আপেল লাল হয়েছে, বাসিন্দাদের মুখে ফুটেছে হাসি
2021-01-12 09:41:27

আপেল লাল হয়েছে, বাসিন্দাদের মুখে ফুটেছে হাসি_fororder___172.100.100.3_temp_9500049_1_9500049_1_1_5cf891c2-8a76-4db1-ab85-34b706e8ed83

শরত্কালে ইয়ারলুং জাংবো নদীর দুই তীরের গাছগুলো লাল রঙ ধারণ করে। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের লিনচি শহরের মিলিন জেলার ছিয়াংনা থানায় প্রচুর ফলবাগান রয়েছে। গাছগুলো লাল সুন্দর আপেল ভরপুর। আরেকটি ফসল-ঋতু আসছে।

লিনচি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩১০০ মিটারেরও বেশি উঁচু। এটি তিব্বতের গুরুত্বপূর্ণ ফল উত্পাদন স্থান। লিনচিতে এই ফলবাগানটি গড়ে ওঠে ২০১৭ সালে। বাগানের দায়িত্বশীল কর্মী ইয়াং খাই ফিং বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তাঁরা বাগানে ১৬ ধরণেরও বেশি কয়েক লাখ আপেল গাছ চাষ করেছেন। কৃষির নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে ফলনও বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে।

আপেল লাল হয়েছে, বাসিন্দাদের মুখে ফুটেছে হাসি_fororder___172.100.100.3_temp_9500049_1_9500049_1_1_44c5b24d-0c71-4cf9-86ef-d1c72136b9b6

বাগানে দেখা যায় অসংখ্য আপেল গাছ। গাছগুলোয় অসংখ্য আপেল। কোনো কোনোটি গাঢ় লাল এবং কোনো কোনোটি হালকা লাল রংয়ের।

কয়েক দশক ধরে স্থানীয় গ্রামবাসী আপেল বাগানে কাজ করছেন। তাঁরা বিভিন্ন ধরণের কৃষিকাজও করে থাকেন।

নিয়াংলং গ্রামের ছিরিংইয়ংচেন হলেন এখানে কাজ করা প্রথম দফা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে একজন। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন বেতন ১৪০ ইউয়ান আরএমবি। ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর তাঁর বেতন বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘বাগানটি আমার বাড়ির কাছাকাছি, বেতনও ভাল। আমাদের গ্রামে মোট ৩২টি পরিবার আছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই বাগানে কাজ-করা-লোক আছে। আগে আমি আপেল বাগানে কাজ করতাম না। কিন্তু এখন আমি বাগানের যেকোনো ধরণের কাজ করতে পারি।’

আপেল লাল হয়েছে, বাসিন্দাদের মুখে ফুটেছে হাসি_fororder___172.100.100.3_temp_9500049_1_9500049_1_1_5b8c439d-7720-45cf-9b55-f8ace02c1e10

বাগানের অন্যদিকে একটি গ্রিণহাউসে আপেল গাছের চারা চাষ করা হয়। ইয়াং বলেন, আপেল ছাড়াও বাগানে পিচ, চিলি, পাম ও বেগুণ চাষ করা হয়। ভবিষ্যতে আরও বেশি উচ্চ মানের ফল চাষ করা হবে এখানে।

বাগান উন্নয়নের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বেশি মুনাফা সৃষ্টি হয়েছে। ইয়াং বলেন, বাগানের জমি স্থানীয়দের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া। বার্ষিক ভাড়া ১.৯ মিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি। এ ছাড়াও, বাগানের জন্য অনেক শ্রমিক প্রয়োজন। গত বছর প্রায় ৯ হাজার শ্রমিক বাগানে কাজ করেছে। বেতন মোট ১২ লাখ ইউয়ানেরও বেশি ছিল। এ বছরে শ্রমিকদের মোট বার্ষিক বেতন ২০ লাখ ইউয়ান ছাড়িয়ে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা দ্রোল্মা বলেন, ‘এ বছর আমার বেতন ২০ হাজার ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে।’ বলে তিনি হাসেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন তিব্বতের লিনচির আপেল চাষের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্তির গল্প।