Web bengali.cri.cn   
বিশ্বভারতীর চীনভবনের প্রথম পরিচালক থান ইয়ুন সান ২
  2012-10-29 09:04:53  cri

জওহরলাল নেহেরু চীনভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু রওনা দেওয়ার আগের দিন হঠাত তাঁর জ্বর হওয়ায় তিনি শান্তিনিকেতন যেতে পারেন না। না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি যে একটি চিঠি লিখেন তা নিয়ে তাঁর মেয়ে ইন্দিরা গান্ধী রাতের রেলগাড়িতে চড়ে শান্তিনিকেতনে গিয়ে তাঁর পক্ষ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তা পড়ে শোনান।

চীনভবন উদ্বোধন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের কাছে চীনের তদানিন্তন প্রেসিডেন্ট চিয়াং কাই শেকের পাঠানো একটি অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়: "চীনভবন শিগগীরই খোলার খবর পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। মানবজাতির শান্তি ও বিশ্বের মহাসম্মিলনীর জন্য দুপক্ষের মিলিত প্রচেষ্টায় চীনভবনে প্রাচ্যের বিদ্যাচর্চা এবং সংস্কৃতি গবেষণায় অনবরত সাফল্য অর্জিত হোক, এ আশা করি। আপনার সুস্বাস্থ্যও কামনা করি।"

উদ্বোবধনী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ 'ভারত ও চীন' শিরোনামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীকে পুষ্পিত বিশ্বকানন বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। চীন ও ভারতের সংস্কৃতি ও গবেষণার সাফল্য বিনিময়ের কেন্দ্র হিসেবে চীনভবন নিঃসন্দেহে এ বিশ্বকাননের একটি সুগন্ধি ফুল।

চীনভবনের প্রথম পরিচালক হিসেবে থান ইয়ুন সান অবিলম্বে যে দুটো কাজে হাত দেন তা হলো বৌদ্ধধর্মের শাস্ত্র নিয়ে গবেষণা চালানো এবং চীনভবনে বিদ্যাচর্চা করতে চীন ও অন্যান্য দেশের বিদ্বানদের আমন্ত্রণ জানানো। তাঁর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে চীনের সে সব পণ্ডিত শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত শাস্ত্রজ্ঞ অধ্যাপক চিন কে মো, চীনের সমাজবিজ্ঞান একাডেমির ভারত বিষয়ক বিষেশজ্ঞ হু পাই ওয়েই, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক উ সিয়াও লিং এবং বিখ্যাত চিত্রশিল্পী সু পেই হং। অধ্যাপক উ সিয়াও লিংয়ের স্ত্রী সি চেন শান্তিনিকেতনে বাংলা শিখে প্রথমে বাংলা থেকে রবীন্দ্রনাথের রচনা চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।

১৯৩৭ সালের ৭ জুলাই জাপানি বাহিনী পেইচিংয়ের উপকণ্ঠের লুকৌ সেতুর পাশে চীনা বাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এতে জাপানের হামলার বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধের সুত্রপাত ঘটে। ভারতে অবস্থানরত থান ইয়ুন সান চিন্তিত হয়ে মাতৃভূমির পরিস্থিতির ওপর নিবিড় দৃষ্টি রাখেন। তিনি শান্তিনিকেতন ও অন্যান্য স্থানে আয়োজিত জনসমাবেশে বক্তৃতা দিয়ে চীনা জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধের বাস্তব অবস্থা বর্ণনা করেন এবং ভারতে জাপানের মিথ্যা প্রচার চালানোর চক্রান্ত উদঘাটন করেন। 'বিবেকের আহ্বান'সহ তাঁর লেখা অনেক প্রবন্ধ ভারতের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাতে চীনা জনগণের নির্ভীক সংগ্রাম চিত্রিত হয়। তাঁর প্রবন্ধগুলো ভারতীয় জনগণের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া জাগিয়ে তোলে।

রবীন্দ্রনাথও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে চীনা জনগণের প্রতি সমর্থন জানান। সেই সময় তাঁর শরীর ভালো ছিল না, তা সত্বেও চীন সাহায্য তহবিলে অর্থ সংগ্রহ করে দেওয়ার জন্য গীতিনাটক 'চণ্ডলিকা' নতুন করে রচনা করেন তিনি। চিকিত্সকদের পরামর্শ অগ্রাহ্য করেই তিনি ১৯ ও ২০ মার্চ কলকাতায় পরিবেশনের সময় প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত ছিলেন। চীন দিবস পালনের দিন তিনি চীন সাহায্য তহবিলে ব্যক্তিগতভাবে ৫০০ টাকা দানের কথা ঘোষণা করেন। তিনি ভারতীয় জনগণকে নানাসূত্রে বৈষয়িক সাহায্য দানের আহবান জানান এবং তাতে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়।

১৯৩৮ সালে থান ইয়ুন সান চীনে ফিরে যান। ৯ জুলাই তিনি হানখৌ শহরে চিয়াং কাই শেকের কাছে রবীন্দ্রনাথের যে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন তাতে বলা হয়: "আপনারা এখন বাহ্যত জয়লাভ নাও করতে পারেন, তবে আপনাদের নৈতিক জয় মলিন হবে না। এ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে জয়ের বীজ আপনাদের গভীর অন্তরে ছড়িয়ে পড়বে তা বারবার অমর বলে প্রমাণিত হবে।" এ চিঠি চীনের বেতারে প্রচারিত হয়। তা শুনে রক্তাক্ত সংগ্রামরত চীনা জনসাধারণ গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়।

চীন সরকার থান ইয়ুন সানের মাধ্যমে জওহরলাল নেহেরুকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। জওহরলাল নেহেরু চীন সফরকালে সর্বক্ষেত্রে চীন ও ভারতের সম্বন্ধ জোরদারের যে একটি স্মারকলিপি প্রকাশ করেন, তার ফলে চীনের প্রতিরোধ যুদ্ধে ভারতীয় জনগণের সমর্থন আরো ব্যাপক হয়।

১৯৩৮ সালে চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনীর আহত সৈনিকদের চিকিত্সা করার জন্য কংগ্রেস পাটি-নির্বাচিত পাঁচজন অভিজ্ঞ চিকিত্সক চীনের মুক্ত অঞলে আসেন। তাঁদের যাত্রাপথে থান ইয়ুন সান যতদূর সম্ভব তাঁদের সাহায্য করেন। তিনি তাঁদের প্রত্যেককে একটি করে চীনা নামও দেন। বাংলা চিকিত্সক বসু ১৯৩৮ সালের ২৯ নভেম্বর তাঁর রোজনামচায় লিখেন, অধ্যাপক থান ইয়ুন সানের যত্ন ও সাহায্য ছাড়া আমরা বোধহয় গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে পারতাম না।

১৯৪২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের রাষ্ট্রপ্রধান চিয়াং কাই শেক ভারত সফর করেন। চীনভবনের পরিচালক হিসেবে থান ইয়ুন সান তাঁর সফরের প্রস্তুতি ও সফরসূচি তৈরির ব্যাপারে যতটা পারা যায় সহায়তা করেন। থান ইয়ুন সান বিশ্বভারতীতে চিয়াং কাই শেক ও জহরলাল নেহরুর বৈঠক নিখুঁতভাবে আয়োজন করেন এবং তাঁদের বৈঠকের সাফল্য নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। চিয়াং কাই শেকের ভারত সফর প্রসংগে জহরলাল নেহরু বলেন: "এটা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং চীন ও ভারত এ দুটি মহান জাতির মৈত্রী ও ভবিষ্যতের কমরেডসুলভ সম্পর্কের প্রতীক।"

১৯৪৫ সালে চীনা জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধে বিজয় লাভের পর চীন সরকার প্রতিরোধ যুদ্ধে থান ইয়ুন সানের অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে বিজয় পদক প্রদান করে।

১৯৫৬ সালে থান ইয়ুন সান নয়া চীন সরকারের আমন্ত্রণে চীনে ফিরে আসেন।

পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি বিভাগের অধ্যাপক চিন তিং হান বলেন:

"অধ্যাপক থান ইয়ুন সান পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে তাঁকে প্রাণঢালা সম্বর্ধনা জানানো হয়। প্রাচ্য ভাষা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক চি সিয়ান লিন সংস্কৃত শাস্ত্রের গবেষণা নিয়ে তাঁর সংগে বিশদভাবে আলোচনা করেন। তখন আমি ছিলাম অভ্যর্থনা কমিতির সচিব। তাঁকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দর্শনীয় স্থান।"

মিং থান চং বলেন, "আমার বাবা ছিলেন মাও সে তংয়ের সহপাঠী। মাও সে তংয়ের কাছে লেখা একটি চিঠিতে তিনি বলেন, 'চীন ও ভারতের বন্ধুত্ব চিরকাল বজায় রাখা উচিত'। মাও সে তং আমার বাবার মত মেনে নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই দু দেশের মৈত্রীকে সুদৃঢ় করতে বিশেষভাবে উত্সুক ছিলেন।"

পেইচিংয়ে অবস্থানকালে থান ইয়ুন সান অন্তরঙ্গ পরিবেশে মাও সে তং, লিউ সাও চি, চৌ এন লাই প্রমুখ চীনা নেতাদের সংগে সাক্ষাত করেন।

১৯৫৬ সালের ১৫ অক্টোবর চীনের কেন্দ্রীয় বেতারে প্রদত্ত এক ভাষণে থান ইয়ুন সান বলেন: "চীন ও ভারত বিশ্বের দুটো প্রাচীনতম সভ্য দেশ। দুই দেশের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। চীন ও ভারত এ দুটো মহান দেশ ও দুদেশের জনগণ একেবারে দুদেশের মধ্যে দণ্ডায়মান হিমালয় পর্বতের মতো। প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত শীতল প্রবাহ ও ঝড়বৃষ্টির চোটে কখনো দোলে নি। এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, হিমালয় পর্বত যতদিন থাকবে আমাদের দুটো দেশ ও দুটো দেশের জনগণও ততদিন টিকে থাকবে।"

থান ইয়ুন সানের সাথে দুঘন্টা স্থায়ী সাক্ষাত্কারে দুদেশের বন্ধুত্ব কেমন করে আরো গভীর করে তোলা যায় - সে সম্বন্ধে তাঁর মতামত জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাইকে তিনি ভারত সফরের প্রস্তাব দেন। চৌ এন লাই তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করেন। ভারত সফরকালে চৌ এন লাই ও জওহরলাল নেহেরু খ্যাতনামা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতি ঘোষণা করেন।

১৯৫৭ সালের জানুয়ারি মাসে থান ইয়ুন সানের সমভিব্যাহারে চৌ এন লাই বিশ্বভারতী সফর করেন এবং সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন। বিশ্বভারতীতে এক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন: "শিল্পকলার কেন্দ্র বিশ্বভারতীতে এসে স্বাভাবিকভাবে আমাদের মনে পড়ে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা, ভারতের মহান দেশপ্রেমিক কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা। প্রতিভাদীপ্ত কবি হিসেবে তিনি যে শুধু বিশ্বসাহিত্যে অসাধারণ অবদান রেখেছেন তাই নয়, তিনি অন্ধকারকে ঘৃনাকারী এবং আলোক অনুসন্ধানকারী ভারতীয় জনগণেরও বিশিষ্ট প্রতিনিধি। রবীন্দ্রনাথের প্রতি চীনা জনগণের রয়েছে নির্মল সদ্ভাব। চীনা জনগণ কখনো তাঁদের প্রতি রবীন্দ্রনাথের ভালোবাসার কথা ভুলবে না। রবীন্দ্রনাথ তাঁদের জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের দুরূহ সংগ্রামকে যে সমর্থন করেছিলেন, সে কথাও চীনা জনগণ কখনো ভুলবে না। চীনা জনগণ আজো শ্রদ্ধাপ্লুত চিত্তে ১৯২৪ সালে রবীন্দ্রনাথের চীন সফরের কথা স্মরণ করে। সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথের অনেক রচনা চীনা ভাষায় অনুদিত হয়েছে এবং চীনা লাখ লাখ পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় জনগণের গৌরব, বিশ্বভারতীর গৌরব। আমি এ মুহুর্তে বিশ্বভারতীর সাম্মানিক ছাত্র হিসেবে এ গৌরবের অংশীদার হয়ে নিজকে ধন্য মনে করছি।"

বিদ্যাচর্চায় থান ইয়ুন সানের অর্জিত সাফল্যও উল্লেখযোগ্য। ইংরেজি ভাষায় তাঁর লেখা ১৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে 'আজকের চীনের বৌদ্ধধর্ম', 'চীনে কী কী ধর্ম আছে', 'চীনের সংস্কৃতিতে ভারতের অবদান', 'ভারতের চীন বিষয়ক গবেষণা', 'গুরুদেবের আশ্রমে উত্সর্গিত আমার প্রাণ', 'বিশ্বভারতীর চীনভবন', 'আধুনিক চীন', 'চীন, ভারত ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ', 'ভারত ও চীনের সাংস্কৃতিক আদর্শ', 'এশিয়ার ঐক্য ও বিশ্বের মহাসম্মিলনী', 'চীন ও ভারতের সংস্কৃতির অহিংসাবাদ', 'চীন-ভারত সম্পর্ক', 'শান্তির দিকে যাওয়ার পথ', 'চীনের ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস', 'জাগরণ - বিশ্বের জন্য ঋষি অরবিন্দের উপদেশ' এবং 'বিশ্বভারতীর চীনভবনের ২০ বছর'।

১৯৬৭ সালে ৬৯ বছর বয়স্ক থান ইয়ুন সান বিশ্বভারতী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালে ৭৩ বছর বয়স্ক থান ইয়ুন সান বুদ্ধগয়ায় একটি বৌদ্ধধর্ম বিষয়ক আন্তর্জাতিক অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। অধিবেশন শেষে তিনি ঘোষণা করেন, তিনি বুদ্ধগয়ায় একটি বিশ্ব বৌদ্ধধর্মের গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তুলবেন। এই মহাপ্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তিনি নিজে হংকং, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে গিয়ে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করেন। নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর তিনি জীর্ণ শরীরের পরোয়া না করে রোজ কর্মস্থলে গিয়ে দেখেন, নির্মাণকাজ ঠিকমত চলছে কিনা। কিন্তু নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এটা একটি মস্ত বড় পরিতাপের বিষয় বলা যায়। তবে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে তিনি যে অটল মনোবলের পরিচয় দিয়েছেন তার জন্য তিনি পরবর্তী বংশধরদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকবেন।

১৯৮৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর শোক বাণীতে বলেন: "থান ইয়ুন সান ছিলেন একজন মহান পণ্ডিত ও মহান বুদ্ধিজীবী। কবিগুরু ও আমার পিতা তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন। তিনি ও শান্তিনিকেতন হৃদয়বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। তিনি ভারত ও চীনের সভ্যতার পারস্পরিক উপলব্ধিতে ব্যাপক অবদান রেখে গেছেন।"

চীনের বিখ্যাত পণ্ডিত চি সিয়ান লিং থান ইয়ুন সানের ব্যক্তিত্বের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে বলেছিলেন: "প্রাচীনকালের চীনা পরিব্রাজক ফা-হিয়েন এবং হিউয়েন সাঙের পদাংক অনুসরণ করে থান ইয়ুন সান চীন ও ভারতের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীবন্ধন মজবুত করার ব্রতে তার সকল শক্তি উত্সর্গ করেছিলেন। তিনি দু দেশের মধ্যে মৈত্রীর যে সোনালি সেতু পুনরায় নির্মাণ করেছেন, তা আগের যে কোনো যুগের চেয়ে অধিক উজ্জ্বল ও মুল্যবান।"

মন্তব্য
মন্তব্য
লিঙ্ক