এবারের জাঁকালো বসন্ত উত্সব চীনাদের অভিন্ন সমৃদ্ধির অভিব্যক্তি: সিআরআই সম্পাদকীয়
2021-02-16 17:02:57

ফেব্রুয়ারি ১৬: ‘অনেক খাদ্য প্রস্তুত করবো, যাতে মাংস, তৌ ফু সুপ এবং শাকসবজিসহ সবকিছুই থাকবে’। চীনের গ্রামাঞ্চলের এক নারী তার পরিবারের জন্য নববর্ষের আগের দিনের সান্ধ্য ভোজের ব্যাপরে এ মন্তব্যটি করেন। 

চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের লিয়াং শানের চাও চুয়ে জেলার আথুলিয়ের গ্রামে ওই নারী চীনের চন্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী বছরের শেষ দিনের সান্ধ্য ভোজের জন্য এমনই ডিশ নির্ধারণ করেছেন।

তিনি খুব জাকজমকপূর্ণভাবে এ উত্সব কাটাচ্ছেন। কারণ চীনের চন্দ্র পঞ্জিকায় ষাঁড় বছরের উত্সব হচ্ছে তার নিজের ও প্রতিবেশীদের দারিদ্র্যবিমোচনের পর প্রথম বসন্ত উত্সব।

  শেষ দিনের সান্ধ্যভোজন গণজীবিকার  উন্নয়নের বহিঃপ্রকাশ। আগে আথুলিয়ের গ্রামটি  সে লিয়াং শান অঞ্চলের দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য প্রাধান্য পেয়েছিল।  গত ৫ বছরে এ অঞ্চলে দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য ৩লাখ ৫৩হাজার ২শ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২০২০ সালে গ্রামবাসীরা গ্রাম ছেড়ে পবর্তের পাদদেশে সরকার নির্মিত নতুন বাড়িতে উঠেছেন। তাদের স্থানান্তরের কাজ চীনের সার্বিক দারিদ্র্যমুক্তকরণের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, সমাজতন্ত্রের মুল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের সুন্দর ও সুখী জীবন নিশ্চিত করা। জনগণের সুন্দর জীবনে কোন পরিবার ও ব্যক্তির অভাবের স্থান  নেই।

২০২০ সালের শেষ দিকে চীনের শেষ ৫২টি দরিদ্র জেলার ১,১১৩ গ্রাম পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। গত ৮ বছরে চীনের বর্তমান মানদন্ডের আওতায় ১০কোটিরও বেশি গ্রামবাসী পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। চীন সরকার জনগণের কাছে সন্তুষ্ট কার্যবিবরণী দিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বের দারিদ্র্যবিমোচনের কর্তব্যে নিজের অবদান রেখেছে। সম্প্রতি সিআরআইয়ের এক সম্পাদকীয়তে এসব বলা হয়। (রুবি/এনাম/শিশির)