Web bengali.cri.cn   
মুক্তার কথা-১৩ এপ্রিল
  2013-04-18 15:47:54  cri
মু: সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান 'মুক্তার কথা'। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের পুরনো বন্ধু মুক্তা।

আ: এবং সঙ্গে রয়েছি আমি আলিম। বন্ধুরা, শুরুতেই বসছি আপনাদের চিঠিপত্রের ঝাপি নিয়ে। প্রথম চিঠিটি লিখেছেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহের বন্ধু লুত্ফর। তিনি লিখেছেন----

আ: দীর্ঘদিন পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠানে আলিমুল হক ভাই আমার একটি ইমেইলের সারাংশ পাঠ করেছেন। আপনাদের দুজনকে অনেক ধন্যবাদ আমার মতো একজন সাধারণ শ্রোতার ইমেইল অনুষ্ঠানে পড়ে শোনানোর জন্য। আমার ইমেইলটির জবাবে মুক্তা তার মন্তব্যে আমাকে ৮ বছর ধরে অনুষ্ঠান শোনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে ৮ বছর নয়, আমি প্রায় ১৪ বছর ধরে সিআরআই বাংলা বিভাগের একনিষ্ঠ শ্রোতা হিসেবে বাংলা বিভাগের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে আসছি। আমি এবং আমার ক্লাবের শ্রোতারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অসংখ্য পুরস্কার জয়ের পাশাপাশি আমাদের শ্রোতাসংঘ (তৎকালীন নাম- নেপচুন রেডিও ফ্রেন্ডস ক্লাব, ঠিকানাঃ ময়মনসিংহ এবং পরবর্তীতে ঢাকা) ২০০৪ সালে বছরের শ্রেষ্ঠ শ্রোতাসংঘ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি এবং পুরস্কারও পেয়েছে। এ ছাড়া, ২০০৮ সালে আমি বিশেষ পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে চীন ভ্রমণেরও সুযোগ লাভ করেছি। পঠিত ইমেইলটিতে আমি মূলত: ৮ বছর আগে সিআরআই ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছিলাম। আমি আশা করি, আপনাদের ভালোবাসা পেলে সারাজীবন সিআরআইয়ের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পারবো। সেই সাথে 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা বিভাগের শ্রোতাদের কাছেও আমার অনুরোধ- আপনারাও নিয়মিত সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান শুনবেন এবং চিঠি লিখে আপনাদের মতামত জানাবেন। তাহলে আজ আর নয়। পরবর্তীতে আবারো কথা হবে। ভালো থাকবেন সবাই।

মু: বন্ধু লুত্ফর, আপনি অবশ্যই আমাদের অনেক পুরনো এবং একনিষ্ঠ শ্রোতা ও বন্ধু। অনুষ্ঠানে আপনাকে ৮ বছরের পুরনো শ্রোতা হিসেবে উল্লেখ করায় আপনি মনে কষ্ট পেয়েছেন। আমি এর জন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত। এ-ভুল অনিচ্ছাকৃত। আশা করি এখন আর আমাদের প্রতি আপনার আর কোনো অভিমান নেই। আমরা আপনাকে আমাদের একান্ত আপনজন হিসেবেই গণ্য করি। আপনার মতো শ্রোতারদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আত্মার। এ-সম্পর্ক টুটবার নয়। অভিমান সত্ত্বেও আমাদের লিখবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আপনি ও আপনার শ্রোতাসঙ্ঘের সকল শ্রোতা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানের সঙ্গে আজীবন থাকবেন।

আ: বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার সততা বেতার শ্রোতা ক্লাবের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম মিন্টু তার চিঠিতে লিখেছেন, শুরুতে আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। বাদ সংবাদ এই যে, বর্তমানে CRI এর শ্রবণমান খুবই ভালো। তাই কর্তৃপক্ষকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ।

মু: বন্ধু মিন্টু, আপনি যদিও অনেক ছোট চিঠি লিখেছেন, তবুও আমাদের অনেক প্রশংসা করেছেন। আপনাদের উত্সাহে আমরা আরো সুন্দর অনুষ্ঠান তৈরী করতে পারবো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আ: বাংলাদেশের নাওগাঁ জেলার ফ্রেন্ডজ রেডিও ক্লাবের সভাপতি দেওয়ান রাফিকুল ইসলাম তার চিঠিতে লিখেছেন, গত ১৩-০৩-২০১৩ ইং তারিখে প্রচারিত "পুবের জানালা" অনুষ্ঠানে মার্চে অনুষ্ঠিত চীনের দ্বাদশ জাতীয় গণকংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন এবং দ্বাদশ জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। গ্রামের উন্নয়নই একটি দেশের মুল। আমি আশা করি সব বাঁধা অতিক্রম করে চীন সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। গত ১৪.০৩.২০১৩ ইং তারিখের অনুষ্ঠানে আনন্দময় জীবন পর্বে "স্বাস্থকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস" নিয়ে যে ১০টিরও বেশী টিপস দেওয়া হল, সেগুলো অনুসরণ করলে কার্যকর ফল পাওয়া যায়। সবার ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। আগামি অনুষ্ঠানে চুলের খুশকি দুর করার উপায় নিয়ে অনুষ্ঠান করার অনুরোধ রইল। "তথ্যপ্রযুক্তির হালচাল" পর্বে অ্যাপল-এর আইপ্যাড নিয়ে প্রতিবেদন খুব ভাল হয়েছে। গত ১৫.০৩.২০১৩ ইং তারিখের বাংলা অনুষ্ঠানে চীনের দুই অধিবেশন সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। চীনের দুই অধিবেশন নিয়ে সবার অনেক আগ্রহ আছে তাই সবার দৃষ্টি চীনের দু'অধিবেশনের দিকে ছিল। প্রতি শুক্রবার আমি চলতি প্রসংগ অনুষ্ঠান শুনি কারণ আমি বিশ্বে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাবলী জানতে চাই। গত ১৫-০৩-২০১৩ তারিখের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংবাদ-এর উপর পরিবেশনা চমত্‍কার হয়েছে। তবে সৌদি আরবের মৃত্যুদন্ড, ভারতে মহিলাদের জন্য আলাদা ডাকঘর ও ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, অং সান সুচির উপর পরিবেশনা থেকে যে সমস্ত তথ্য পরিবেশন করা হলো তা শুনে খারাপ লাগলো। সুচি-কে আরো কার্যকর ভুমিকা পালন করতে হবে। ত্রিমাত্রিক ছবির উত্‍সব নিয়ে ব্যাংকক থেকে পাঠানো রিপোর্ট থেকে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। গত ১৮.০৩.২০১৩ ইং তারিখের অনুষ্ঠানে চীন বাংলাদেশ ভারত মায়ানমার -এর মটর শোভাযাত্রা নিয়ে চীনের খুনমিং এ পৌঁছা নিয়ে অনুষ্ঠান চমত্‍কার হয়েছে। আগামী অনুষ্ঠানে চীন ও অনান্য দেশ কিভাবে অতিথি আপ্যায়ন করে তা নিয়ে অনুষ্ঠান করার অনুরোধ রইল। প্রতি সোমবার আমি "দৃষ্টির সীমানায়" অনুষ্ঠান শুনি কারণ আমি বিশ্বের মজার মজার ঘটনাবলী শুনতে চাই। এসব ঘটনা শুনতে আমার খুব ভাল লাগে। কনফুসিয়াস ক্লাশরুম অনুষ্ঠান থেকে আমি অল্প অল্প করে হলেও কিছু কিছু চীনা ভাষা শিখতে পারছি। আমার মনে হয় যদি আপনারা চীনা ভাষা শিক্ষার বই শ্রোতাদের দেন তাহলে আমাদের চীনা ভাষা শিখতে অনেক সুবিধা হবে। বিষয়টা ভেবে দেখবেন।

মু: বন্ধু দেওয়ান রাফিকুল ইসলাম, আপনি নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শোনেন এবং আমাদেরকে মতামত দেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

আ: বাংলাদেশের ঢাকার দুরন্ত রেডিও ফ্যান ক্লাবের তাছলিমা আক্তার লিমা তার চিঠিতে লিখেছেন, আপনারা আমার ভালোবাসা নিবেন। 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠান আমার খুব ভালো লাগে। এটি আমার খুবই প্রিয় একটি অনুষ্ঠান, কারণ এ অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের অনেক চিঠির উত্তর দেওয়া হয়। শ্রোতাদের সুন্দর সুন্দর চিঠির কথাগুলো আপনার এবং আলিমুল ভাইয়ার কন্ঠে ঝর্ণার সুর ও ছন্দের মত বাজতে থাকে। কেমন আছেন আপনারা? আমি ভালো আছি আর আপনাদের অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনছি। বিশ্বের নানান তথ্যবহুল নির্ভরযোগ্য খবর আমরা জানতে পারি সিআরআই-এর বাংলা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এ ছাড়াও, চীনের ঐতিহ্য, প্রাচীন তথ্য, বর্তমান হালচালসহ নানান বিষয় জানতে পারছি। আমি ওয়েবসাইটে চীনের অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি দেখেছি যা আমার কাছে স্বপ্নের মত মনে হয়েছে। চীনের বহু কথা শুনে ও তার বিভিন্ন স্থানের সংস্কৃতির কথা জেনে চীনকে এক স্বপ্নপূরীর দেশ মনে হয় আমার কাছে। 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠানে ভারতের চব্বিশ পরগনার মকবুল আহমেদ শ্রোতার চিঠিতে দিদারুল ইকবালের চীন ভ্রমণের প্রশংসা করায় তাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের অনুষ্ঠানে চীনা শিল্পীর কন্ঠে একটি বাংলা গান শুনছিলাম- মাঝি তুমি মাঝ গাঙে নাও বাইয়া যাও......... গানটি আমার কাছে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। আর মনে হয়েছে চীনা মেয়েশিল্পীটি তার অপূর্ব মধুমাখা কন্ঠে বাংলাদেশের এই সুন্দর গানটি কীভাবে চমৎকার করে গাইলেন! আমি আপনার এই অনুষ্ঠানে আজ চীনা শিল্পীর কন্ঠে একটি বাংলা আধুনিক গান শুনতে চাই। আশা করি শুনাবেন। চাই চিয়েন...

মু: বন্ধু তাছলিমা আক্তার লিমা, আপনাকে আমাদের অনুষ্ঠানের প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি চীনা শিল্পীর কন্ঠে বাংলা গান শোনার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাহলে এখানে চীনা শিল্পী স্যু লিংনিংয়ের কন্ঠে 'ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বহে কিবা মৃদু বায়' গানটি আপনাকে এবং সব শ্রোতাকে শোনাবো। আশা করি, সবাই গানটি পছন্দ করবেন।

গান ১

আ: মুক্তা, এটি একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত। বাংলাদেশের প্রায় সবাই রবীন্দ্র সঙ্গীত কমবেশি পছন্দ করে। আমি নিজেও সুযোগ পেলে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনি। সে যাক, আমার হাতে এই মুহূর্তে যে-চিঠিটি আছে সেটি অবশ্য বাংলাদেশের কোনো শ্রোতার নয়। এই চিঠি লিখেছেন রবীন্দ্রনাথের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অল ইন্ডিয়া সিআরআই লিসনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিধান চন্দ্র সান্যাল। তিন তার চিঠিতে লিখেছেন, ...

মু: বন্ধু স্যান্যাল, আপনার পাঠানো ছবিগুলো আমি এখনো পাইনি। তবে সেগুলো হাতে পাবার অপেক্ষায় আছি। পেলে আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবো। আপনাকে ধন্যবাদ।

আ: ভারতের হুগলী জেলার নিউ হরাইজন রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সম্পাদক রবিশংকর বসু লিখেছেন, ভারতে দোলযাত্রা বা হোলি উত্সব বসন্তের আগমনের প্রতীক। রং ছোঁড়াছুড়ি আর রঙিন জল ছেটানোর উদ্দাম আনন্দে মেতে ওঠার দিন আমাদের এই দোলযাত্রা বা হোলি উত্সব। হোলির আর এক নাম "ফেস্টিভ্যাল অব কালারস"। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শীত ঋতুর অবসান ও বসন্তের আগমন উপলক্ষ্যে হোলি উত্সবের আয়োজন করে থাকেন। সম্প্রতি ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত প্রায় সব রাজ্যের সব ধর্ম ও জাতের মানুষ হোলির রঙে মেতে ওঠে। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ও এই রং আর আবির মাখানোর উত্সবে হয় মাতোয়ারা। বসন্তকে বরণ করার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম উত্সবের আয়োজন করা হয়। দোলের দিন সকালবেলা বালতিতে রং গুলে বন্দুক-পিচকারি দিয়ে শিশু-কিশোরের দল সোত্সাহে রং ছেটায়। রং ভরা বেলুন নিয়ে ছুট- ছুট- ছুট : হ্যাপি হোলি। দোল মানেই হৃদয়ে দোলা লাগার দিন। দুষ্টু কিশোর কিশোরীর গায়ে রং দেবার অপেক্ষায় মনের সঙ্গোপনে ভাবে-"নীল হলুদ লাল গোলাবী/রাঙ্গিয়ে দেব তোর ফরসা গাল/কালো কালো তোর আঁখি/আগুন লাগা তোর সব চাল"। আর আমি ৪৪টি বসন্ত পার করে ঘরে বসে কান পেতে শুনি রবীন্দ্রনাথের গান-"রাঙ্গিয়ে দিয়ে যাও যাও যাওগো এবার যাবার আগে/তোমার আপন রাগে, তোমার গোপন রাগে,/তোমার তরুণ হাসির অরুণ রাগে,/ অশ্রুজলের করুণ রাগে....../ মেঘের বুকে যেমন মেঘের মন্দ্র জাগে,/তেমনি আমায় দোল দিয়ে যাও/যাবার পথে আগিয়ে দিয়ে/কাঁদন-বাঁধন ভাগিয়ে দিয়ে"। এই পত্রের সঙ্গে আমার পুত্র উদিত শংকরের কয়েকটি আলোকচিত্র পাঠালাম। আপনাদের ভালো লাগলে ওয়েবসাইটে ও পুবের জানালা ম্যাগাজিনে প্রকাশ করলে খুশি হবো। সি আর আই বাংলা বিভাগের সকলকে আমার নমস্কার জানিয়ে শেষ করলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকুন-এই শুভ কামনায়...

মু: আমাদের পুরনো বন্ধু বসু, আপনার সুন্দর চিঠির জন্য ধন্যবাদ। হোলি উত্সবে কথা আমরা শুনেছি। এই রঙ-এর খেলায় মেতে ওঠার সুযোগ পাবো একদিন আশা করছি। আমরাও চীনে বসন্ত উত্সবে মেতে উঠি। আমরা আপনাকে কিছু উপহার পাঠিয়েছি এবং আপনার অনুষ্ঠানের ছবিগুলো আমাদের ওয়েবসাইট দিয়ে দেবো। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

আ: ভারতের বর্ধমান জেলার ইন্টারন্যাশনাল মিতালি লিসনার্স ক্লাবের মহ: হাফিজুর রহমান তার চিঠিতে লিখেছেন, চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানাই। আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমরাও ভালো আছি এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছি ও ওয়েবসাইট দেখছি। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান ও ওয়েবসাইট অত্যন্ত উচ্চমানের, তথ্য সমৃদ্ধ, বস্তুনিষ্ঠ ও আকর্ষণীয়। চীনকে চিনতে, বুঝতে ও জানতে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অনুষ্ঠান ও ওয়েবসাইটের কোনো তুলনা নেই। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শোনার এবং ওয়েবসাইট ভিজিট ভিজিট করার সুযোগ পাই বলে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি আর সেই সাথে মনে মনে গর্ব অনুভব করি। আমাদের শ্রোতাসংঘের সকলেই চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শুনে থাকে ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও ছবিসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট দেখে থাকে। সিআরআই বাংলা আমাদের মনের কথা বলে, হৃদয়ের কথা বলে। তাইতো চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানের সাথে আমাদের এত সখ্যতা, এত নিবিড় বন্ধুত্ব। আমাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে- এ প্রত্যাশাই লালন করি মনে-প্রাণে। চীন তথা গোটা বিশ্বের অর্থনীতির তরতাজা খবর প্রতিদিন আমরা কব্জা করছি চমত্‍কার ভাবে বন্ধু CR-এর সুনিপুণ পরিকল্পনায়। সার্বিকভাবে অর্থনীতির এতটা সময়োপযোগী মূল্যায়ন কোন বেতার থেকেই পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আমরা মনে করি CRI সবার শীর্ষে। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীন দেশ তথা বন্ধু প্রতিম চীনা জনগনের ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি নানা বিষয়ে জানতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি। ভালো লাগছে সংবাদ, লাভ-ক্ষতি, দৃষ্টির সীমানায়, খোলামেলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, পূবের জানালা, চলুন বেড়িয়ে আসি, হাল শৈলী, আলো-ছায়া, চলতি প্রসঙ্গ, এশিয়া টুডে, কনফুসিয়াস ক্লাসরুম, রেডিও নাটক, মুক্তার কথা, ক্রিড়াজগত, সুরের ধারায়, কনফুসিয়াস ক্লাসরুমসহ প্রতিটি পরিবেশনা। এজন্য আমাদের CR- কে অজস্র ধন্যবাদ। আজকের মতো ইতি, সবার ভালো থাকবেন।

মু: আচ্ছা, বন্ধু হাফিজুর রহমান, আমি যখন আপনার চিঠি পড়ি, তখন আমার অনেক ভালো লাগে। তবে, আজকাল আপনার কাছ থেকে আমরা কম চিঠি পাচ্ছি। আশা করি, আপনি ভবিষ্যতে নিয়মিত আমাদেরকে মতামত চিঠি লিখবেন, মতামত পাঠাবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দেবাশীষ গোপ তার চিঠিতে লিখেছেন, ...

মু: বন্ধু দেবাশীষ গোপ, আপনাকে নিয়মিত আমাদেরকে চিঠি লিখে মতামত দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার মতামত আমি অন্য অনুষ্ঠানের উপস্থাপক বা উপস্থাপিকার কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আপনার উত্সাহে আমরা আরো সুন্দর অনুষ্ঠান তৈরী করতে পারবো আশা করি।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক