তিন প্রজন্মের প্রাচীন পুস্তক রক্ষণাবেক্ষণকারীর গল্প
2021-04-02 15:59:32

চীনা সভ্যতার ইতিহাস ৫০০০ বছরেরও বেশি। বিশ্বের ৪টি প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম হিসেবে চীনের সংস্কৃতি মানবজাতির ইতিহাসেও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। হাজার হাজার বছরের ইতিহাস মুদ্রিত আছে আবার কোটি কোটি প্রাচীন পুস্তকে। এসব পুস্তকে প্রাচীন চীনা সমাজের বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সিছুয়ান প্রদেশ প্রাচীন পুস্তক সংরক্ষণের বড় জায়গা। এখানে ২০ লাখেরও বেশি প্রাচীন পুস্তক বিভিন্ন জাদুঘরে রাখা আছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় অর্ধেক আবার কোনো-না-কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই পেশাদার ব্যক্তিদের দ্বারা সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন। তবে সিছুয়ান প্রদেশে এমন কর্মীর সংখ্যা শুধু ৬০ জন। একটি বই মেরামত করতে একজনের আপাতত ১৫ থেকে ২০ দিন লাগে। তাই প্রাচীন পুস্তক মেরামতকারী কর্মীর চাহিদা অনেক বেশি।

২০০৮ সালে সিছুয়ান প্রদেশে প্রাচীন পুস্তক মেরামত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুর দিকে মাত্র ৫ জন কর্মী ছিল। এখন ৪০ জনেরও বেশি হয়েছে। তাঁরা গত কয়েক বছরে ১৭ সহস্রাধিক প্রাচীন শাস্ত্র বা গ্রন্থ মেরামত করেছেন। আজকের আসরে আমরা চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ছেংতু শহরের প্রাচীন পুস্তক রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মীদের গল্প তুলে ধরবো।

জনাব পেং তে ছুয়ানের বয়স ৭৬ বছর। তিনি এ মেরামত কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চীনের প্রাচীন পুস্তক সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য। তিনি সারা জীবন ধরেই বই ও শাস্ত্র নিয়ে কাজ করে আসছেন। যুবকালে স্কুলে শিক্ষকতার কাজ করতেন। পরে গ্রন্থাগারে কাজ করেছেন এবং অবসর নেওয়ার পর প্রাচীন পুস্তক মেরামত করছেন। চায়ে কাপ হাতে প্রাচীন শাস্ত্র নিয়ে সংবাদদাতাদের সাথে গল্প করেন তিনি। তিনি বলেন,

“আমি সারা জীবন ধরেই বই পড়েছি। অপেরা দলে ও স্কুলে কাজ করেছি, পাচুং শহরের গ্রন্থাগারে কাজ করেছি।”

তিন প্রজন্মের প্রাচীন পুস্তক রক্ষণাবেক্ষণকারীর গল্প_fororder_gj4

২০০৫ সালে অবসর নেওয়ার আগে তিনি নিজের শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন তাঁর শিক্ষক, চীনের বিখ্যাত গ্রন্থাগারিক চাং ত্য ফাং তখন গুরুতর অসুস্থ। শিক্ষক জনাব পেংকে বলেন, প্রতিদিন শুধু গ্রন্থাগারে বসে বই পড়লে হবে না, এখন প্রাচীন পুস্তক রক্ষণাবেক্ষণের কাজেও যোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে দেরি হলে বইগুলো আর টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।

শিক্ষক চাং ত্য ফাং প্রাচীন পুস্তকগুলোর হাল সম্পর্কে জেনে উদ্বিগ্ন হন। কারণ, সিছুয়ান প্রদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ স্যাঁতসেঁতে গরম, স্থানীয় প্রাচীন বইগুলোও ভালভাবে সংরক্ষিত হয় নি। তাই বিভিন্ন জাদুঘরের প্রাচীন বইগুলো কোনো-না-কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জনাব পেং শিক্ষক চাংয়ের কথা শুনে উত্তেজিত হন। জরিপ করার পর তিনি জানতে পারেন যে, অসংখ্য প্রাচীন বই গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আর মেরামত করা সম্ভব নয়। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, অবসর হলে তিনি প্রাচীন পুস্তক মেরামত শুরু করবেন।

বই মেরামতের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি মুগ্ধ কণ্ঠে বলেন, যুদ্ধ-বিগ্রহের মধ্যেও প্রাচীন শাস্ত্র সংরক্ষিত থেকেছে। এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এতো এতো ভালো বই ক্ষতিগ্রস্ত বা বিলীন হয়ে যাবে! এদের মেরামত না-করলে কিভাবে পূর্বপুরুষের কথা আগামী প্রজন্ম জানবে? তখন থেকেই তিনি সিছুয়ান প্রদেশের কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত জাদুঘর-কর্মী, বিশেষ করে যাদের প্রাচীন পুস্তক মেরামতের অভিজ্ঞতা রয়েছেন, তাদের নিয়ে দল গঠন করেন এবং প্রাচীন শাস্ত্র ও বই মেরামত করার কাজ শুরু করেন।

জনাব পেং বলেন, প্রাচীন শাস্ত্র মেরামতের কাজ করতে পেশাদারিত্ব থাকতে হয়, প্রয়োজনীয় জ্ঞান প্রয়োজন। এবং তা সহজ ব্যাপার নয়। তাই তাঁরা প্রশিক্ষণ ক্লাসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেন। ৫ জন কর্মী নিয়ে গঠিত দলটি কুয়াংহান গ্রন্থাগারের প্রাচীন বইয়ের মেরামতকাজে অংশ নেন।

তাদের মেরামতকারী দলের জন্য বিশেষ বাজেট ছিল না এবং পেশাদার সরঞ্জামও ছিল না। তাই বই মেরামতের জন্য তারা পাথর ও ইট ব্যবহার করতেন এবং পুরনো আসবাবপত্র কেটে বই চ্যাপ্টা করানোর কাজ করতেন। প্রাচীন বইয়ের অনেকগুলোই ঘুণে ধরেছে। সেগুলো ঠিকঠাক করতে গিয়ে অনেক কর্মী এলার্জিতে আক্রান্ত হন।

তিন প্রজন্মের প্রাচীন পুস্তক রক্ষণাবেক্ষণকারীর গল্প_fororder_gj5

কর্মীদের বেতন সম্পর্কে জনাব পেংও বলতে গিয়ে লজ্জা পেলেন। তিনি বলেন, “যখন বাজেট নেই, তখন মাসিক ৩০০ ইউয়ান বেতনও দিতে পারি। আমার বয়স হয়েছে, বেশি টাকা লাগে না। তবে যুবকর্মীদের বেঁচে থাকার জন্য টাকা দরকার। এমন কঠিন অবস্থায়ও বই রক্ষণাবেক্ষণকারীদের কেউ কাজ ছেড়ে যায়নি। তাঁরা আবেগ নিয়ে মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।”

২০০৮ সালে কুয়াংহান শহরে প্রাচীন পুস্তক মেরামতকেন্দ্র স্থাপিত হয়। ২০১২ সালে ছেংতু জাদুঘরে তাদের জন্য বিনা খরচে অফিস প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে লুওতাই প্রাচীন নগরে কেন্দ্রটি স্থানান্তর করা হয়। সেখানে প্রাচীন পুস্তক মেরামত জাদুঘর নির্মিত হয়েছে এবং আরো বেশি সংরক্ষণকর্মী যোগ দিয়েছে। এ জাদুঘর জনাব পেংয়ের সারা জীবনের আশা ছিল। চীনের একমাত্র প্রাচীন বই মেরামতকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এটি। জনাব পেংয়ের উত্সাহে বিনা খরচে যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সিনিয়র বিশেষজ্ঞরা। যেমন, প্রাচীন বই মেরামতে অভিজ্ঞ জনাব তু ওয়ে শেং টানা ১১ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন; তাঁর জীবনে অর্জিত সব দক্ষতা তাদের শিখিয়েছেন।

আসলে প্রাচীন বই মেরামতের কাজ চালু রাখতে চাই নতুন নতুন কর্মী। তাই জনাব পেংয়ের জাদুঘর চালু ছিল অতি প্রয়োজনীয় ব্যাপার। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাচীন বই মেরামত করতে আপাতত ২০টিরও বেশি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কাগজ, সুতা, পেস্ট, বুকমার্কারসহ বিভিন্ন জিনিস প্রয়োজন হয়। এ কাজে দক্ষতা-অর্জনকারীরা বুড়ো হয়েছেন। তাই তাদের জ্ঞান তরুণদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া জরুরি।

তিন প্রজন্মের প্রাচীন পুস্তক রক্ষণাবেক্ষণকারীর গল্প_fororder_gj3

জাদুঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনাব তু ওয়ে শেং অংশ নেন। তিনি মনে করেন, এটা খুবই বিস্ময়কর ব্যাপার, যা চীনা জাতির ইতিহাস সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। কয়েক বছর পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে জনাব পেংয়ের শরীরও দুর্বল হয়েছে। দু’বার সেরিব্রাল ইনফ্রাকশনের পর পেংয়ের ছেলে পেং ক্য পিতার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। এ সম্পর্কে পেং বলেন, “আমার আরও দুটি ইচ্ছা রয়েছে। ৬০ জনেরও বেশি বই মেরামতকারী কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা এবং কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়া। এতে সফল হলে আমি অবসর নেবো।”

সিছুয়ান প্রাচীন বই মেরামত কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক লি থিং ইয়ু মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে একটি সেমিনার আয়োজন করেন। তখন প্রাচীন বইয়ের ঐতিহ্য তুলে ধরেন তিনি। ৪০ বছর বয়সের ম্যাডাম লি থিং ইয়ু মাত্র কয়েক বছর ধরে বই মেরামতের কাজে অংশ নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি ব্যাংকিং খাতে চাকরি নেন। পরে সুযোগ পেয়ে প্রাচীন বই মেরামতের কাজে যোগ দেন। তাঁর এ বিশেষ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমার বাচ্চাকে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করার পর বিভিন্ন ঐতিহ্যিক সাংস্কৃতিক ক্লাসে যোগ দেই আমি। পরে প্রাচীন বই মেরামতকেন্দ্রের বই মেরামতকারী প্রশিক্ষণ ক্লাসে অংশ নিই। তখন থেকেই আমি মানসিকভাবে শান্তিতে আছি। প্রশিক্ষণ ক্লাসশেশে আমি এ কাজে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করি।”

তখন বাচ্চাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে উপযোগী ক্লাস নিতে ম্যাডাম লিকে আমন্ত্রণ জানান জনাব পেং ক্য। তখন তিনি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। কারণ, তার কাজ এবং প্রাচীন বই মেরামতের কাজ পুরোপুরি আলাদা। অনেক দিন চিন্তাভাবনা করার পর তিনি মেরামতকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৯ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রে যোগ দেন এবং কয়েকটি স্কুলের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি করেন। কয়েকটি স্কুলে প্রাচীন বই মেরামতের ক্লাসও চালু হয়।

এ সময় ম্যাডাম লি ও তাঁর ছেলের সাথে সম্পর্কও ঘনিষ্ঠতর হয়েছে। ছেলের সাথে প্রাচীন বইয়ের পৃষ্টা মেরামত করেন এবং সংশ্লিষ্ট ভিডিও তৈরিতে ছেলেও তাঁকে সাহায্য করে। এ সম্পর্কে লি বলেন, “বই মেরামতের কাজ আসলে মানসিকতা কাজ। অতীতে নিজের উদ্বেগের প্রভাব পড়তো আমার পরিবারের সদস্যদের ওপরও। সে প্রভাব নেতিবাচক। এখন মনে অনেক শান্তি পাই এবং আদর্শ ও ঐতিহ্যের শক্তিও উপলব্ধি করি।”

গত দুই বছরে প্রাচীন বই মেরামতকেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কোর্স দুই শতাধিক ছাড়িয়েছে। ম্যাডাম লিও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালকে পরিণত হন। তাঁর নেতৃত্বে কর্মদল নতুন পদ্ধতিতে প্রাচীন বই মেরামত করছেন।

তিন প্রজন্মের প্রাচীন পুস্তক রক্ষণাবেক্ষণকারীর গল্প_fororder_gj1

১৯৯৬ সালে জন্মগ্রহণ করা মেয়ে লি ইয়ান চুন ইতোমধ্যে ৩ বছরের মতো মেরামতকেন্দ্রে কাজ করছেন। যদিও বয়স কম, তবে তিনি এ কেন্দ্রের প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। প্রাচীনকালের বই মেরামত সম্পর্কে তিনি অনেক কথা বলতে পারেন এবং এসময় তার চোখে উজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি এ কাজে যোগ দেন এবং ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রাচীন বই মেরামতের দক্ষ ব্যক্তিতে পরিণত হন।

বিধ্বস্ত বই পেলে তিনি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠার ছবি তোলেন, পুরনো বইয়ের কভার খুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন এবং পেস্ট দিয়ে বিভিন্ন বইয়ের কাটা-ছেড়া মেরামত করেন। বই মেরামত যেন সূচিকর্মের মতো, সারাদিনে বসে বসে কাজ করতে হয়। এ সম্পর্কে মেয়ে লি বলেন, এটা খুবই মজার ব্যাপার নয়। তবে প্রতিটি বই বা ছবি মেরামত করার পর অনেক আনন্দ লাগে। তিনি মনোযোগ দিয়ে এ কাজ করছেন।

তিন প্রজন্মের প্রাচীন পুস্তক রক্ষণাবেক্ষণকারীর গল্প_fororder_gj2

বই মেরামতকারীর দক্ষতা সম্পর্কে লি বলেন, কৌতুকপূর্ণ হাত, ধৈর্য, হাতুড়ি, ট্রাউজার, রুলার, ব্রাশসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি লাগে এ কাজে। মেরামতকেন্দ্রের প্রত্যেক কর্মী কমপক্ষে ৬ থেকে ৯ মাসের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণের পর নেওয়া পরীক্ষায় পাস করলেই কেবল মেরামতকাজে অংশ নেওয়া যায়।

প্রশিক্ষণ কোর্স অনেকের জন্যই আনন্দের ব্যাপার নয়। বারবার একই ভঙ্গিতে কাগজ কাটাসহ চর্চা করতে হয়। এটা প্রাচীন বই মেরামত-কাজের মৌলিক ব্যাপার। প্রতিদিন তা চর্চা করতে হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চর্চা করলে হাতে অনেক ব্যথা লাগে। গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত বই মেরামত করা আরও কঠিন কাজ। মেরামতকারীরা এ নিয়ে সারাক্ষণ ভাবতে থাকেন। বেতন বেশি না-হলেও অনেকে এ চাকরি বেছে নিয়েছেন। তাঁদের দৃষ্টিতে প্রাচীন বই মেরামত করা টাকা অর্জনের তুলনায় আরও বেশি তাত্পর্যপূর্ণ। বিশেষ করে, নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে কিভাবে তা কাজে লাগিয়ে প্রাচীন বই মেরামতে অবদান রাখা যায়, নতুন যুবকর্মীদের নতুন চিন্তার ব্যাপার এটি। যদিও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন তারা, তবে সবার চেহারায় প্রাণচঞ্চল ও আশাবাদ খেলা করে।

সুপ্রিয় বন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়, আজকের বিদ্যাবার্তা এখানে শেষ হয়ে এলো। আমাদের অনুষ্ঠান যারা মিস করেছেন, তারা আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারেন। ওয়েবসাইট ঠিকানা www.bengali.cri.cn,ফেসবুকে CRIbangla মাধ্যমে চীন ও বিশ্ব সম্পর্কে আরও অনেককিছু জানতে পারেন। তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে,যাইচিয়ান।(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)