারী টেনিস খেলোয়াড়দের তালিকায় পাঁচ নম্বরে আছেন। তবে, এশিয়ায় তিনিই এক নম্বর নারী টেনিস তারকা।
ভারতে অনুষ্ঠানরত বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে রোববার নারীদের ৬৩ কেজি বিভাগের ফ্রি স্টাইল প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জয় করেছেন চীনের তিব্বতের নারী কুস্তিগির সিলো চুওমা। সিন হুয়া বার্তা সংস্থা এ-খবর জানিয়েছে।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তুরস্কের ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চ্যাপিয়নশিপে নারীদের ৬৭ কেজি বিভাগে ফ্রি স্টাইলের স্বর্ণপদকও জয় করেছিলেন তিনি।
চীনা প্রতিবন্ধীদের ২০১৩ সালের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী অলিম্পিক কমিটি (আই পি সি)-এর ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড প্রতিযোগিতা পেইচিংয়ে অবস্থিত চীনা প্রতিবন্ধী ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো চীন আইপিসি-র ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। সিন হুয়া বার্তা সংস্থার খবরে এ-তথ্য জানা গেছে।
তিনদিনব্যাপী পেইচিং প্রতিবন্ধী ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড প্রতিযোগিতায় চীন, সিঙ্গাপুর, মঙ্গোলিয়া, ব্রুনেই, ইরাক, শ্রীলংকা, হংকং ও চাইনিজ-তাইপে---এই আটটি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ১২০ জন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের প্রতিযোগিতার ফলাফল ২০১৩ সালে ফ্রান্সের লিওনে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব প্রতিবন্ধী ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
চীনের সাবেক বিখ্যাত ভলিবল খেলোয়াড় এবং কোচ জেনি লাং পিংকে দেশটির জাতীয় মহিলা দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগ্রহী চারজন কোচের মধ্য থেকে গত বৃহস্পতিবার তাকে বাছাই করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
লাং পিং বর্তমানে চীনের কুয়াং চৌ প্রদেশের হেং তা মহিলা ভলিবল ক্লাবের প্রধান কোচ-এর দায়িত্ব পালন করছেন। এখন তার সামনে মূল লক্ষ্য হবে জাতীয় মহিলা ভলিবল দলকে ২০১৬ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত করা।
উল্লেখ্য, জেনি লাং পিং ১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো চীনের জাতীয় মহিলা ভলিবল দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং তার তত্ত্বাবধানেই ১৯৯৬ সালের আটলান্টা অলিম্পিকে চীনের মেয়ে ভলিবল খেলোয়াড়রা রৌপ্যপদক জয় করে। ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি প্রধান কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। পরে তিনি ২০০৪ সালের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহিলা ভলিবল দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পকে যুক্তরাষ্ট্র মহিলা ভলিবলে রৌপ্যপদক জয় করে। বর্তমানে তার বয়স ৫৩।
(ঊর্মি/আলিম)