জেং শাও ছিউ আবার অ্যাডাম ছেং নামেও পরিচিত। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি কুয়াংতোং প্রদেশে। তিনি হংকংয়ের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা ও গায়ক। যখন তিনি খুব তরুণ ছিলেন, তখন থেকেই তিনি অভিনয়কে ভালোবাসে ফেলেছিলেন। ষোল বছর বয়সে তিনি অভিনয় প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিতে শুরু করেন। ১৯৭০ সালে তিনি হংকংয়ের টেলিভিশন সম্প্রচার লিমিটেড বা(টিভিবি)’তে যোগ দিয়ে টিভি নাটক, চলচ্চিত্র এবং একক রেকর্ড প্রকাশ শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি হংকংয়ে প্রথম একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তাঁর বেশ কয়েকটি রেকর্ড হংকংয়ের ‘প্লাটিনাম রেকর্ড পুরষ্কার’ ও ‘সোনার রেকর্ড পুরষ্কার’ জিতেছিল। তা থেকে বোঝা যায়, তাঁর গানগুলি কত জনপ্রিয় ছিল। প্রিয় বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদের জেং শাও ছিউয়ের একটি গান শোনাব, গানের নাম ‘আকাশ বড়, মাটিও বড়’। শুনুন তাহলে গানটি।
‘প্রবৃত্তি’ হচ্ছে হংকংয়ের এক টিভি নাটক। জেং শাও ছিউ নাটকটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে তিনি শিরোনাম সংগীতও গেয়েছিলেন। বেশি কথা না বলে, তাহলে এখনই আমি আপনাদের তাঁর সে গানটি শোনাই, কেমন?
‘সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না’ হল টিভিবি নাটক ‘মানুষের লোভ’-এর মূল সংগীত। জেং শাও ছিউ এ টিভি নাটকেও মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। নাটকটি চীনের মূল-ভূভাগে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। জেং শাও ছিউ’সহ অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী দর্শকদের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছিলেন। আচ্ছা প্রিয় বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদের সঙ্গে গানটি আবার শোনব, কেমন?।
‘বছরের পর বছর আনন্দ’ জেং শাও ছিউ ও হংকংয়ের বিখ্যাত সেলিব্রিটি ওয়াং মিং ছুয়ানের একটি দ্বৈত গান। পাশাপাশি তাঁদের প্রকাশিত একই নামের অ্যালবামও রয়েছে। আসলে অ্যালবামে ১২টি গান আছে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারণে আজ আমি ‘বছরের পর বছর আনন্দ’ আপনাদের জন্য বাছাই করেছি।
‘চল্লিশোর্ধ’ জেং শাও ছিউ অভিনীত একটি টিভি নাটক। নাটকটিতে জেং শাও ছিউ মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। চরিত্রের বয়স যখন ৪০ বছর ছিল। তখন তাঁর ক্যারিয়ার এবং পরিবার বিভিন্ন সমস্যার মুখে ছিল। কিন্তু তিনি সব সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আচ্ছা, আমরা তাহলে শুনি ৪০ বছরের পুরুষের হৃদয়ের কথা।
‘ছাং পিং প্রিন্সেস’ ১৯৫৭ সালে প্রথম পরিবেশিত ক্যান্টোনিজ অপেরার নাম। অপেরাটি ছাং পিং প্রিন্সেস ও চৌ শিসিয়ানের দুঃখিত ভালোবাসার গল্প সম্পর্কিত। জেং শাও ছিউ ক্যান্টোনিজ অপেরার বড় অনুরাগী। তাই তিনি নিজেই অপেরাটি গান। আসুন, তাহলে আমরা এক সাথে তাঁর কণ্ঠে ক্যান্টোনিজ অপেরা শুনি।
প্রিয় বন্ধুরা, কেমন লেগেছে অপেরাটি? গান শুনতে শুনতে বিদায়ের সময় চলে এসেছে। তাহলে আজকের ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানের শেষ গান হিসেবে আমি আপনাদের জেং শাও ছিউয়ের অন্য একটি গান শোনাই। গানের নাম ‘কখনও হাল ছাড়বেন না’। আশা করি, জীবনে যে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুীখন হলে, আপনারা কখনও হাল ছাড়বেন না। পাশাপাশি আশা করছি, আজকের গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে।
(প্রেমা/এনাম)