চীনে এক ধরণের বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষ আছেন। তাঁরা গ্রামবাসী কিন্তু শহরে কাজ করেন। তাঁরা হলেন চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার পর নতুন ধরণের শ্রমিক গ্রুপ এবং স্বচ্ছল সমাজ নির্মাণের খুবই গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। তাঁরা চীনের আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ আবদান রেখে চলেছেন। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাদের সম্পর্কেই এ ধরণের কথা বলেছিলেন।
এ বছর ভাইরাসের কারণে চীনের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকার স্থানীয়ভাবে বসন্ত উত্সব কাটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সেজন্য অনেক গ্রামবাসী শ্রমিক নিজের জন্মস্থানে না-গিয়ে শহরে উত্সব কাটান। এ সম্পর্কে সি চিন পিং বলেন, “আমি শুনেছি অনেক শ্রমিক নিজের বাড়িতে ফিরে যান নি, কিন্তু কাজ করছেন। আমি তাঁদেরকে সম্মান করি এবং বসন্ত উত্সবের শুভেচ্ছা জানাই।”
২০১৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির বিকাল। তখন চীনের চান্দ্রপঞ্জিকার বসন্ত উত্সবের আগের দিন। সি চিন পিং বেইজিং সাবওয়ে ৮ নম্বর লাইনের নানলুওগুস্যিয়াং স্টেশন পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে শ্রমিকদের খোঁজখবর নেন এবং তাঁদেরকে বসন্ত উত্সবের শুভেচ্ছা জানান।
সি চিন পিং সবসময় তাঁদের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন। ২০০৫ সালে তখন চেচিয়াং প্রদেশের চীনা কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসি’র সম্পাদক সি চিন পিং বলেছিলেন, “গ্রামবাসীদের যত্ন ও পরিচালনার নীতিগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাদের ঘামতে ও কষ্ট পেতে দেওয়া উচিত নয়।”
সরবরাহকর্মীরা হলেন আমাদের দৈনিক জীবনে সুপরিচিত এক ধরণের মানুষ। পরিসংখ্যানে বলা হয়, চীনের সরবরাহকর্মীর সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ হলেন গ্রামবাসী। ২০১৯ সালের নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তায় প্রেসিডেন্ট সি তাঁদেরকে ‘ডেলিভারি ভাই’ হিসেবে ডাকেন। তিনি তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানান। এ বছরের বসন্ত উত্সবের আগে তিনি বিশেষ করে বেইজিংয়ের ছিয়ানমেন শিথৌ হুথংয়ে অবস্থিত ডেলিভারি স্টেশনে এসে ডেলিভারি ভাইদের সঙ্গে দেখা করেন।
বন্ধুরা, চীনের শহরগুলোয় কাজ করা গ্রামবাসী শ্রমিক ১০ কোটিরও বেশি। তাঁদের আবাসিক সমস্যা আছে, শিক্ষার সমস্যা আছে, চিকিত্সার সমস্যা আছে। এগুলো সমাধান করা জরুরি। প্রেসিডেন্ট সি বলেছেন, “আমরা বর্তমানে শহরায়নে এগিয়ে গেছি অনেকটা। সেজন্য শহরে গ্রামবাসী শ্রমিকদেরকে স্থিতিশীল কাজ ও জীবনযাপনের ব্যবস্থা গড়ে দিতে হবে। তাঁদের সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিত্সার সমস্যা সমাধান করতে হবে।”
বর্তমানে চীনে সংশ্লিষ্ট বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের কঠিন সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।