ফেব্রুয়ারি ২১: আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং বাংলাদেশের জাতীয় শহীদ দিবস। এ দিবস উপলক্ষ্যে চীনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের দূতাবাস বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মাহবুব উজ জামান।
এ বছরের অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সদ্য প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে স্থাপিত ‘ছোট শহীদ মিনারে’ রাষ্ট্রদূত, দূতাবাস কর্মী, কূটনীতিকবৃন্দ, চীন সরকারের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা এবং দুই দেশের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে সবাই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি পরিবেশন করেছেন।
সুদূর বেইজিংয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ও শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে স্থানীয় বাংলাদেশিরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় তাদের অনেকের চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে।
দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, শহীদদের আত্মার মুক্তির জন্য এক মিনিটের নীরবতা পালন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার মতো কার্যক্রম। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাতৃভাষা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফরে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষায় কথা বলেছিলেন এবং ১৯৭৮ সালে জাতিসংঘের প্রথম বক্তৃতার সময় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি বিশ্বমঞ্চে বাংলা ভাষায় বক্তব্য দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সাল থেকে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের পণ্ডিত, লেখক ও জনগণ শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়; যার পরিণতিতে বাংলা ভাষা একটি নতুন স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রত্যেককে, বিশেষত কূটনীতিক ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তৃতা শেষ করেন রাষ্ট্রদূত জনাব মাহবুব উজ জামান।
(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)