নভেম্বর ১: গতকাল (রোববার) জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক জাতিসংঘের ২৬তম সম্মেলন ব্রিটেনের গ্লাসগোতে উদ্বোধন করা হয়। এদিন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ‘২০২১ সালে বৈশ্বিক জলবায়ুর অবস্থা’ শীর্ষক এক সাময়িক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত জলবায়ুর তথ্য ও পরিসংখ্যান, তাপমাত্রা ও চরম আবহাওয়া, সমুদ্রের তাপমাত্রা ও উচ্চতা বৃদ্ধি এবং হিমবাহসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সূচক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রিপোর্টে খাদ্য নিরাপত্তা, শরণার্থী ও প্রাকৃতিক ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানায়, রেকর্ড-সেটিং বায়ুমণ্ডলীয় গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব এবং তাপ সঞ্চয় পৃথিবীকে অজানা অঞ্চলে ঠেলে দিয়েছে। তা বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর গভীর প্রভাব ফেলবে।
রিপোর্টে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সাগর অঞ্চলে তীব্র গরম বেড়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা বিশ্বে ঘন ঘন চরম আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। গত জুন ও জুলাই মাসে উত্তর আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রা দেখা গেছে। কোনো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। চরম তাপমাত্রার কারণে কিছু এলাকার বনভূমিতে আগুন লাগে। তা ছাড়া, পশ্চিম ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে গুরুতর খরাও দেখা গেছে।
(লিলি/তৌহিদ/শুয়েই)