Web bengali.cri.cn   
Voice of China চীনের শ্রেষ্ঠ কন্ঠ-১
  2012-11-16 14:24:54  cri

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। সবাই ভাল আছেনতো? আশা করি আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং আনন্দে দিন কাটাচ্ছেন। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি, লতা। আজকের সংগীতানুষ্ঠানে আপনাদের সামনে আবার হাজির হতে পেরে আমি আনন্দিত। প্রতি সপ্তাহে আমি আপনাদের আমার প্রিয় গানগুলো শোনাই। আশা করি আপনারা তা পছন্দ করেন।

অনুষ্ঠান শুরু করার আগে একটি কথা। যদি আপনারা পছন্দের কোন গান শুনতে চান, অবশ্যই আমাদের জানাবেন। অনুষ্ঠানে আপনাদের প্রিয় গান প্রচার করা হবে এবং কয়েকজন ভাগ্যবান শ্রোতাকে সি আর আইয়ের তরফ থেকে দেয়া হবে সুন্দর পুরস্কার-- পেন ড্রাইভ। যদি আপনারা আমাদের ভাগ্যবান শ্রোতা হতে চান, তাহলে নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন। আপনাদের সমর্থন হবে আমাদের চালিকাশক্তি।

আর কথা নয়; চলে যাচ্ছি 'সুরের ধারায়'। বতর্মানে চীনের টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে একটি গানের প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার নাম 'ভয়েজ অব চায়না'। এ-প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নির্বাচন করা হয় চীনের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কণ্ঠের অধিকারীকে। প্রতিযোগিতাটি ইতোমধ্যেই চীনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফেসবুকের চীনা সংস্করণ 'ইয়ান রেনরেন' এবং টুইটারে এ-প্রতিযোগিতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। প্রতিযোগিতার চারজন বিচারকই ছিলেন চীনের সংগীত ক্ষেত্রের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব। প্রতিযোগিতার নিয়ম হচ্ছে: কোনো বিচারক কোনো প্রতিযোগীকে পছন্দ করলে, সেই প্রতিযোগী সেই বিচারকের শিষ্যে পরিণত হয়। পরে বিশেষজ্ঞ বিচারকেরা নিজ নিজ শিষ্যদের গান শেখান। গান শিখে শিষ্যরা প্রতিযোগিতায় নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টা করে। এভাবেই প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচন করা হয় শ্রেষ্ঠ নবীন গায়ককে। এই নির্বাচিত গায়কই চলতি বছরের চীনের শ্রেষ্ঠ কণ্ঠ বা ভয়েজ অব চায়না।

আর এ-বছরের ভয়েজ অব চায়না হলেন, লিয়াং বো। তিনি সংগীতের ছাত্র। গিটার বাজাতে পছন্দ করেন; পছন্দ করেন রক সংগীত। তিনি বেশি কথা বলা পছন্দ করেন না। তাঁর কন্ঠ অসাধারণ। চারজন বিশেষজ্ঞ বিচারকেরই অভিমত, লিয়াং বো-ই হচ্ছেন চীনা রক সংগীতের ভবিষ্যত। আজকের 'সুরের ধারায়' সংগীতনুষ্ঠানের প্রথমে আপনাদের শোনাবো লিয়াং বোয়ের দুটি গান-- 'ফিরে আসুন'এবং 'চীন, আমি তোমাকে ভালোবাসি'।

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, উ মো ছৌ ওই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন। তাঁর স্টাইল আন্তর্জাতিক মানের। তিনি গান গান অনেকটা ম্যাডোনার মতো করে। এখন আমরা তাঁর দুটি গান শুনব। গানদুটির নাম 'নিজকে পরিবর্তন করি' এবং 'আমি একবার ভালোবাসা চাই'।

জি কে চুন ই চীনের সংখ্যালঘু জাতির মেয়ে। তিনি প্রতিযোগিতার তৃতীয় শ্রেষ্ঠ কণ্ঠ। তাঁর গলা যেন প্রকৃতির দান। প্রতিযোগিতায় তাঁর শিক্ষক ছিলেন চীনের সংগীতাঙ্গনের মহান কণ্ঠশিল্পী লিউ হুয়ান। লিউ হুয়ান ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সারাহ ব্রাইটমানের সঙ্গে অলিম্পিক গেমসের থিম সং 'you and me' গানটি দ্বৈতকণ্ঠে গেয়েছিলেন। এতো ভালো একজন শিক্ষকের কাছে তালিম নিয়েছেন জি কে চুন ই। আসুন, আমরা এখন তার গান 'আজেলু' শুনি। এর পরপরই শুনবো লিউ হুয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে গাওয়া গান 'বিশ্ব আমার হৃদয়ের মধ্যে'।

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এ-বছরের 'ভয়েজ অব চায়না' প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন চিন জি উন। তার ভালোবাসার গানগুলো খুবই সুন্দর। চারজন বিশেষজ্ঞ-বিচারকই বলেছেন, চিন জি উয়েন নিজের ভালোবাসা নিয়ে গান গান, তাই তাঁর গান এতো মিস্টি। আজকের সংগীতনুষ্ঠানের শেষ দিকে আমরা তাঁর গান 'আমি তোমাকে জানাতে চাই' উপভোগ করবো।

আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের সংগীতানুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। তবে 'ভয়েজ অব চায়না'-র কাহিনী কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। আগামী সপ্তাহেও 'ভয়েজ অব চায়না' নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো। আশা করি আপনারা সে-অনুষ্ঠানও শুনবেন। আপনারা যে যেখানে আছেন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন। (লতা/আলিম)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক