Web bengali.cri.cn   
চীন-ভারত সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা
  2012-09-17 19:43:46  cri

গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যা ৮টায় চীনের কানসু প্রদেশের রাজধানী লানচৌ শহরের লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েন সিন মিলনায়তনের মঞ্চের পর্দা উঠতে না উঠতে মঞ্চের পটভূমিতে দেখা যায়, নীল আকাশের নীচে সূর্যের আলোয় তুষারাবৃত পর্বতশৃঙ্খ ঝলমল করছে। ঘন সবুজ গাছ-গাছালির ফাঁকে ফাঁকে শিবালয় কখনো কখনো আবির্ভুত হয় কখনো কখনো মিলিয়ে যায়। প্রাচীন ভারতের একটি ঝিঁল্লিমন্দ্রমুখরিত গ্রামের মধ্যে দিয়ে কুল কুল রবে বয়ে যায় একটি পাহাড়ী নদী। নদীর ধারে বাঁশির সুললিত সুরের তালে তালে রংবেরঙের শাড়ি পড়া কিশোরীরা মাথায় কলসী নিয়ে নাচ করছেন। লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে বিখ্যাত নাটক 'চিত্রাঙ্গদা' মঞ্চস্থ করেন এটা তার একটি মনোরম দৃশ্য।

ভারতের প্রাচীন সমাজের বিশ্বকোষ বলে পরিচিত ভারতের দুটো মহাকাব্যের অন্যতম 'মহাভারত'-এর কাহিনী অবলম্বনে 'চিত্রাঙ্গদা' রচিত হয়েছে। মহাভারতে কাহিনীটি আকারে ছিল খুব ছোট। কিন্তু কবিগুরু তার অসাধারণ লেখনী দিয়ে তাকে রূপান্তরিত করেছেন একটি বৈচিত্র্যময় নাটকে। এ নাটকে মনিপুর রাজ্যের রাজকুমারী চিত্রাঙ্গদা‍ ও কুরু রাজ্যের রাজকুমার অর্জুনের প্রেম বর্ণনা করা হয়েছে।

'চিত্রাঙ্গদা' নাটকটি এ পর্যন্ত তিন বার চীনে মঞ্চস্থ করা হয়েছে। ১৯২৪ সালের ৭ মে রবীদ্রনাথ ঠাকুরের চীন সফরকালে তাঁর ৬৩তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষ্যে পেইচিংয়ের সিয়ে হে মিলনায়তনে চীনের শিল্পীরা ইংরেজি ভাষায় অনুদিত 'চিত্রাঙ্গদা' পরিবেশন করেন। অন্য দুই বার 'চিত্রাঙ্গদা' মঞ্চস্থ করা হয় অধ্যাপক মাও সি ছাংয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায়। অধ্যাপক মাও সি ছাং ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন ভারতের জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি সংগীত-অনুরাগী; ছোটোবেলা থেকেই ভারতের নাচগান খুবই পছন্দ করেন। ভারতে সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করার ৫ বছরে সুযোগ পেলেই তিনি ভারতের ধ্রুপদি নৃত্য, আধুনিক নৃত্য, নাটক ও সংগীত উপভোগ করতে যেতেন। এমনকি উত্সব উদযাপনী অনুষ্ঠান এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টাও করতেন। চীনে ফিরে আসার পর তিনি লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় সংস্কৃতি গবেষণালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং দশজনেরও বেশি সহকর্মীর সঙ্গে সর্বশক্তি দিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতির গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেন।

'চিত্রাঙ্গদা' প্রসংগে অধ্যাপক মাও সি ছাং সংবাদদাতাকে বলেন, চীনে রবীদ্রনাথের 'চিত্রাঙ্গদা' মঞ্চস্থ করার ইচ্ছা তাঁর মনে জন্মায় দশ বছর আগে, ভারতে থাকার সময়ে। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁর পরিচলানায় লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি ভাষা বিভাগের ইংরেজি নাটক ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা 'চিত্রাঙ্গদা'র সংলাপ চীনা ভাষায় অনুবাদ করে এর সবক'টি ভূমিকায় অভিনয় করেন।। তাঁদের অনবদ্য মঞ্চাভিনয় লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ নাটক সম্পর্কে চীনের অনেক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

গত বছরের মে মাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে অধ্যাপক মাও সি ছাং ও চীনে নিযুক্ত ভারতের দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সিলার অরুণ সাহু আলোচনা করে স্থির করেন, ভারতের দূতাবাসের আর্থিক সহায়তা লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয় চীনা ভাষায় অনুদিত 'চিত্রাঙ্গদা' আবার মঞ্চস্থ করবে। গত অক্টোবর মাসে 'চিত্রাঙ্গদা'র সংলাপ ও স্বগতোক্তি চীনা ভাষায় অনুবাদ করে নাটকের মহড়া চালানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রথমে অভিনতা ও অভিনেত্রী নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০জন ছাত্রছাত্রী শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত হন। নৃত্যের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ নাটকের মর্মকথা ও চিন্তাগ্রাহ্যতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে ছাত্রছাত্রীদের ভারতের নাচ শিখানোর জন্য চীনে ভারতীয় নৃত্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ নৃত্য শিল্পী বলে পরিচিত চিন সান সানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চিন সান সান লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তাঁদের ছটি নাচ শিখান। চিত্রনাট্য নতুন করে রচনা করেন লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসন কলেজ, ইতিহাস ও সংস্কৃতি কলেজ, সাহিত্য কলেজ এবং শিক্ষা কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। মূল রচনায় ৯টি দৃশ্য ছিল। আঙিকের কিছু রদবদল করে অবশেষে ৫টি দৃশ্য বজায় রাখা হয়। অভিনয়ের ফাঁকে ফাঁকে ৬টি নাচ পরিবেশন করা হয়।

ভারতের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা মধুর সংগীতের তালে তালে নাচ ও সংলাপের মাধ্যমে চিত্রাঙ্গদা ও অর্জুনের পরস্পরকে জানা ও ভালবাসার হৃদয়গ্রাহী কাহিনী সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন। ভারতের সংগীত ও নৃত্য ছাড়াও কুংফু নামক চীনা শরীরচর্চা এবং 'লাল ভবনের স্বপ্ন' নামে চীনের ধ্রুপদী উপন্যাসের শৈল্পিক উপাদান নাটকটিতে সংযোজিত হয়। আবেদনময়ী প্রাচীন ভারতীয় সংগীত শোনার সংগে সংগে মঞ্চে দৃষ্টিগোচর হয় মহিমান্বিত শিবালয় ও রঙিন জাতীয় পোশাক। মঞ্চসজ্জা ও রূপসজ্জার দিক থেকে ভারতের নাট্যশিল্পের রীতি হুবহু অনুসরণের ফলে দর্শকদের কাছে ভারতের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য প্রতিভাত করা সম্ভব হয়। নাটক দেখতে দেখতে দর্শকদের মনে হয়, তাঁরা যেন রহস্যপূর্ণ প্রাচীন ভারতে রয়েছেন।

'চিত্রাঙ্গদা' মঞ্চায়নের প্রধান উদ্যোক্তা অধ্যাপক মাওসি ছাং সাংবাদিকদের জানান: "লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয় নাটকে ব্যবহৃত দ্রব্য, পরিচ্ছদ, সংগীত ও নৃত্যের দিক থেকে ভারতের নাট্যশিল্পের স্বাতন্ত্র প্রদর্শনের প্রচেষ্ট চালিয়েছে। চীনের জাদুঘরে সংরক্ষিত ভারতের নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের অনুকরণে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ব্যবহৃত কলসি, সাজি ও বাদ্যযন্ত্র তৈরি করা হয়।"

'চিত্রাঙ্গদা' পরিবেশনের জন্য অধ্যাপক মাও সি ছাং তাঁর সমস্ত বিজ্ঞতা ও শক্তি প্রয়োগ করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'চিত্রাঙ্গদা'র মহড়া চালাতে নানা রকম অনাকাঙ্খিত অসুবিধা কাটাতে হয়েছে। নাট্য দলের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রী। তাদের ক্লাসের সময় আলাদা বলে মহড়া চালানের সময় ঠিক করা বেশ কঠিন ছিল। গত বছরের শেষ দিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে মহড়া চলার সময়ে এ নাটকের পরিচালক তাঁর বাবার গুরুতর অসুখের খবর পেয়ে বাড়ি ছুটে যান। ফলে মহড়া একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। অধ্যাপক মাও সি ছাং অবিলম্বে এ সমস্যা সমাধানের জন্য ছাত্রছাত্রীদের নানা বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামশ দিতে অনুরোধ করেন। তাঁদের প্রস্তাব অনুযায়ী শাহাই ফু তান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত একজন সহকারী যুব পরিচালকের ওপর মহড়া পরিচালনার ভার অর্পন করা হয়। ফলে মহড়া আবার দস্তুরমত চলতে থাকে। অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য পোশাক-পরিচ্ছদ ও অভিনয়ে ব্যবহৃত দ্রব্য তৈরি এবং নৃত্যশিল্পের সৌন্দর্য বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বাজেটের অর্থ সীমিত বলে নাট্যদলের কেউ পারিশ্রমিক নেন নি। গত মার্চ মাসে যখন তুষার পড়ে তখন তাদের পাতলা কাপড় পরে নগ্নপদে মহড়া চালাতে হয়। যে প্রেক্ষাগৃহে মহড়া চলছিল সেখানে হিটিং–ব্যবস্থাও ছিল না। মহড়ায় অংশ নিতে তাঁদের যথেষ্ট খাটুনি হলেও এবং প্রতিদিন মহড়া শেষে তাঁদের বাক্সে সরবরাহকৃত খাবার খেতে দেওয়া হলেও তাঁদের কারো অনুযোগ ছিল না। বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী মাদাম জিন সান সান টানা তিনদিন বিপুল উত্সাহে তাঁদের নাচ শিখান। তিনিও এক পয়সা দক্ষিণা নেন নি।

ছয় মাস ধরে পুরোদ্যমে প্রস্তুতি নেওয়ার পর সবার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ২০১২ সালের মার্চ মাসে চীনা ভাষায় অনুদিত 'চিত্রাঙ্গদা' তার রহস্যময় অবগুণ্ঠন খুলে চীনা দর্শকদের সামনে হাজির হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ডক্টর এস জয়শংকর অভিনন্দন বার্তায় বলেন: "লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনাদের সবার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত নাটক চিত্রাঙ্গদা উপভোগের সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। প্রথমে আমি অধ্যাপক মাও সি ছাং ও লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদেরকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাঁদের সৃজনশক্তি ও কবিগুরুর প্রতি তাঁদের গভীর ভালোবাসার কল্যাণে এ নাটকের মঞ্চায়ন সম্ভব হয়েছে। এখানে আমি লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই।

"উল্লেখ্য, গত বছর 'চিত্রাঙ্গদা' মঞ্চায়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। গত বছর ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী। এ নাটকের মহড়া চালাতে অনেক সময় ব্যয় হয়। এ বছর চীন ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা-বর্ষ। তাই আজ চিত্রাঙ্গদার মঞ্চায়নের রয়েছে বিশেষ তাত্পর্য।

"আপনারা হয়তো জানেন, 'চিত্রাঙ্গদা'র কাহিনী মহাকাব্য 'মহাভারত' থেকে নেওয়া হয়েছে। এই কাহিনীর যেমন মানবিক তেমনই নৈতিক তাত্পর্য রয়েছে। এই কাহিনীতে নায়ক-নায়িকার মনের যে সংকোচ, সংশয় ও দ্বিধা চিত্রিত হয়েছে, তা চীনা দর্শকদের মধ্যে যে সাড়া জাগাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

"চীন ও ভারতকে সংযুক্ত করা রেশমপথে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ লানচৌ শহরে চিত্রাঙ্গদা মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন আমাদের দু' দেশের জনসাধারণের প্রজ্ঞাকে সংযুক্ত করা একটি সেতু। এ নাটক উপভোগের মুহূর্তে আসুন, আমরা চীন ও ভারতের মৈত্রীকে আরো গভীর করে তোলার প্রচেষ্টা চালাই।"

লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিস্ট পার্টি-কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হান সং তাঁর উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন: "মাননীয় রাষ্ট্রদূত ডক্টর এস জয়শংকর আমাদের মঞ্চস্থ করা 'চিত্রাঙ্গদা'র যে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তার জন্য আমি তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা যে এ নাটক মঞ্চস্থ করতে পেরেছি তার মূলে রয়েছে মাননীয় রাষ্ট্রদূত ও কাউন্সিলার অরুণ সাহুর মুল্যবান পরামর্শ এবং ভারতীয় দূতাবাসের আর্থিক সাহায্য। আমরা বিশ্বাস করি, 'চিত্রাঙ্গদা'র সার্থক পরিবেশন হচ্ছে লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারত সরকারের সাংস্কৃতিক যোগাযোগের একটি শুভ সূচনা। গত বছরের ২২ অক্টোবর মাননীয় রাষ্ট্রদূত লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয় সফরকালে বলেছিলেন যে, তিনি, কাউন্সিলার অরুণ সাহু ও অধ্যাপক মাও সি ছাং ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী। মাননীয় রাষ্ট্রদূত যে বিশেষভাবে এ নাটক উপভোগ করতে এসেছেন তাতে আমরা আনন্দ ও গৌরববোধ করি।

"লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয় চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের কান সু প্রদেশ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রেশমপথে। চীনের পরিব্রাজক হিউয়েন সাং বৌদ্ধধর্মগ্রন্থ সংগ্রহ করতে কান সু প্রদেশের মধ্য দিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। চীন-ভারত মৈত্রী ও দু'দেশের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের ফুল নিশ্চয়ই লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটতে থাকবে। এই মুহূর্তে আমরা যেন শুনতে পাচ্ছি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লেই ও নেহেরুর মিলিতকণ্ঠে দেওয়া স্লোগান: 'চীন-ভারত ভাই ভাই'।

"১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেছিলেন, তার জন্য এশিয়ার জনগণ গভীরভাবে গর্ববোধ করেন। চীন ও ভারতের পণ্ডিতরা ২০১৩ সালে তাঁর নোবেল সাহিত্য পুরস্কার অর্জনের শততম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ভারতীয় দূতাবাসের প্রস্তাবে আমরা চীনের বিভিন্ন শহরে 'চিত্রাঙ্গদা' পরিবেশনের উদ্যোগ নিচ্ছি। আমরা আশা করি, আরো বেশি সংখ্যক দর্শক চীনা ভাষায় অনুদিত 'চিত্রাঙ্গদা' দেখার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ও ভারতের সুউজ্জ্বল সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। এটা কবিগুরুকে দেওয়া একটি মূল্যবান উপহার বলে আমরা মনে করি।

"লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য শহরে গিয়ে 'চিত্রাঙ্গদা' পরিবেশনের নিরলস প্রচেষ্টা চালাবে। বস্তুত এ নাটক পরিবেশনের মানেই ভারতের সংস্কৃতি প্রচার করা। আমরা বিশ্বাস করি, অন্যান্য শহরেও আমাদের নাটক মঞ্চায়ন সফল হবে।"(শিশির/পাই খাই ইউয়ান)

মন্তব্য
মন্তব্য
লিঙ্ক