চীনের দারিদ্র্যবিমোচন বিশ্বের জন্য আশাবাদের প্রতীক: সিএমজি সম্পাদকীয়
2020-12-29 19:08:54

চীনের দারিদ্র্যবিমোচন বিশ্বের জন্য আশাবাদের প্রতীক: সিএমজি সম্পাদকীয়_fororder_1229yang1

ডিসেম্বর ২৯: এক বিন্দু পানি থেকে যেমন সাগরের সৃষ্টি হতে পারে, তেমনি চীনের ইউনান প্রদেশের ফুআর শহরে ছোট এক কফি বিনের মাধ্যমে ৬লাখ মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন। এ সংখ্যাটি লোক্সেমবার্গের জনসংখ্যার প্রায় সমান।

চলতি বছর চীন মহামারি সত্বেও দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। জাতিসংঘের নির্ধারিত লক্ষ্যের ১০ বছর আগে চীন দারিদ্র্যমুক্ত হয়ে মানব ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গত ৭০বছরে সারা বিশ্বে যে পরিমাণ দারিদ্র্যবিমোচন হয়েছে, চীন তার ৭০ শতাংশের উপরে অবদান রেখেছে।

চীন সরকারের নীতি ও লক্ষ্যই দেশটিকে এমন সফলতা এনে দিয়েছে। ‘জনগণের সুন্দর জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন আমাদের সব কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য’ চীনা প্রেসিডেন্টের এ কথায় নিহিত রয়েছে চীনের সকল সফলতার  অনুপ্রেরণা।

দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট ১৪টি বিশেষ দরিদ্র অঞ্চল পরিদর্শন করেন। বৃটেনের ৪৮টি ক্লাবের চেয়ারম্যান স্টেফেন পেরি বলেন, দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা চীনা নেতৃবৃন্দ ও চীনা জনগণের মনের ভেতরে প্রোথিত। এমন প্রতিজ্ঞা ছাড়াও কার্যকর পদ্ধতিও চীনের দারিদ্রমোচনে সহায়ক হয়েছে।

গত মে মাসে মার্কিন পিবিএস-এ সিএমজি’র তৈরি করা তথ্যচিত্র ‘চীনের দারিদ্র্যবিমোচন যুদ্ধ’ প্রচারিত হয়। মার্কিন চীন-বিশেষজ্ঞ রবার্ট লাওরেন্স খোন এ তথ্যচিত্রের জন্য স্ক্রিপ্ট লিখেন এবং উপস্থাপন করেন।

চীনের দারিদ্র্যবিমোচন পদ্ধতির মূলকথা হলো প্রত্যেক দরিদ্র পরিবারের জন্য নিজস্ব দারিদ্র্যবিমোচনের পরিকল্পনা তৈরি করা।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, চীনের এ অভিজ্ঞতা বৈশ্বিক দারিদ্রবিমোচনে খুব কার্যকর হতে পারে। মহামারির কারণে চীনে আরও ১০ কোটি মানুষ দরিদ্র হবে বলে জানিয়েছিল জাতিসংঘ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা ব্যুরো। কিন্তু চীন নিজের দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে।

চীন নিজের লক্ষ্য বাস্তবায়নের পাশাপাশি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গেও দারিদ্র্যবিমোচন নিয়ে সহযোগিতা করছে। যেমন: ‘চীন-জাতিসংঘ শান্তি ও উন্নয়ন তহবিল’ এবং ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা তহবিল’ স্থাপন করা এবং ‘পূর্ব-এশিয়া দারিদ্র্যবিমোচন পরিকল্পনা’ এবং ‘চীন-আফ্রিকা দারিদ্র্যবিমোচন সহযোগিতার’ কাঠামোতে সহযোগিতা করা।

বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের মাধ্যমে ৭৬লাখ মানুষ অতি দারিদ্র্য এবং ৩কোটি ২লাখ মানুষ মাঝারি দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হবে। (ইয়াং/এনাম/ছাই)