সংস্কৃতি ও পর্যটন ক্ষেত্রে তুরস্ক ও চীনের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর হবে: প্রাক্তন তুর্কি সংস্কৃতি ও পর্যটন কাউন্সিলর
2021-01-19 13:10:26

চীনের সাবেক তুর্কি সংস্কৃতি ও পর্যটন কাউন্সিলর মিসেস ইয়াইক চতুর্দশ পাঁচশালা পরিকল্পনার সময় সাংস্কৃতিক পর্যটনের ক্ষেত্রে তুরস্ক ও চীনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রত্যাশা করছেন। মিসেস ইয়াইক ২০০৯ সালের শেষ থেকে ২০১৬ সালের শুরু পর্যন্ত চীনের তুর্কি দূতাবাসে সংস্কৃতি ও পর্যটন কাউন্সিলর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তুরস্ক ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দ্রুত বিকাশ প্রত্যক্ষ করেছেন এবং দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতি ও পর্যটন বিনিময়ে অবদান রেখেছেন। ইয়াইক বলেন, তার পাঁচ বছরেরও বেশি সময়ে তিনি দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চল্লিশতম বার্ষিকী, শাংহাই বিশ্ব মেলা, দুই দেশের সাংস্কৃতিক বর্ষ এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসের বড় ইভেন্টের সাক্ষী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন এবং চীনের দ্রুত বিকাশ প্রত্যক্ষ করেছেন। চীনের তরুণ প্রজন্মের বিদেশি ভাষা শেখা ও তার ব্যবহারের দক্ষতা তাকে অনেক মুগ্ধ করেছে।

 

তিনি বলেন, “চীনে আমার কার্যমেয়াদে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করেছি যে চীনের বিদেশি ভাষার মধ্যে ব্যবধান দ্রুত কমে আসছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্ম, তারা খুব দ্রুত বিদেশি ভাষা শিখছে, অবশ্যই তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টার অনেক গুরুত্বপূর্ণ।”

 

ইয়াইক বলেন, তার কার্যমেয়াদে চীনে তার কাজের জন্য তিনি সর্বস্তরের চীনা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তিনি চীনা জনগণের চেষ্টা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে, এটি চীনের দ্রুত বিকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তিনি বলেন, চীনের জনগণের পরিশ্রম ও দক্ষতা চীনের দ্রুত বিকাশের অবিচ্ছেদ্য উপাদান। উদাহরণস্বরূপ, তিনি কখনও কোনও চীনা বন্ধুকে বলতে শোনেন নি যে, ‘না, আমি এটি করতে পারছি না।’ প্রত্যেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার চেষ্টা করে। আমি মনে করি, চীনা জাতির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো কঠোর পরিশ্রম।

 

ইয়াইক বলেন, চতুর্দশ পাঁচশালা পরিকল্পনার পাশাপাশি তিনি পর্যটন শিল্পসহ চীনের বিভিন্ন শিল্পের উন্নয়ন প্রত্যাশা করছিলেন। পর্যটন শিল্পের অনুশীলনকারীরা ভবিষ্যত পরিষেবার মান উন্নত করে পর্যটন শিল্পের উচ্চমানের উন্নয়ন এগিয়ে নেবে। তুরস্কের পর্যটন শিল্পের অনুশীলনকারীরা আরও চীনা পর্যটককে তুরস্ক ভ্রমণে আকৃষ্ট করতে পরিষেবার মান উন্নয়নের চেষ্টা করছেন।

 

ইয়াইক বলেন, ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর সম্প্রতি ‘চায়না ফ্রেন্ডশিপ এয়ারপোর্ট’ প্রকল্প চালু করেছে। চীনা যাত্রীরা ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে চীনা লেবেলযুক্ত পোশাক পরা কর্মীদের বিশেষ সেবা উপভোগ করতে পারবেন এবং তারা বিমানবন্দরে কেনাকাটার জন্য উইচ্যাট পেও ব্যবহার করতে পারবেন। ইয়াইক বলেন, এখন অফিস ছেড়ে তুরস্কে ফিরে আসার সময় হয়েছে। তারপরও তিনি তুরস্ক ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও পর্যটন নিয়ে বেশ উত্সাহী। তিনি বিশ্বাস করেন, চীনের চতুর্দশ পাঁচশালা পরিকল্পনার সময় দু’দেশের ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক বিনিময় হবে।

 

তিনি বলেন, আমি মনে করি, তুরস্ক ও চীন ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করবে। দু’দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমঝোতা বাড়বে এবং যৌথভাবে সহযোগিতা প্রকল্পে অগ্রগতি অর্জিত হবে।