Web bengali.cri.cn   
'চলুন বেড়িয়ে আসি'-র বিশেষ অনুষ্ঠান
  2013-04-17 16:51:35  cri

আরো জানতে পারলাম যে, এখানে দর্শনীয় স্থানের সংখ্যা অনেক বেশি। যেমন, রিকুয়াং রক মন্দির। আসলে সেটা একটি প্রাকৃতিক পাথরের গুহা; এর উপরে একটি বড় সাইজের পাথর আছে। এ পাথর হচ্ছে কুলাংইউর সবচেয়ে উঁচু স্থান। আরো জানলাম যে, বর্তমানে কুয়াংতুং ও ফুচিয়ান প্রদেশে কেচিয়া লোকদের সংখ্যা সবচে বেশি । তাদের বৈশিষ্ট্যময় থুলৌ অর্থাত্ মাটি ভবন এক ধরনের জাতীয় স্থাপত্য । সাধারণত তা গোলাকার ও চারকোণার হয়। মাটি ও ইট দিয়ে তৈরী করা হয় । এসব ভবনের ছাদের অংশ কালো টালি নিয়ে গঠিত এবং ভবনের দেয়াল হলুদ রঙের মাটি দিয়ে তৈরী করা হয় । প্রাচীনকালে ফুচিয়ান প্রদেশের লোংইয়ান শহর থেকে এ মাটি-ভবন নির্মাণের প্রচলণ হয়েছে । সিয়ামেন শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় পর্যটন স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

আলিম. পরের চিঠি লিখেছেন মোহাম্মদ রানা ইসলাম, নওগাঁ, বাংলাদেশ থেকে। তিনি লিখেছেন: "চলুন বেড়িয়ে আসি' অনুষ্ঠানটি খুবই তথ্যবহুল । চীনকে জানার জন্য এই অনুষ্ঠান একটি জানালার মতো। এ-অনুষ্ঠান থেকে আমরা চীনের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থান, অধিবাসী, জীবন যাত্রা, আবহাওয়া , পর্যটক, নিদর্শন, স্থাপনা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারছি । আমি এর আগে চীন সম্পর্কে এতো তথ্য অন্য কোনো মাধ্যম থেকে জানতে পারিনি।

সুবর্ণা. মুরশিদা পারভীন লতা, সভাপতি, স্বপ্নশিখা মহিলা শ্রোতা সংঘ, নওগাঁ, বাংলাদেশ। তিনিও ক্যুইজের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তারপর তার মতামতে ছিখেছেন: ইউয়ুন্নান প্রদেশের সিশুয়াংবান্নার গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনের প্রাকৃতিক দৃশ্য বিশ্ববিখ্যাত। ফলে স্থানটি চীনের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর রীতিনীতি পর্যটকদের জন্য বেশ আকর্ষণীয়।এখানকার নানছং নদী সম্পর্কে অনেক চমকপ্রদ তথ্য জানতে পারলাম। এখানে ১৩টি সংখ্যালঘু জাতির বাস। এখানে ঋতু ২টি, ১২টি উপজেলা নিয়ে অঞ্চলটি গঠিত। ইউনেস্কো অঞ্চলটিকে ১৯৯৩ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে। অঞ্চলটিতে চিনের চার ভাগের এক ভাগ পশুর বাস। এ ছাড়াও, অনুষ্ঠানটিতে অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য ছিল। সিশুয়াংবান্নার 'মধুর পাখি' শীর্ষক গানটি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। তাই জাতির লোকেরা নিজেদের 'পানির জাতি' বলে ডাকতে পছন্দ করে। এ-সম্পর্কিত কথিত গল্পটি বেশ ভাল লাগল। সিশুয়াং বান্না গানটি খুব ভাল লাগলো।তাই জাতির লোকদের জীবন যাত্রার তথ্যাবলী ভাল লাগলো। সিশুয়াং বান্নার রাত গানটি বেশ উপভোগ্য মনে হয়েছে আমার কাছে।সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।চাই চিয়েন।

আলিম. পরের চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার ডাক্তার মোহাম্মদ বাবদুর রশিদ। তিনি ২০ ফেব্রুয়ারি ক্যুইজের উত্তর লিখেছেন। এ ছাড়াও তিনি লিখেছেন: আপনাদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনের 'পুয়ার চা' সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানলাম। জানলাম যে চীনা চা বিশ্ববিখ্যাত এবং চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন রকমের চা উত্পাদিত হয়। লাল চায়ের জন্য বিখ্যাত 'পুয়ার চা' পুয়ার জেলাতেই উত্পন্ন হয়। আসলে, 'চলুন বেড়িয়ে আসি' অনুষ্ঠানটি খুবই তথ্যবহুল একটি অনুষ্ঠান । সুবর্ণা. সময় দ্রুত চলে যায়। আজকের অনুষ্ঠান এখানে শেষ করতে হবে। আগামী সপ্তাহে আমরা গেল তিন মাসের ক্যুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ী শ্রোতাবন্ধুদের নামের তালিকা ঘোষণা করবো।

আলিম. আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে আমাদের চিঠি লিখতে ভুলবেন না।

সুবর্ণা. আমাদের যোগাযোগ ঠিকানা ben@cri.com.cn

আলিম.সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন; আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে, যাই চিয়ান।(সুবর্ণা/আলিম)


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক