বর্ণবাদী আচরণে অভিযুক্ত মার্কিন রাজনীতিক- সিআরআই সম্পাদকীয়
2021-01-13 20:00:25

জানুয়ারি ১৩: সিনচিয়াং-এর বিষয়ে মিথ্যাচার করা এবং চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হল কিছু মার্কিন রাজনীতিকের সাধারণ অপকৌশল। বর্তমান মার্কিন সরকার তার মেয়াদের শেষ মুহূর্তে এসেও চীনের মুখে কালি দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা সিনচিয়াং-বিষয়ক বিল উত্থাপন করেছে, তথাকথিত বর্ণ-বৈষম্যের গুজবও ছড়িয়েছে। অথচ, মার্কিন রাজনীতিকরাই বর্ণবাদী আচরণে অভিযুক্ত।

 

সম্পাদকীয়তে বলা হয়- এসব দাবি নির্জলা মিথ্যা কথা। বর্ণ-বৈষম্যের অভিযোগ জবাব হলো- সিনচিয়াংয়ের জনসংখ্যা। চীন সরকারের সিনচিয়াং-সংক্রান্ত নীতির কারণে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সিনচিয়াংয়ের মুসলিম অধ্যুষিত উইগুর জাতির জনসংখ্যা আগের ১ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে বেড়ে ১ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২৫.০৪ শতাংশ। যা হান জাতির জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। মার্কিন রাজনীতিকের চীন-বিরোধী দাবি সঠিক হলে, উইগুর জাতির জনসংখ্যা কীভাবে বৃদ্ধি পায়?- এ প্রশ্ন করেছে সিআরআই সম্পাদকীয়।

 

আসলে মার্কিন রাজনীতিক সবসময় ‘মুসলিম দেশের সঙ্গে মৈত্রীর’ কথা বলে থাকে। তবে, তারা বিপরীত আচরণ করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন সরকার সন্ত্রাসদমনের অজুহাতে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ও আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। এতে লাখ লাখ নিরীহ মানুষ মারা গেছে। ২০১৭ সালে মার্কিন রাজনীতিকরা বিশেষ করে কিছু মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়- যা বিশ্ব মানবাধিকার ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়। আন্তর্জাতিক সমাজ এর তীব্র নিন্দা জানায়।

 

বাস্তবতা হলো, মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের মনোভাব পোষণকারী মার্কিন রাজনীতিকরা প্রকৃত অর্থে সিনচিয়াং-এর উইগুর মুসলিম জনগণের স্বার্থকে মোটেও গুরুত্ব দেয় না।

(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)