‘অর্ধেক জীবন’’
2020-11-10 08:38:05

‘অর্ধেক জীবন’’

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে চীনের তাইওয়ানের একজন কন্ঠশিল্পীর পরিচয় দিবো। তিনি হলেন আস্যিন। তাঁর আসল নাম ছেন স্যিন হং। তিনি ১৯৭৫ সালের ৬ ডিসেম্বর তাইওয়ানের তাইপেই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন একজন কন্ঠশিল্পী, লেখক ও সুরকার। তিনি ‘মে ডে’ নামের একটি ব্যান্ডের প্রধান গায়ক এবং ক্রিয়েটিভ টাইড ব্র্যান্ড স্ট্যারিয়ালের (STAYREAL) প্রতিষ্ঠাতা। প্রথমে শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘অর্ধেক জীবন’ শীর্ষক গান। গানটি ২০১৯ সালে রিলিজ হয়। গানটি চলচ্চিত্র ‘গতিবেগই জীবন’-এর থিম সং। আস্যিন গানটির সুর রচনা করেছেন। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন আস্যিন’র কন্ঠে ‘অর্ধেক জীবন’ শীর্ষক গান। ১৯৯৭ সালের ২৯ মার্চ তিনি অন্য তিনজনের সঙ্গে রক ব্যান্ড ‘মে ডে’ গড়ে তোলেন। ২০০৫ সালে তিনি পঞ্চম গ্লোবাল চীনা ভাষা সংগীত প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ সংগীত এ্যারেজমেন্ট পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৬ সালে তিনি ষষ্ঠ গ্লোবাল চীনা ভাষা সংগীত প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ গানের কথা লেখকের পুরস্কার লাভ করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে ‘তৃপ্তি’ শীর্ষক গান শোনাবো। আস্যিন গানটির কথা লিখেছেন এবং সুর রচনা করেছেন। গানটি ২০০৫ সালে রিলিজ হয়। গানটিতে আস্যিনের নিজের ভালবাসার ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি নিজের ভালবাসার ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন আস্যিনের কন্ঠে ‘তৃপ্তি’ শীর্ষক গান। ২০০৭ সালে তিনি বিখ্যাত্ শিল্পী বুএরলিয়াংয়ের সঙ্গে পোষাক ব্রান্ড স্ট্যারিয়াল গড়ে তোলেন। ২০০৯ সালে তিনি ফ্রেশ মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের (Fresh Music Awards) শ্রেষ্ঠ লেখকের পুরস্কার লাভ করেন। ২০১২ সালে তিনি দ্বাদশ টপ চায়নিজ মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের শ্রেষ্ঠ রক কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৭ সালে তিনি ২৮তম তাইওয়ান গোল্ডেন মেলডি’র শ্রেষ্ঠ লেখকের পুরস্কার লাভ করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘সর্বদা বিশ্বাস’ শীর্ষক গান। গানটি আসলে জাপানের ১৯৮৩ সালে প্রচারিত একটি টিভি সিরিজের থিম সং। আস্যিন চীনা ভাষায় পুনরায় এটি গেয়েছেন। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

‘অর্ধেক জীবন’’

বন্ধুরা, শুনছিলেন আস্যিনের কন্ঠে ‘সর্বদা বিশ্বাস’ শীর্ষক গান। সংগীত ছাড়াও আস্যিন শিল্পকলায় দক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় তিনি গিটার ক্লাবের প্রধান ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ছিলেন শিক্ষার্থী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সময় তিনি ‘মে ডে’ ব্যান্ড গড়ে তোলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে নকশা বিভাগে লেখাপড়া করতেন তিনি। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘ভ্রমণের তাত্পর্য’ শীর্ষক গান। এটি নারী কন্ঠশিল্পী ছেন ছি চেন’র নিজের লেখার গান। গানটি ২০০৪ সালে রিলিজ হয়। আগের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে ছেন ছি চেন’র কন্ঠে গানটি শুনিয়েছিলাম। আশা করি, আপনারা আস্যিন’র কন্ঠে গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন আস্যিন’র কন্ঠে ‘ভ্রমণের তাত্পর্য’ শীর্ষক গান। ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে ‘মে ডে’ ব্যান্ড প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করে। আস্যিন অনেক বিখ্যাত্ কন্ঠশিল্পীর জন্য সুর রচনা করেছেন এবং গানের কথা লিখেছেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘দেবদূত’ শীর্ষক গান। গানটি ২০০৬ সালে রিলিজ হয়। আস্যিন গানটির কথা লিখেছেন। আস্যিন বলেছেন, ‘আমি হয়ত তোমার দেবদূত, ব্যান্ড মে ডে প্রত্যেকের দেবদূত হবে।’ চলুন, আমরা গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন আস্যিন’র কন্ঠে ‘দেবদূত’ শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে ‘প্রমাণ’ শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি আসলে জাপানের ব্যান্ড ফ্লাম্পুলের (flumpool) গান। মে ডে চীনা ভাষায় পুনরায় গেয়েছে। গানটিতে বলা হয়েছে: পড়ন্ত পাতা শরতের প্রমাণ দেয়। রিঙ্কেলগুলি বয়স প্রমাণ করে। অশ্রু প্রমাণ করে যে হৃদয় ভেঙে গেছে। কিন্তু কারুর প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করা যায় না। যদিও নতুন জীবন শুরু হয়েছে, তবুও মাঝেমাঝে দেখা হয়। আমরা পরস্পরকে অভিবাদন জানাই। কে ভালবেসেছে, কাকে ভালবেসেছি। আমি দেখতে পারি না।

চলুন, আমরা গানটি শুনবো।

প্রিয় শ্রোতা, এতোক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারও আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম/রুবি)