Web bengali.cri.cn   
হোথিয়েন উইগুর জাতির ওষুধের উত্সাহব্যঞ্জক বিকাশ
  2013-02-04 15:08:13  cri

হোথিয়েন উইগুর হাসপাতাল

হোথিয়েন উইগুর হাসপাতালের উপপ্রধান উবুলিসমু আইহামেইতি বলেন, "১৯৭৫ সালে হোথিয়েন উইগুর হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সময় মাত্র দুটি বিভাগ আর ১০০টি শয্যা ছিল। এখন এখানে ৬৮৫টি শয্যা আর বিশটিরও বেশি বিভাগ রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ বিভাগ তিনটি। সেগুলো হলো হৃৎতত্ত্ব, অস্থিচিকিত্সা এবং স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগ।"

সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পর বিভিন্ন স্তরের সরকারের সমর্থনে হোথিয়েন উইগুর ওষুধে লক্ষণীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এখন হোথিয়েন অঞ্চলে উইগুর চিকিত্সা সংস্থা আছে ১৮টি। এ অঞ্চলে উইগুর চিকিত্সা সম্পর্কিত কর্মীদের সংখ্যা ১০০৬। উইগুর চিকিত্সা প্রতিষ্ঠানে মোট ২০০০টিরও বেশি শয্যা আছে।

হোথিয়েন উইগুর হাসপাতালের কিডনি রোগ ও ডায়াবেটিস বিভাগের পরিচালক মাইমাইটিঈমিং আইলি সংবাদদাতাকে বলেন,  "যখন আমি হাসপাতালে যোগ দিই, তখন উইগুর চিকিত্সা পদ্ধতি খুব সহজ ছিল। বহু বছরের উন্নয়নের পর এখন উইগুর হাসপাতালে বিশেষ রোগ চিকিত্সার জন্য নানা বিশেষ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন উইগুর চিকিত্সা ও ওষুধ কলেজ প্রতিভাবান ব্যক্তি লালনের দায়িত্ব পালন করে। উইগুর চিকিত্সার দক্ষী কর্মী সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে।"

উইগুর চিকিত্সা ব্যবস্থা হচ্ছে সিনচিয়াংয়ের উইগুর জাতির শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ধবল, হৃদরোগ, কচ্ছুরোগ, হেপাটাইটিস, হাঁপানি ও স্ত্রীরোগসহ নানা দীর্ঘস্থায়ী রোগ ও কঠিন রোগের চিকিত্সায় উইগুর চিকিত্সা পদ্ধতির বিশেষ উপায় আছে। এ পদ্ধতির সুনাম জেনে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের রোগী হোথিয়েন উইগুর হাসপাতালে আসেন চিকিত্সা নেওয়ার জন্য।

হোথিয়েন উইগুর হাসপাতালের উপপ্রধান আবুদু রহমান বলেন, "লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত পেইচিংয়ের এক রোগী নানা চিকিত্সা গ্রহণ করেও সুস্থ হতে পারেন নি। তিনি দু'বছরে পর পর তিন বার আমাদের হাসপাতালে আছেন। আমাদের চিকিত্সা গ্রহণের পর এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা সুস্থ মানুষের মতো। গত বছর হেইলোংচিয়াং, শেনচেন ও চুহাইসহ নানা অঞ্চলের রোগী চিকিত্সা গ্রহণের জন্য আমাদের হাসপাতালে এসেছেন।"

হোথিয়েন উইগুর চিকিত্সকরা সক্রিয়ভাবে উইগুর ওষুধ নিয়ে গবেষণা করেন। এখন হোথিয়েন অঞ্চলের চারটি ওষুধ জাতীয় পর্যায়ের উত্পাদনের অনুমোদন পেয়েছে। ৮৬৭ রকম প্রস্তুত-ওষুধের উত্পাদন সিনচিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের খাদ্য ও ওষুধ তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনা ব্যুরো অনুমোদন পেয়েছে। এ ওষুধগুলো সিনচিয়াং উইগুর হাসপাতালে উত্পাদিত প্রস্তুত-ওষুধের প্রায় ৭৫ শতাংশে দাঁড়ায়।

জানা গেছে, হোথিয়েন উইগুর হাসপাতালের একটি ছয়তলার প্রস্তুত-ওষুধ উত্পাদন কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চলছে। আগামী বছরের মে মাসে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। তখন এই ৮৯০০ বর্গমিটার আয়তনের ওষুধ উত্পাদন কেন্দ্র আরো বেশি উইগুর ওষুধ উত্পাদন করবে এবং জনগণের চিকিত্সা ও স্বাস্থ্য রক্ষা করার চাহিদা মেটাতে পারবে। (ইয়ু/এসআর)


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক