সানশিংতুই ধ্বংসাবশেষে তরুণ প্রত্নতত্ত্ববিদদের গল্প
2021-03-29 16:25:22

বন্ধুরা, সম্প্রতি চীনের সানশিংতুই ধ্বংসাবশেষে একাধিক নতুন সমাধির আবিষ্কার বিশ্বব্যাপী সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। চীনের সিছুয়ান প্রদেশের কুয়াংহান শহরে অবস্থিত এ ধ্বংসাবশেষের ইতিহাস প্রায় ৫০০০ বছরের। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় ও সম্পূর্ণ সংরক্ষিত প্রাচীন নগর এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ১৯৮৬ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হওয়ার পর বিশ্বের মনোযোগ ছিল এদিকে। আবার ৩৪ বছর পর ২০২০ সালে এ ধ্বংসাবশেষে নতুন অনুসন্ধানকাজ আরেকবার বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে সবচেয়ে উন্নত সরঞ্জাম দিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকাজ চালু হয়। অনুসন্ধান যারা চালাচ্ছিলেন, সেই প্রত্নতত্ত্ববিদদের অনেকর বয়সও কম। এই যুব গবেষকরাই এখন সানশিংতুই অনুসন্ধানকাজের প্রধান শক্তি। আজকের অনুষ্ঠানে তাদের গল্প তুলে ধরবো।

সানশিংতুই ধ্বংসাবশেষে তরুণ প্রত্নতত্ত্ববিদদের গল্প_fororder_sxd1

আমাদের জানার মধ্যে অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদ আছেন যারা বয়স্ক ও সিনিয়র। তবে সানশিংতুই ধ্বংসাবশেষের অনুসন্ধানস্থলে অনেক যুব প্রত্নতত্ত্ববিদ আছেন, যারা এখনও শিক্ষার্থী। সিছুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মেয়ে লিউ পান তাদের মধ্যে একজন। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে মেয়ে লিউ বলেন, মাধ্যমিক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীতে তিনি ইউনেস্কোর একজন প্রত্নতত্ত্ববিদের সম্পর্কে বইয়ে পড়েন। তখন থেকে প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কে তার মনে অনেক আগ্রহ তৈরি হয়। কাওখাও বা উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষা পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় তিনি সিছুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বেছে নেন। যখন পড়াশোনা শুরু হয়, তখন তাঁর শিক্ষক মেয়ে লিউকে বলেন, প্রত্নতত্ত্ববিদের কাজ অনেক কঠিন। প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করা  প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাজ। অনেকে সারাজীবন কাজ করেও এমন ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান না। তবে মেয়ে লিউ পান অনেক সৌভাগ্যবতী। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার আগেই তিনি সানশিংতুই ধ্বংসাবশেষে কাজ করার সুযোগ পান। প্রতিদিন তিনি বিভিন্ন পণ্ডিত ও বিশেষজ্ঞকে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধানে সহায়তা করেন।

ছুটির সময় সমবয়সী মেয়েদের মতো শপিং করেন এবং ছবি তোলেন মেয়ে লিউ। উত্তেজনাময় ও ব্যস্ত প্রকৃতির প্রত্নতত্ত্ববিদের কাজ শেষ করে তিনি ছবি আঁকতে পছন্দ করেন। তাঁর কাজ সম্পর্কে লিউ বলেন, প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাজ প্রায় সময়ই তেমন প্রশংসা পায় না। অনেক সময় এ কাজে সফল হতে হলে একাকিত্বও সহ্য করতে হয়। তবে যারা প্রত্নতত্ত্ববিদ হতে চান, তাদের কাছে এ কাজের বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে।

সানশিংতুই ধ্বংসাবশেষে তরুণ প্রত্নতত্ত্ববিদদের গল্প_fororder_sxd2

সানশিংতুই প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের ৪ নম্বর গুহার অসুন্ধানকারী কর্মী স্যু তান ইয়াং প্রতিদিনের অধিকাংশ সময় বিভিন্ন ধরনের ব্রাশ ও বেলচা দিয়ে মাটি খনন করেন। ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। গত বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব একাডেমি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেছেন এবং সিছুয়ান প্রদেশের প্রত্নতত্ত্ব একাডেমিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি দ্বিতীয় বারের মতো সানশিংতুইয়ে অনুসন্ধানকাজে অংশ নিচ্ছেন। ২০১৮ সালে যখন মাস্টার্স পড়ছিলেন, তখন সংশ্লিষ্ট গবেষণাকাজে যোগ দেন তিনি এবং ৪ নম্বর গুহা খননকাজে অংশ নেন। 

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ চীনে শীর্ষস্থানে রয়েছে। এ বিভাগে ভর্তি হওয়ার সময় তার প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। তিনি ভাবছিলেন যেখানে-সেখানে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবেন। কিন্তু বাস্তব ছিল তার কল্পনার চেয়ে ভিন্ন। তিনি দেখলেন এ বিষয়ে পড়াশোনা খুবই পরিশ্রমের ও কঠিন। এ সম্পর্কে স্যু মজা করে বলেন, ‘প্রত্নতত্ত্ববিদদের দূর থেকে দেখলে শরণার্থী ও ভিক্ষুকের মতো লাগে। কারণ, তাদের কাপড়চোপড় নোংরা।’ আসলেই এ কাজ সহজ নয়। গবেষণার মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছেন, প্রত্নতত্ত্ব শুধু আলাদা জ্ঞান নয়, বরং বিভিন্ন খাতের বহুমুখী জ্ঞান। দীর্ঘকাল ধরে এ কাজ করে তিনিও অনেক মজার বিষয় খুঁজে পেয়েছেন। এবারের অনুসন্ধানকাজ গত বছরের অক্টোবর মাসে শুরু হয়। তার পর কয়েক মাস কেটে গেছে। অক্টোবর থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি মাত্র ছোট কয়েক টুকরা হাতির দাঁত খুঁজে পেয়েছেন। তবে তাঁর দৃষ্টিতে গুহার মধ্যে আরও অনেককিছু রয়েছে, যেগুলো প্রাচীনকালের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। অতি ব্যস্ততায় তার দিন কাটে। বাড়ি ফেরার সুযোগ পেলেই তিনি ভালো ঘুম দিতে চান। কারণ, আরও পরিশ্রমের জন্য শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে। মাটি খননের কাজ আসলেই কঠিন।

সানশিংতুই ধ্বংসাবশেষে তরুণ প্রত্নতত্ত্ববিদদের গল্প_fororder_sxd3

স্যু বলেন, তাঁর অনেক সহপাঠী অন্য কাজে যোগ দিয়েছেন। কেউ কেউ শিক্ষকতার কাজ করেন, কেউ কেউ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কোম্পানি পরিচালনা করেন। তবে তিনি মনে করেন, প্রত্নতত্ত্ববিদের কাজ তাঁর জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার। যদিও সহপাঠীরা এখন এ কাজ করেন না, তবে তাদের নতুন সহকর্মী বা বন্ধুদের প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞান দিতে পারেন। তাদের  মাধ্যমে আরো বেশি সাধারণ মানুষ এ বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ পেতে পারে। নিজের কাজের তাত্পর্য সম্পর্কে স্যু বলেন, প্রত্নতত্ত্বের লক্ষ্য মানবজাতির জন্য যত বেশি সম্ভব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করা। এ কাজের মাধ্যমে প্রাচীনকালের মানুষ সম্পর্কে, তাদের সংস্কৃতি ও জীবনাচার সম্পর্কে জানা যায়।

এবার সানশিংতুই গুহার অনুসন্ধানস্থলে যুব-গবেষকদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। শাংহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্বদলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি স্যু ওয়েন হুং বলেন, প্রকৃত প্রত্নতত্ত্ববিদ হতে  পেশাগত জ্ঞান ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তবে যুবক কর্মীদলও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। কিছু কিছু কাজ তারা বেশ ভালো করতে পারে। যেমন, ডিজিটাল ব্যবস্থা ব্যবহারে তাদের দক্ষতা বেশি। তারা বয়স্ক পণ্ডিতদের চেয়ে আরো ভালোভাবে এ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। তা ছাড়া, যুবকদের আবেগ ও আন্তরিকতার প্রশংসা করেন তিনি। তাদের কাজও অনেক ভালো।

সানশিংতুই ধ্বংসাবশেষে তরুণ প্রত্নতত্ত্ববিদদের গল্প_fororder_sxd4

আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন অন্য একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলাপ করি। সেটি হল বাচ্চাদের বড় হওয়ার প্রক্রিয়ায় পিতা-মাতার যত্ন বা সহায়তার ভুমিকা। আসলে যে-কোনো দেশের বাচ্চাদের বড় হওয়ার জন্য অবশ্যই বাবা-মায়ের সাহায্য ও যত্ন প্রয়োজন। তবে বাচ্চাদের আরও ভালভাবে কাজ করা বা পরীক্ষায় তাদের ভালো স্কোরের জন্য অনেক সময় বাবা-মা অতিরিক্ত করেন। এতে বাচ্চাদের দক্ষতা বাড়ার সুযোগ কমে যায়, চর্চার অভাবে। একসময় দেখা যায়, তারা নিজেরা অনেক কাজ আর করতে পারে না।

সম্প্রতি চীনের ইউথ পত্রিকা একটি জরিপ চালায়। জরিপে অংশ নেন চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের ১৫০৪ জন পিতামাতা। তাদের  ৮৮.৬ শতাংশ মনে করেন, তারা নিজেদের বাচ্চাকে অতিরিক্ত সহায়তা দিয়েছেন এবং ৭০ শতাংশ মনে করেন, অতিরিক্ত সহায়তা বাচ্চাদের স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার পথে অন্তরায়। অতিরিক্ত সহায়তার ফলে তার পিতামাতার ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে যায়। ভবিষ্যতে এ ধরনের বাচ্চাদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা কম থাকে।

জরিপে অংশগ্রহণকারী পিতামাতাদের মধ্যে ৩৩.৮ শতাংশ বড় শহরের, ৪৭.৭ শতাংশ প্রাদেশিক শহরের, ১৬.৭ শতাংশ ছোট শহরের এবং ২ শতাংশ জেলা, উপজেলা ও গ্রামের।

চীনের থিয়ানচিন মহানগরের ম্যাডাম লু ফেং সবসময় বাচ্চাকে অতিরিক্ত সাহায্য দেন। তাঁর ছেলে এখন প্রাথমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। এসময় স্কুলে যাওয়ার সময় তার উচিত নিজের ব্যাগ নিজে গুছিয়ে নেওয়া, স্কুলের ইউনিফর্ম নিজে নিজে পরা। কিন্তু এ কাজগুলো করতে সে বেশি সময় নেয়। ফলে মা তাকে এসব কাজ করে দেন। মা নিজের পক্ষে এমন যুক্তি দিলেন। ছেলের পড়াশোনা সম্পর্কে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে স্কুলে বাচ্চাদের প্রতিযোগিতা হয়। তখন ভালো স্কোর করতে বা পুরস্কার পাওয়ার জন্য বাচ্চাকে সাহায্য দেন তিনি।

চীনের শানতুং প্রদেশের ম্যাডাম হু জি বলেন, স্কুলে শিক্ষকরা মাঝে মাঝে নতুন ধরনের হোমওয়ার্ক দেন। যেমন, পিপিটি তৈরি করা বা ঐতিহ্যিক পদ্ধতিতে হস্তশিল্পকর্ম তৈরি করা, যা প্রাথমিক স্কুলের প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর বাচ্চাদের জন্য খুবই কঠিন কাজ। তখন পিতা-মাতাকে সাহায্য করতে হয়।

এ সম্পর্কে শিক্ষকের বক্তব্য কী? শাংহাই মহানগরের একটি প্রাথমিক স্কুলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষক লিউ ফেং বলেন, এবার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ছোট বুকশেল্ফ তৈরির হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন তিনি। হোমওয়ার্ক সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন অনেক চমত্কার বুকশেল্ফ তৈরি করেছে শিক্ষার্থীরা। ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারলেন যে, কারো কারোর পিতামাতা পুরো কাজটা নিজেরা করেছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর কোনো ভূমিকাই নেই! আবার কেউ কেউ বাবা-মায়ের সাহায্য নিয়ে নিজেই কাজটা করেছে। আবার কোনো কোনো পিতামাতা মনে করেন, এ হোমওয়ার্ক করতে অনেক সময় নষ্ট হবে। এর পরিবর্তে অন্য হোমওয়ার্ক করা  ভালো। ফলে তারা নিজেরাই কাজটা করে দিয়েছেন।

এর পর থেকে শিক্ষক লিউ আর হোমওয়ার্ক দেন না। তিনি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিভিন্ন জিনিস তৈরি করান। যারা নিজে করতে পারে না, তাদের জন্য সহজ কাজ দেন তিনি। এভাবে সবার চর্চার সুযোগ হচ্ছে। বাড়িতে কোনো চর্চার সুযোগ থাকে না।

জরিপ থেকে জানা গেছে যে, ৬০ শতাংশ পিতামাতা চান না তাদের বাচ্চারা শুরুর দিকেই পিছিয়ে পড়ুক। তাই তারা সব ধরনের সাহায্য দেন বাচ্চাদের। ৫৫.৬ শতাংশ পিতামাতা মনে করেন, তাদের ছোটবেলায় এমন সুযোগ ছিল না। তাই এখন তারা বাচ্চাদের যথাযথ সাহায্য দিতে চান।

পিতামাতাদের অনেকে আবার বাচ্চাদের অতিরিক্ত সাহায্য দেওয়ার বিষয়টিকে অন্যায্য মনে করেন। থিয়ানচিনের ম্যাডাম লু বলেন, বাচ্চাদের কাজ তাদের নিজেদের করতে দিতে হবে। বাবা-মায়ের সাহায্যে কেউ পুরস্কার পেলে তা হবে অন্যান্য বাচ্চাদের প্রতি অন্যায়।

থিয়ানচিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হু সিয়াও বলেন, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার সময় তাদের নিজেদের নিবন্ধন-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে উত্সাহ দেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পিতামাতাদের বিশ্রাম এলাকাও আছে। সেখানে তারা বসে বসে বাচ্চাদের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। তবে অনেক পিতামাতাকে দেখা যায় ভীষণ উদ্বিগ্ন। তারা জানেন যে, তাদের ছাড়া তাদের সন্তান অনেকটা অসহায়। অতিরিক্ত সহায়তাই তাদের এভাবে গড়ে তুলেছে। তারা কাগজপত্র কোথায় রাখবে, কীভাবে পূরণ করবে, কোথায় জমা দেবে—কিছুই ঠিক করতে পারে না।

এ সম্পর্কে শিক্ষক হু বলেন, প্রতিটি বাচ্চার পারিবারিক অবস্থা ভিন্ন। পিতামাতা বাচ্চাদের স্বাধীনভাবে চর্চার সুযোগ দিলে বাচ্চারা নিজেদের কাজ নিজেরা করতে পারে এবং এভাবে স্বাবলম্বী হয়ে গড়ে উঠতে পারে। নিবন্ধনের পর কোনো কোনো পিতামাতা বাচ্চাদের হোস্টেলে রেখে চলে যান। তখন দেখা যায়, সেসব বাচ্চা নিজেদের বিছানা নিজেরা প্রস্তুত করছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছে। এটা ভালো দিক।

শাংহাইয়ের শিক্ষক লিউ ফেং মনে করেন, বাচ্চাদের নিজে নিজে হোমওয়ার্ক করতে দেওয়া উচিত। এতে হয়তো তারা ছোট-খাটো ভুল-ত্রুটি করবে, কিন্তু সেটা সমস্যা নয়। ভুল করতে করতেই তারা শিখবে, স্বাবলম্বী হবে। অতিরিক্ত সাহায্য দেওয়া, ছোট-খাটো ভুল দেখলে ক্ষেপে যাওয়া, বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর। পিতা-মাতার উচিত পরামর্শকের ভূমিকা পালন করা।

(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)