পরেরদিন একই সময় তারা আবার বাইরে থেকে সংগৃহীত খাদ্য-সামগ্রী নিয়ে গুহায় ফিরছিল। তারা দেখল অদৃশ্য হয়ে যাওয়া সেই কালো জিনিসটিকে আবার গুহার সামনে দেখা যাচ্ছে। ইঁদুরগুলো একে অপরের মুখের দিকে তাকাতে লাগলো; কেউ কোনো কথা বলল না। বোঝা গেল, সবাই হতবাক হয়ে পড়েছে। ঠিক সে-সময় দলের প্রধান একটি অসুস্থ ইঁদুরকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল। নিরুপায় হয়ে সেই অসুস্থ ইঁদুর প্রথমে সামনে এগুতে শুরু করল। তারপর এক ধরণের অদ্ভুত শব্দ শোনা গেল এবং সেই অসুস্থ ইঁদুর কালো জিনিসের নিচে চাপা পড়ে মারা গেল। বাকি ইঁদুরগুলো আবার নিরাপদে গুহার ভেতরে প্রবেশ করল।
তৃতীয় দিনেও একই ঘটনা ঘটল। তখন দলের প্রধান একটি বয়স্ক ইঁদুরকে নির্দেশ দিল সামনে এগিয়ে যেতে। বয়স্ক ইঁদুর ভালভাবেই জানে আজ তার মৃত্যুর দিন। কিন্তু সে এভাবে মরে যেতে চায় না। সে-সময় অন্য ইঁদুরেরা তাকে সামনের দিকে ঠেলে দিতে শুরু করল। বয়স্ক ইঁদুর মনে মনে ভাবল: "বুঝে গেছি, এই সর্বনাশ এড়াতে পারবো না। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে কিছু খেতে হবে। সে একটি আপেল খেতে শুরু করল। এবং সবার অজান্তে আপেলটি ইচ্ছে করে এমনভাবে মাটিতে ফেললো যে, সেটি গড়িয়ে কালো জিনিসটির সাথে ধাক্কা খেল। তখন কালো জিনিসটি সেই আপেলটিকে চাপা দিল। বাকি ইঁদুরগুলো সাফল্যের সাথে গুহার ভেতর প্রবেশ করলো।
এভাবেই ইঁদুরগুলো ওই কালো জিনিস মোকাবিলা করার পদ্ধতি খুঁজে বের করল। ইঁদুরের মধ্যে এভাবেই 'বুদ্ধি'-র সৃষ্টি হলো।