Web bengali.cri.cn   
চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনী জুনে
  2013-03-04 09:53:54  cri

ইয়ুননান প্রদেশকে বলা হয় দক্ষিণ এশিয়ার জন্য চীনের প্রবেশদ্বার। কারণ দক্ষিণ এশিয়া ও চীনের মধ্যে যোগাযোগ মূলত এ প্রদেশের মধ্য দিয়েই হয়ে থাকে। শুধু যোগাযোগ নয়, চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা উন্নয়নে এ প্রদেশটি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই এখানে আয়োজিত বিভিন্ন ব্যবসায়ী আয়োজন ওই অঞ্চলের দেশগুলোর বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করে।

এ বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে ইয়ুননান সরকার প্রাদেশিক রাজধানী কুনমিংয়ে আয়োজন করতে যাচ্ছে প্রথম চায়না-সাউথ এশিয়া এক্সপ্রোজিশন বা চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনী। আগামী ৬ থেকে ১০ জুন অনুষ্ঠেয় এ মেলায় এবার প্রতিপাদ্য দেশ করা হয়েছে বাংলাদেশকে। মেলার আয়োজক চীনের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ইয়ুননান প্রাদেশিক সরকার আশা করছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে এ প্রদর্শনী ব্যপক সাড়া পাবে এবং ওই অঞ্চলের সরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিখাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এতে অংশ নেবে।

শুক্রবার পেইচিংয়ে আয়োজিত মেলা-পরিচিতি সভায় এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন চীনের উপবাণিজ্যমন্ত্রী ছাং চিয়ান এবং কমিউনিস্ট পার্টির ইয়ুননান প্রাদেশিক কমিটির সম্পাদক ছিন কুয়াং রোং। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আজিজুল হকসহ সভায় অংশগ্রহণকারী দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর কুটনীতিকরা এ মেলাকে সফল করে তোলার জন্য তাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চাং মিং, ইয়ুননান প্রদেশের গভর্নর লি চি হাং, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উন্নয়ন পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান, চীন গণবৈদেশিক মৈত্রী সমিতির এশিয়া ও আফ্রিকা বিভাগের উপপ্রধান লুয়ান ইয়ু থাও-ও উপস্থিতি ছিলেন।

চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনী নামে এটা এই প্রথমবার আয়োজিত হলেও দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর বাণিজ্যমেলা নামে এটি বিগত ৪ বছর ধরে আয়োজিত হয়েছে। চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনীর পাশাপাশি একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে চীন কুনমিং আমদানি-রপ্তানি পণ্যমেলা।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে চীনের উপবাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কুনমিংয়ে আয়োজিত মেলা দুটি প্রতিবেশী দেশগুলো, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

কমিউনিস্ট পার্টির কুনমিং শাখার সম্পাদক চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনী এবং কুনমিং মেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন: "চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনী সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় বাড়ানোর এবং প্রত্যেকের জন্য লাভজনক ফল অর্জনের একটি বৃহত্ আয়োজন। আমরা এই প্রদর্শনী এবং কুনমিং মেলাকে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহন, পণ্য বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম এবং বন্ধুত্বের একটি গুরত্বপূর্ণ সেতুতে পরিণত করার চেষ্টা চালাই।"

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আজিজুল হক ভাষণ দেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁর দেশ সম্মিলিত উন্নয়নে বিশ্বাস করে এবং সেকারণে চীনের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে চায়।

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনীর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলদেশের রপ্তানি বাড়াতে।

মেলা পরিচিতি অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারে, ভিয়েতনাম, লাওস, ব্রুনেই, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, পূর্ব তিমর, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত। (এসআর)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক